নামাজে প্রয়োজন একাগ্রতা ও গভীর মনযোগ । অাপনি একদিনে হয়তো তা পরিবর্তন করতে পারবেন না । তবে চেষ্টা করলে অসম্ভবের কিছু না । নামাজে দাড়ালে শয়তান অামাদের মনে নানা ধরনের চিন্তা ঢুকিয়ে দেয় যা কিনা অামরা নামাজের অাগে চিন্তাও করিনি । তাই জিহাদ করতে হবে মনের বিরুদ্ধে । জনেনই তো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জিহাদ হলো নিজের মনের বিরুদ্ধে জিহাদ করা । তাই এতো সহজে শয়তানের কাছে পরাস্ত হওয়া যাবে না । অাপনি চেষ্টা করুন অার মহান অাল্লাহর কাছে শয়তানের কুপ্ররোচনা থেকে পরিত্রান ও ক্ষমা চান অাবশ্যই অাল্লাহ অাপনার নামাজের ভূলত্রুটি ক্ষমা করবেন ইনশা-অাল্লাহ !
নামাজ হয়ে যাবে । কিন্তু নামাজের যে খুশু-খুযুর সহিত পড়লে যে সওয়াব পেতেন তার কিছুটা কম পাবে না । কেননা নামাজের মধ্যে খুশু খুজু ও ধ্যান খেলে সহিত নামাজ আদায় করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এবং আল্লাহু খুসু খুযু সহিত নামাজ পড়া কে অনেক পছন্দ করেন । এবং আপনি চেষ্টা করবেন খুশু-খুযুর সাথে নামাজ পড়ার । আপনার জন্য আরেকটি টিপস হল আপনি যখন নামাজে দাঁড়াবেন তখন চিন্তা করবেন আমার সামনে আল্লাহ আছেন আমি যা করতেছি আল্লাহ তা দেখতেছেন, এবং মনে করবেন এটাই হয়তো আমার জীবনের শেষ নামাজ ।
এক্ষেত্রে নামাজ হবে। তবে নামাজ শেষে শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে পানাহ, তওবা, দোয়া এবং ইস্তেগফার পড়তে হবে। আবূ সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ ইবলিস তার রবকে বলেছে, আপনার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম, আমি বনি আদমকে ভ্রষ্ট করতেই থাকব যতক্ষণ তাদের মধ্যে রূহ থাকে। আল্লাহ বলেনঃ আমার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম, আমি তাদের ক্ষমা করতে থাকব যতক্ষণ তারা আমার নিকট ইস্তেগফার করে। (সহিহ হাদিসে কুদসি, হাদিস নম্বরঃ ৩২) নামাজে থাকা অবস্থায় মনের মধ্যে অনেক কথা স্বরন হওয়া স্বাভাবিক। তা ফেরানোর চেষ্টা এবং নামাজে মনযোগ আনতে হবে। যেন আপনি নামাজ পড়ছেন আল্লাহ দাড়িয়ে তা দেখছেন এমন তাকওয়া অন্তরে আনতে হবে।