Call

৬৩৬ মুসলিম ইবনুূু ইব্রাহীম (রহঃ) আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবূ সায়ীদ খুদরী (রাঃ) কে (শবে-কদর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা) করলাম, তিনি বললেন, একখন্ড মেঘ এসে এমন ভাবে বর্ষণ শুরু করল যে, যার ফলে (মসজিদে নববীর) ছাদ দিয়ে পানি পড়া শুরু হল। কেননা, (তখন মসজিদের) ছাদ ছিল খেজুরের ডালের তৈরী। এমন সময় সালাত (নামায/নামাজ)-এর ইকামত দেওয়া হল, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পানি ও কাদার উপর সিজদা করতে দেখলাম, এমন কি আমি তাঁর কপালেও কাদার চিহ্ন দেখতে পেলাম।  (২) ২৬৪৮। মুহাম্মদ ইবনুূু হাতিম ও ইবনুূু আবূ উমর (রহঃ) যির ইবনুূু হুবায়শ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি উবাই ইবনুূু কা’ব (রাঃ)-কে বললাম, আপনার ভাই আবদুল্লাহ ইবনুূু মাসউদ (রাঃ) বলেন যে ব্যাক্তি গোটা বছর রাত জাগরণ করে- সে কদরের রাতের সন্ধান পাবে। তিনি (উবাই) বললেন, আল্লাহ তাকে রহম করুন, এর দ্বারা তিনি একথা বুঝাতে চাচ্ছেন যে- লোকেরা যেন কেবল একটি রাতের উপর ভরসা করে বসে না থাকে। অথচ তিনি অবশ্যই জানেন যে, তা রমযনি মাসে শেষের দশ দিনের মধ্যে এবং ২৭তম রজনী। অতঃপর তিনি শপথ করে বললেন! তা ২৭তম রজনী। আমি (যির) বললাম, হে আবূল মুনযির! আপনি কিসের ভিত্তিতে তা বলছেন? তিনি বললেনঃ- বিভিন্ন আলামত ও নিদর্শনের ভিত্তিতে- যে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অবহিত করেছেন। যেমন! সেদিন সূর্য উঠবে কিন্তু তাতে আলোক রশ্মি থাকবে না। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রমযান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাত গুলিতে শবে কদর অনুসন্ধান কর।” (বুখারী) রিয়াযুস স্বা-লিহীন। হাদিস নম্বরঃ ১২০০

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, লাইলাতুল কদরের রাত উজ্জ্বল। অন্য এক বর্ণনায় আছে, নাতিশীতোষ্ণ
না ঠাণ্ডা, না গরম।" (মুসনাদ আহমদ, ত্বাবারানী, ইবনে খুযাইমাহ)

ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, লাইলাতুল কদরের রাত্রিটি হল প্রশান্ত ও আনন্দময়, না গরম আর না ঠান্ডা এবং ভোঁরে সূর্য উদিত হয়
দূর্বল ও লাল হয়ে। (ইবন খুযাইমাহ - হাদিসটি হাসান)

সে রাতের প্রভাতের সূর্য উপরে না উঠা পর্যন্ত অনুজ্বল থাকবে। (মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)।


লাইলাতুল কদরের রাতে উল্কা ছুটে না।
মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।
সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত
অধিক তৃপ্তিবোধ করবে।
কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো
তা জানিয়েও দিতে পারেন।
ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।
সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে।
যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত। [সহীহ ইবনু
খুযাইমাহ : ২১৯০, বুখারী : ২০২১,  মুসলিম]
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ