শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৪৯৯ ধারা অনুযায়ী-

"যে ব্যক্তি এইরূপ অভিপ্রায়ে বা এইরুপ জানিয়া বা এইরুপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকা সত্ত্বেও কথিত বা পাঠের জন্য অভিপ্রেত শব্দাবলী বা চিহ্নাদি বা দৃশ্যমান কল্পমূর্তির সাহায্যে কোন ব্যক্তি সম্পর্কিত কোন নিন্দাবাদ প্রণয়ন বা প্রকাশ করে যে অনুরূপ নিন্দাবাদ অনুরূপ ব্যক্তির সুনাম নষ্ট করিবে, সেই ব্যক্তি অতঃপর ব্যতিক্রান্ত ক্ষেত্রসমূহ ব্যতিত উক্ত ব্যক্তির মানহানি করে বলিয়া গণ্য হইবে।"

এরূপ মামলা দেওয়ানী, ফৌজদারি উভয় বিচারব্যবস্থার অধীনেই করা যাবে।

শাস্তি→ অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামি ২ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।



উল্লেখ্য যে, সব ধরণের মানহানির ঘটনায় এই আইন কার্যকর হবেনা। এ ধরণের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রেক্ষাপট নিম্নরূপ-

  • জনগণের কল্যাণার্থে কারো প্রতি সত্য দোষারোপ করলে, তাতে মানহানি হবে না। 
  • জনগণের প্রতি সরকারি কর্মচারীর আচরণ সম্পর্কে সৎ বিশ্বাসে অভিমত প্রকাশ করলে তা মানহানির শামিল হবে না। 
  • আদালতসমূহের কার্যবিবরণী প্রতিবেদন প্রকাশ করা মানহানির অন্তর্ভুক্ত হবে না। 
  • যে কোনো জনসমস্যা সম্পর্কে কোনো ব্যক্তির আচরণ সম্পর্কে সৎবিশ্বাসে অভিমত প্রকশ করা মানহানির শামিল নয়। 
  • আদালতে সিদ্ধান্তকৃত মামলার দোষ, গুণ বা সাক্ষীদের সম্পর্কে বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আচরণ সম্পর্কে অভিমত মানহানির পর্যায়ে পড়বে না। 
  • গণঅনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানাবলি সম্পর্কে কোনো মতামত প্রদান মানহানি নয়। 
  • কর্তৃত্বসম্পন্ন ব্যক্তির কাছে সৎবিশ্বাসে কারো সম্পর্কে অভিযোগ করা হলে সেটিও মানহানি হবে না। যেমন- পুলিশের কাছে কারো ব্যাপারে সৎ বিশ্বাসে অভিযোগ। 
  • কোনো ব্যক্তি কর্তৃক তার বা অন্য কারো স্বার্থ রক্ষার্থে দোষারোপ করা মানহানি নয়। 
  • গণকল্যাণার্থে সতর্কতা প্রদানের উদ্দেশ্যে কারো সম্পর্কে কিছু বলা হলে, সেটিও মানহানি হবে না।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ