রোজার নিয়ত আপনাকে সাহ্ রী খাওয়ার পর করতে হবে। যদি আপনি তা ভুলে যান তাহলে আপনাকে দুপুরের আগে রোজার নিয়ত করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রোজার নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত না করলে রোজা হবে না। অন্তরের দৃঢ় সংকল্পকে নিয়ত বলা হয়। মুখে বলা জরুরি নয়। এ সম্পর্কে আল্লামা শামি (রহ.) লিখেছেন, ‘আভিধানিক সূত্রে নিয়ত হলো ‘আজম’ আর আজম বলা হয়- মনের দৃঢ় সংকল্পকে।’ -ফাতাওয়ায়ে শামি : ২/৯০

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নিয়ত রোজার রোকন তথা শর্ত। আর ইবাদতের সওয়াবও নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। হাদিস শরিফে আছে, ‘সকল আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ নির্ভরযোগ্য ফিকহি উদ্ধৃতিসহ নিয়ত সংক্রান্ত কিছু মাসয়ালা হলো- মাসয়ালা: ফরজ রোজার নিয়ত রাত বাকি থাকতেই করা উত্তম। উম্মুল মুমিনিন হজরত হাফসা (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের আগে রোজা রাখার নিয়ত করবে না তার রোজা (পূর্ণাঙ্গ) হবে না।’ -সুনানে আবু দাউদ: ১/৩৩৩ ★এই হাদিসকে ভিত্তি ধরে ইসলামি স্কলাররা বলেন, দিনের দ্বিপ্রহরের আগে রোজার নিয়ত করা না হয়ে থাকলে সেই রোজা সহিহ হবে না। এর পরও রোজাহীন অবস্থায় দিনের বাকি সময়ে পানাহার করা রমজানুল মোবারকের সম্মানের বিরোধী বলে তা জায়েজ নয়। -সূত্র : ইমদাদুল ফাতাওয়া: ১/১৭৩ নফল রোজা, নির্দিষ্ট মানতের রোজা এবং রমজানের রোজাসমূহের নিয়ত রাতের বেলা অথবা শরিয়তের ঘোষিত দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত করা গেলেও অন্য সব ধরনের রোজার জন্য রাতেই নিয়ত করে নেওয়া জরুরি। - ফাতাওয়া দারুল উলুম: ৬/৩৪৬ মাসয়ালা : মনে মনে নিয়ত করাই যথেষ্ট। অথবা এরূপ করবে, ‘নাওয়াইতুআন আসুমা গাদাম মিন শাহরি রামাজান।’ অর্থাৎ ‘রমজান মাসের আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করছি।’ এক কথায়, আরবিতে হোক বা বাংলায় হোক কিংবা নিজ নিজ ভাষায় হোক- আমি রোজা রাখছি এটা স্পষ্ট করতে হবে, এটাই রোজার নিয়ত। ★★★,ইসলামি স্কলাররা বলেন, দিনের দ্বিপ্রহরের আগে রোজার নিয়ত করা না হয়ে থাকলে সেই রোজা সহিহ হবে না। এর পরও রোজাহীন অবস্থায় দিনের বাকি সময়ে পানাহার করা রমজানুল মোবারকের সম্মানের বিরোধী বলে তা জায়েজ নয়. আর এটা কাযা করলে হবে,কাফফারা দিতে হবে না

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনার মনের গোপন খবর একমাত্র আল্লাহ তায়ালা-ই ভাল জানেন। রোজার নিয়ত মুখে বলা জরুরি নয়। মনের সংকল্প বা ইচ্ছা-ই হচ্ছে নিয়ত। উদাহরণঃ-নিয়ত হলো এই রকম যে, আপনি রোজা থাকার উদ্দেশ্যে মোবাইলে যেই এলার্ম দিয়ে রাখেন এটাই হচ্ছে নিয়ত। আর খাওয়ার পরে "নাওয়াই তোয়ান আছুমা" বলাটা হচ্ছে দোয়া। দোয়ার অর্থ এই রকম যে, হে আল্লাহ আপনাকে খুশি করার উদ্দেশ্যে আমি এই খাবার খাইছি আপনি তা কবুল করে নিন। নাওয়াইতুয়ান আছুমা গাদাম বললে, না বললে-ও রোজা হবে। তাঁহার ঐ রোজার ক্বাফফারা বিষয়ক শরীয়তের কোন হুকুম নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যদি কেউ রমাযানে রোযার নিয়ত না করে এবং খাওয়া দাওয়া করে তবে কোনো কাফফারা আসবে না। কাফফারা আসে যখন রোযা রেখে ইচ্ছাকৃত ভেঙ্গে ফেলা হয়। এখানে তো রোযাই রাখা হয় নি। তাই ভাঙ্গার প্রশ্ন নেই। পরবর্তীতে এ রোযার কাযা করতে হবে। তবে বিনা কারণে রমাযনে রোযা না রাখার কারণে গুনাহগার হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ