যে সব স্থানে কুরআন তিলাওয়াত করা যায় না ওই সব স্থান ব্যতিত, (অযু থাকলে ভাল) আদব সহকারে দুরূদ শরীফ পড়বেন। এটি বান্দার জন্য এমন এক ইবাদত যা স্বয়ং আল্লাহ করেন ফেরেশতাদের নিয়ে। অতপর মুমিন বান্দাগণকে দুরূদ শরীফ পড়তে আদেশ দিয়েছেন। (সূরা আহযাব)
সল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ এটিও একটি দুরূদ শরীফ। দুরূদ শরীফ পাঠ করার অনেক অনেক ফযিলত রয়েছে। দেখে নিন এখান থেকে- দুরূদ শরীফ পাঠ করার ফযিলত
দরূদ পাঠের সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। যে কোনো সময় দরূদ পাঠ করা যেতে পারে। তবে শুদ্ধ দরূদ হওয়া চাই। সবচেয়ে উত্তম দরূদ হলো হাদীসে বর্ণিত দরূদ। বানানো দরূদ না পড়াই ভালো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম শ্রবণ করলে দরূদ পাঠ করা আবশ্যক। তবে অপবিত্র জায়গা বা ময়লা আবর্জনাযুক্ত জায়গায় দরূদ না পড়া চাই।
দরুদ পাঠ করার নিদৃষ্ট কোন স্থান বা কাল নাই।আপনি যখন খুশি যেখানেই পারেন দরুদ পড়তে পারেন।
নিন্ম লিখিত হাদিশ গুলি পড়লেই বুঝবেন আশারাখি।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরূদ পাঠ করবে, তার বিনিময়ে আল্লাহ্ তার উপর দশবার দরুদ পাঠ করবেন।”[1]
২২০-(২) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “তোমরা আমার কবরকে ঈদ তথা সম্মিলনস্থলে পরিণত করবে না, আর তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ কর; কেননা তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছে যায়, তোমরা যেখানেই থাক না কেন।”[2]
২২১-(৩) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “যার সামনে আমার নাম উল্লেখ করা হলো অতঃপর সে আমার উপর দরূদ পড়লো না, সে-ই কৃপণ।”[3]
২২২-(৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “পৃথিবীতে আল্লাহর একদল ভ্রাম্যমাণ ফেরেশতা রয়েছে যারা উম্মতের পক্ষ থেকে প্রেরিত সালাম আমার কাছে পৌঁছিয়ে দেয়।”[4]
২২৩-(৫) রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “যখন কোনো ব্যক্তি আমাকে সালাম দেয়, তখন আল্লাহ আমার রূহ ফিরিয়ে দেন, যাতে আমি সালামের জবাব দিতে পারি।”[5]
[1] হাদীসটি সংকলন করেছেন, মুসলিম ১/২৮৮, নং ৩৮৪।
[2] আবূ দাউদ ২/২১৮, নং ২০৪৪; আহমাদ ২/৩৬৭, নং ৮৮০৪। আর শাইখ আলবানী একে সহীহ আবি দাঊদে ২/৩৮৩, সহীহ বলেছেন।
[3] তিরমিযী, ৫/৫৫১, নং ৩৫৪৬, ইত্যাদি। আরও দেখুন, সহীহুল জামে‘ ৩/২৫; সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৭৭।
[4] নাসাঈ, ৩/৪৩, নং ১২৮২; হাকেম, ২/৪২১। আর শাইখ আলবানী একে সহীহুন নাসাঈ ১/২৭৪, সহীহ বলেছেন।
[5] আবূ দাউদ, নং ২০৪১। আর শাইখ আলবানী সহীহ আবি দাউদে ১/৩৮৩, একে হাসান হাদীস বলেছেন।