কোন সমস্যা হবে না,,পজিটিভ নেগেটিভ হলে সাধারণত সমস্যা হয়।   

Talk Doctor Online in Bissoy App
Call

না, একটুও সমস্যা হবে না। দুজনেরই তো পজিটিভ। সো, চিন্তার কিছু নেই। 

Talk Doctor Online in Bissoy App
Waruf

Call

একই গ্রুপের রক্ত হলে দুজনের সবচেয়ে ভাল। হয়। আর বিপরীত গ্রুপ হলে সমস্যা হতে পারে(হবেই এমন নয়)।  তাই আপনাদের একই গ্রুপ বলে কোন সমস্যা নাই। কিছু মানুষের উলটা ধারনা, একই হলে নাকি সমস্যা। বিশ্ময়ে হয়ত এমন পাওয়া যাবে দেখা গেল আমার উত্তর লুকায় দেছে। যদি কেউ লুকাতে চায়, অনুগ্রহ করে বায়োলজি বইতে ব্লাড গ্রুপ টা দেখে লুকাবেন, আমাকে একটি মেসেজ দিবেন।

Talk Doctor Online in Bissoy App
Porimolray

Call

আপনাদের প্রবলেম নেই।এই বিষয়টা মূলত RH ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে। RH+ RH+ প্রবলেম হয়না তবে একজনের RH+ অপরের RH- হলে সমস্যা। তবে পৃথিবীতে RH- বৈশিষ্ট্যের মানুষ পাওয়াই দুর্লভ।

Talk Doctor Online in Bissoy App
Jamiar

Call

নিচে দেখুন স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ নিয়ে কিছু কথা: যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোন একটি হলেই হবে। কিন্তু স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয়, তাহলে স্ত্রীকেও পজেটিভ ব্লাড গ্রুপের একজন হতে হবে। কোনভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না। অর্থাত্‍ একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের নারী কেবলই একজন নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের পুরুষকে বিয়ে করাই নিরাপদ। যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় আর স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে কী সমস্যা হবে? রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না। তবে ভিন্ন ব্লাড গ্রুপে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয়, তাহলে সন্তান জন্মের সময়ে 'লিথাল জিন' বা 'মারন জিন' নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়। যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারনত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপও পজেটিভ হবে। যেহেতু  আপনাদের রক্তের গ্রুপ একই তাই কোন সমস্যা হবে না।

Talk Doctor Online in Bissoy App

না, আপনাদের কোনো সমস্যা হবে না।

বিস্তারিত জানতে নিচের প্রতিবেদনটি দেখুন।

তাহলে বিষয়টা একেবারেই ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর 

✪বেশিরভাগ দম্পতিই জানতে চান স্বামী -স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কী সমস্যা হয়।  রক্তের গ্রুপ একই হলে নাকি বাচ্চার জন্মগত সমস্যা হয়? প্রায় প্রতিদিন এই প্রশ্নটা অহরহ শুনে থাকেন চিকিৎসকরা।  যুগান্তর পাঠকদের এই প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেডের গাইনি কনসালটেন্ট বেদৌরা শারমিন।

স্বামী -স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কোনো সমস্যা হয় না বলে জানিয়েছেন সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেডের গাইনি কনসালটেন্ট বেদৌরা শারমিন।

বেদৌরা শারমিন যুগান্তরকে বলেন, অনেক দম্পতি আমাদের কাছে জানতে চান স্বামী -স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কী সমস্যা হয়।  রক্তের গ্রুপ একই হলে নাকি বাচ্চার জন্মগত সমস্যা হয়? প্রায় প্রতিদিন এই প্রশ্নটা আমি রোগীদের কাছে শুনে থাকি।  রক্তের গ্রুপ এক হলে কোনো সমস্যা হয় না।  তবে কিছু বিষয় রয়েই যায়।

স্বামী -স্ত্রীর রক্তের গ্রুপের বিষয়ে যুগান্তরের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন সেন্ট্রাল হাসপাতাল লিমিটেডের গাইনি কনসালটেন্ট বেদৌরা শারমিন।

রক্তের গ্রুপ

প্রথমেই রক্তের গ্রুপগুলো সম্পর্কে জেনে নিন। রক্তের গ্রুপের প্রধানত দুটি ভাগ। একটা হলো এবিও পদ্ধতি (এ, বি, এবি এবং ও) অন্যটা আরএইচ ফ্যাক্টর (আরএইচ পজেটিভ এবং আরএইচ নেগেটিভ)। এ রেসাস ফ্যাক্টরই ঠিক করে দেয় ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে।

ব্লাড গ্রুপগুলো হলো :

এ পজেটিভ, এ নেগেটিভ, বি পজেটিভ, বি নেগেটিভ, এবি পজেটিভ, এবি নেগেটিভ, ও পজেটিভ এবং ও নেগেটিভ।

রক্ত গ্রহণে সচেতনতা

যখন কোনো নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে পজেটিভ গ্রুপের রক্ত দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারণত কিছু হয় না। তবে এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে একটি এন্টিবডি তৈরি করে। যার ফলে রোগী আবার কখনও যদি পজেটিভ গ্রুপের রক্ত নেয়, তবে তার রক্তের কোষগুলো ভাঙতে শুরু করে। এ কারণে কাঁপুনি, জ্বর কিংবা কিডনি অকেজো থেকে শুরু করে মারাত্মক সব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। এ সমস্যাকে চিকিৎসাবিদ্যায় বলা হয় এবিও ইনকমপ্যাটিবিলিটি।

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ

স্বামীর রক্তের গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর পজেটিভ হতে হবে। আর যদি স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে। তবে স্বামীর গ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে কোনোভাবেই স্ত্রীর রক্তের নেগেটিভ হওয়া চলবে না। এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর গ্রুপ যদি নেগেটিভ হয় তাহলে তার স্বামীর রক্তের গ্রুপ নেগেটিভ হলে অনেক সমস্যা এড়ানো যাবে।

স্বামীর রক্তের গ্রুপ স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সন্তানের অবস্থান

পজিটিভ(+) পজেটিভ(+) সুস্থ সন্তান

নেগেটিভ (-) নেগেটিভ (-) সুস্থ সন্তান

নেগেটিভ (-) পজেটিভ (+) সুস্থ সন্তান

পজিটিভ (+) নেগেটিভ (-) প্রথম সন্তান সুস্থ, দ্বিতীয় থেকে সমস্যা

স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ এবং স্ত্রীর নেগেটিভ হলে কী হতে পারে

স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোনো সমস্যা হয় না। তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজেটিভ হয় তাহলে ‘লিথান জিন’ বা ‘মারণ জিন’ নাকে একটি জিন তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সেক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হতে পারে। বাচ্চা হতে পারে জন্মান্ধ। এছাড়া যখন কোনো নেগেটিভ গ্রুপের মা পজেটিভ ফিটাস (ভ্রুণ) ধারণ করে তখন সাধারণত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ ভ্রুণের রক্ত, প্লাসেন্টারের (গর্ভফুল) বাধা ভেদ করে মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে। মায়ের শরীরেও প্রসবের সময় যে রক্ত প্রবেশ করবে, তা প্রসবের কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে আরএইচ এন্টিবডি তৈরি করবে।

nh9887যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবেন, তখন যদি তার ভ্রূণের ব্লাডগ্রুপ আবার পজেটিভ হয়, তাহলে মায়ের শরীরে আগে যে এন্টিবডি তৈরি হয়েছিল সেটা প্লাসেন্টার বাধা ভেদ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। আর যখন এটি ভ্রূণের শরীরে ঢুকবে তখন ভ্রূণের লোহিত রক্ত কনিকার সেল ভেঙে যাবে। এ সমস্যাকে চিকিৎসা বিদ্যায় বলা হয় আরএইচ ইনকমপ্যাটিবিলিট।

আগে কখনও অপারেশন না হয়ে থাকলে অনেক সমস্যা এড়ানো যাবে। শুধু সচেতন থাকতে হবে। স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হলে, বাচ্চা জন্মের পরপরই বাচ্চার ব্লাডগ্রুপ পরীক্ষা করতে হবে। যদি নেগেটিভ হয় মায়ের মতো, তবে কিছু করার দরকার হয় না। আর পজেটিভ হলে এন্টি ডি ইনজেকশন নিতে হবে ডেলিভারির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। আরও বিস্তারিত জানতে এবং বাচ্চা ধারণের আগেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Talk Doctor Online in Bissoy App