আমি যদি কোন মেয়েকে কুনজরে না দেখে এবং মাথা নিচু করে কথা বলে শুধু বন্ধু হিসেবে বন্ধুত্ব করি এবং জেনা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট ও সতর্ক থাকি, তবে সে মেয়ের সাথে দীর্ঘকাল বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পারব কি? ইসলাম কি এক্ষেত্রে আমাকে অনুমোদন দেবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইসলাম ধর্মে বিয়ের আগে বেগানা নারী পুরুষের সকল ধরনের সম্পর্ক হারাম।তাই মাথা নিচু করে কথা বললে,জেনা থেকে বিরত থাকলেও কোনো মেয়ের সাথে বন্ধুত্ব রাখতে পারবেন না।হোক তা অল্প সময় বা দীর্ঘ সময়ের জন্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসলামে বেয়াগানা মেয়ে-ছেলের সাথে যেকোন ধরনের মেলামেশা, কথাবার্তা ও চলাফেরা নিষেধ। তবে একান্ত প্রয়োজনের ক্ষেত্রে পর্দার সাথে কথা বলা যাবে। যদি অন্য কোনো উপায় না থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
ইসলাম আপনাকে এর অনুমোদন দিবে না। কেননা--
১. এজাতীয় বন্ধুত্ব নর-নারীকে একটা সময়ে এসে ধীরে ধীরে জিনার নিকটবর্তী করে দেয়। আর জিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুনাহ। জিনা তথা অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হারাম  এবং যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তাও হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন- وَلا تَقرَبُوا الزِّنى إِنَّهُ كانَ فاحِشَةً وَساءَ سَبيلًا “আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।”(সূরা ইসরা ৩২)

২. এজাতীয় বন্ধুত্ব করলে শয়তান অবশ্যই জিনা করতে প্রলুব্ধ করবে। প্রেমিক-প্রেমিকা নির্জনতা কামনা করবে। আর এটা হারাম। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, أَلاَ لاَ يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِامْرَأَةٍ إِلاَّكَانَ ثَالِثَهُمَا الشَّيْطَانُ “শুনে রাখ, কোন পুরুষ যেন কোন মহিলার সঙ্গে নিভৃতে একত্রিত না হয় অন্যথায় শয়তান অবশ্যই তৃতীয় জন হিসাবে হাযির থাকে।” (ইবনু মাজাহ ২৩৬৩, তিরমিযি ২১৬৫)

৩. অপর হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন-

اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظْرُ وَالْاُذُنَانِ زِنَاهُمَا الْاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُمَا الْككَلَامُ وَالْيَدُ زِنَاهُمَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهُمَا الخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوِىْ وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَالِكَ الْفَرْجُ اَوْ يُكَذِّبُه

“দুই চোখের ব্যভিচার হল হারাম দৃষ্টি দেয়া, দুই কানের ব্যভিচার হল পরনারীর কণ্ঠস্বর শোনা, যবানের ব্যভিচার হল অশোভন উক্তি, হাতের ব্যভিচার হল পরনারী স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হল গুনাহর কাজের দিকে পা বাড়ান, অন্তরের ব্যভিচার হল কামনা-বাসনা আর গুপ্তাঙ্গঁ তা সত্য অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।” (মেশকাত ১/৩২)

লা বাহুল্য, এর সবগুলোই ধীরে ধীরে এজাতীয় হারাম-বন্ধুত্বে অনুপ্রেশ করে থাকে।

৪. এছাড়াও হারাম-বন্ধুত্ব অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন – وَمِنَ النَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ اللَّـهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّـهِ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِّلَّـهِ “আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে।” (সূরা বাক্বারা ১৬৫)

উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দী

http://quranerjyoti.com

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ