হাই প্রেসার হওয়ার কিছু লক্ষণ: একটু খারাপ বোধ করলে, মাথা ধরলে, ঘুম কম হলে, কাজে অনীহা দেখা দিলে, চলতে ফিরতে অসুবিধা বোধ করলে, তখন মনে করেন প্রেসারটা চেক করানো দরকার। এ সময় প্রেসার চেক করে 'হাই' পেলে আমরা অনেকেই ভাবে কাজের চাপ কমালে, দুশ্চিন্তা বা টেনশন কমালে প্রেসার আবার ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু প্রেসার কমে গেলে তখনই প্রেসার চেক করার কথা ভুলে গিয়ে আবার কাজকর্মে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এভাবে অনেক বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ডাক্তার দেখানো বা চেকআপ করার সুযোগ ও সময় মিলে না অনেকের। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণ করলে অনেক ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও স্বাস্থ্যগত দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। উচ্চ রক্তচাপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তার জন্য কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। এই বৃদ্ধিকালীন সময়ে রোগী আপাতত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারেন। অনেকের শরীরে উচ্চ রক্তচাপজনিত কোনো ধরনের লক্ষণই দেখা দেয় না, তখন ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারে না যে তিনি উচ্চ রক্তচাপ জাতীয় রোগে ভুগছেন। দীর্ঘ সময় ধরে কারো রক্তচাপ বেশি থাকলে, রক্তনালির নমনীয়তা কমতে থাকে, রক্তনালি আস্তে আস্তে শক্ত আকার ধারণ করে। যার ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ কমতে থাকে, ব্যক্তির জৈবিক বয়স দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে, মানে বয়সের তুলনায় ব্যক্তি বেশি বৃদ্ধ হয়ে যেতে থাকেন। উচ্চ রক্তচাপের প্রভাবে হার্টকে সমান কাজ করার জন্য আরো বেশি শক্তি প্রয়োগ করে কাজ করতে হয় ফলে হার্টের দৈহিক গঠন বৃদ্ধি পেতে থাকে, মাংসপেশির পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে হার্টের খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজন বেড়ে যায়, যার জন্য হার্টে রক্ত সরবরাহের অনুপাত ঘাটতি দেখা দেয় এবং ব্যক্তি দিনে দিনে হার্টের অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করেন। একপর্যায়ে অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি বোধ করে, অলসতা বৃদ্ধি পায়, কর্মস্পৃহা কমে যায়, কেউ কেউ হাঁটতে চলতে গেলে অথবা সিঁড়িতে উপরে উঠতে গেলে বুক ব্যথা বা বুকে চাপ অনুভব করেন। কারও কারও পায়ে পানি জমে পা ফুলে যায়। রক্তচাপ বৃদ্ধিজনিত কারণে কিডনির কার্যকারিতা দিনে দিনে কমতে থাকে। উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে মারাত্মক জটিলতা হলো যে, এর ফলে রোগী স্ট্রোক বা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।