সাধারণত আমাদের শরীরের রক্তবাহিকায় রক্ত ছাডাও বিভিন্ন জৈব উপাদান থাকে। রক্তবাহিকায় একটি নির্দিষ্ট পরিমান আয়তনে স্বাভাবিক চাপে এসকল উপাদান বাহিত হয়ে থাকে, রক্তের এ ধরনের স্বাভাবিক পরিবহনকে স্বাভাবিক রক্তচাপ বলা হয়ে থাকে। কোন কারনে এর রক্ত বাহিকায় এর উপাদান সমুহ স্বাভাবিক আয়তন থেকে বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে এর রক্ত চাপের পরিবর্তন ঘটে। সাধারণত দুই ধরনের রক্তচাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে।। রক্তবাহিকার অধিক আয়তন উচ্চ রক্তচাপ এবং কম আয়তন নিম্ন রক্তচাপ সৃষ্টি করে ।।।
একজন সুস্হ লোকের রক্তের চাপ সিস্টোলিক(systolic) ১১০ হইতে ১৪০ (মিলিমিটার) এবং ডায়াস্টলিক ( Diastolic) ৭০ হইতে ৯০ (মিলিমিটার)। সোজা কথায়, মানুষের স্বাভাবিক রক্তের চাপ=৯০+ বয়স।যদি কাহারো বয়স ৪৫ হয়,তাহা হইলে তাহার স্বাভাবিক প্রেসার হইবে ৯০+৪৫=১৩৫। ইহা হইল সিস্টোলিক প্রেসার। ডায়াস্টলিক চাপ হইবে উহার চেয়ে ৪০/৫০কম। ইহার উপরে রক্তের চাপ বাড়িলে উহাকে ,উচ্চ রক্ত চাপ ধরা হয়।বয়সের সঙ্গে সঙ্গে B P( Blood pressure) ও বাড়িতে থাকে।
হাই ব্লাড প্রেসার দুই প্রকার:
১.এসেনসিয়াল হাইপার টেনশন(Essential Hypertension)
২.সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন(Secondary Hypertension )
১.Secondary Hypertension (কারন অজানা উচ্চ রক্তচাপ) ঃ উর্ধ্ব বয়স্ক লোকেরা এই রোগে বেশী আক্রান্ত হয়।স্ত্রী-পুরুষ সমান ভাবে এই রোগে আক্রান্ত হয়। সকল প্রকার রক্ত চাপের মধ্যে এই প্রকার রক্তচাপ শতকরা ৮০ ভাগ।উর্ধ্ব বয়স্ক লোকদের মধ্যে শতকরা ২০ভাগ এই রোগে মারা যায়।
২.Essential Hypertension (এসেনসিয়াল হাইপার টেনশন) দুই প্রকার।
ক) Essential Benign (অমারাত্নক) Hypertension (এসেনসিয়াল বিনাইন হাইপারটেনশন)।
খ)Essential Malignant (মারাত্নক) Hypertension (এসেনসিয়াল মেলিগন্যান্ট হাইপারটেনশন)।
ক)Essential Benign Hypertension (অমারত্নক-কারন অজানা উচ্চ চাপ)ঃ এই রোগে ভোগা এমন কতকগুলি রুগী আছে যাহারা রক্ত চাপ থাকা সত্ত্বেও কোন কষ্ট অনুভব করে না।আবার এমন কতকগুলি রোগী আছে যাহাদের বিভিন্ন সম্যসা প্রকাশ পায়।
খ)Essential Malignant Hypertension (মারাত্নক -কারন অজানা উচ্চ রক্তচাপ) সাধারনত ২০ হইতে ৪০ বছরের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়।এই রোগে রক্ত নষ্ট হয় এবং ডায়াস্টলিক প্রেসারই ১০০হইতে১৬০ হয় বা ১৬০ পর্যন্ত হইতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত আবস্থায় দীর্ঘ দিন যাবৎ চিকিৎসা না চলিলে রোগীর অল্পদিনের মধ্যে প্রাণাশন্কা দেখা দেয়।