যদিও আপনি নিত্য ঝুট ঝামেলা বিভাগে প্রশ্ন করেছেন, তবু এখানে ইসলাম আসাটা প্রসঙ্গত প্রয়োজনীয়।
একজন পুরুষ একসাথে চারজন স্ত্রী রাখতে পারবেন। এ কথাটি আমরা সকলে জানি এবং এ কথা ভেবেই পুরুষেরা একাধিক বিবাহ করে থাকেন। কিন্তু কুরআনে এ সম্পর্কে আয়াতটি হলো- "বিবাহ কর নারীদের মধ্য হতে যাকে তোমাদের ভালো লাগে, দুই ,তিন আথবা চারটি। আর যদি আশঙ্কা কর যে (স্ত্রীদের মাঝে) সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে (মাত্র) একটি (বিবাহ কর)…." (সুরা নিসা ০৩:০৩) অর্থাৎ প্রত্যেক স্ত্রীকে সমান ভাবে ভালোবাসা, সময়, অর্থ, সুখ, বস্ত্র ইত্যাদি দিতে না পারলে একাধিক বিবাহ গ্রহণযোগ্য নয়।
যে ব্যক্তি তিনজন স্ত্রীর মধ্যে একজনকে অধিক প্রাধান্য দিচ্ছেন এবং অপরদের অসম চোখে দেখছেন তার প্রথম বিবাহের পরবর্তী বিবাহগুলি বৈধ হবে না। সুতরাং তাকে একবার এ বিষয়ে অবগত করা প্রয়োজন, কারণ ধর্মই মানুষকে ভুল পথ থেকে সঠিক পথে আনে।
এছাড়া যদি স্বাভাবিকভাবে বলে নিশ্চয়ই বড় স্ত্রীর রূপগত বা গুণগত কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাকে অন্যদের থেকে ভিন্নতা এবং স্বামীর অধিক আকর্ষণ প্রদান করেছে। মেজ স্ত্রী যদি স্বামীর আকর্ষণ আশা করেন তাকেও অবশ্যই স্বামীর মন বুঝে চলতে হবে যেন স্বামী তার ওপর তৃপ্ত হন। এটাও ইসলামিক ব্যাপার, স্ত্রী চাইলেই স্বামীর মন গলিয়ে দিতে পারেন। স্ত্রীর প্রয়োজন একটু চেষ্টা এবং স্বামীর মন বোঝার ক্ষমতা।
তবে সত্যি কথা বলতে গেলে এখানে সংশোধন স্বামীর প্রয়োজন। তাই তাকে যেভাবেই হোক সমতার ব্যাপারটা অবগত করতে হবে। তিনি যে কাজটি করছেন তা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য হচ্ছে।
আমার মনে হয়,লোকটির সকল স্ত্রীকে সমান চোখে দেখা উচিত।এই সমান চোখে না দেখাটা সত্যিই গুনাহ।এতে সকল স্ত্রীকে সমান মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না।
মেজ স্ত্রীর উচিত