ভুলে আত্মহত্যার শাস্তি হবে না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে যদি আত্মহত্যা করে, তখন তা হারাম ও তার শাস্তি জাহান্নাম। পরকালে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আর যে কেউ স্বেচ্ছায় কোনো মুমিনকে হত্যা করবে, তার শাস্তি হবে জাহান্নাম। তন্মধ্যে সে সদা অবস্থান করবে এবং আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ ও তাকে অভিশপ্ত করেন। তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৯৩) এ আয়াতে আত্মহত্যার বিষয়ও রয়েছে। বাহরুর রায়েকে এসেছে : ফতওয়ায়ে কাজিখানে কিতাবুল ওয়াকফে আছে, দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন নিজেকে হত্যা করেছে, আর দ্বিতীয়জন অন্যকে হত্যা করেছে, তখন যে নিজেকে হত্যা করেছে, তার পাপ বেশি হবে। ’ (বাহরুর রায়েক, খণ্ড ২, পৃ. ২১৫)। কেননা অন্যকে হত্যা করলে আপসের মাধ্যমে তাওবা করার সুযোগ থাকে; কিন্তু আত্মহত্যাকারীর জন্য তাওবার কোনো পথ থাকে না। আত্মহত্যার শাস্তি আত্মহত্যাকারী নিজেকে যে উপায়ে হত্যা করবে, তাকে সেভাবে জাহান্নামে শাস্তি দেওয়া হবে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড় থেকে লাফ দিয়ে নিজেকে হত্যা করবে, সে জাহান্নামে লাফ দিতে থাকবে স্থায়ীভাবে। আর যে ব্যক্তি বিষপানে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ তার হাতে থাকবে, জাহান্নামে সে স্থায়ীভাবে থাকবে। আর যে ব্যক্তি নিজেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করবে, জাহান্নামে সেই ছুরি তার হাতে থাকবে। তা দিয়ে সে তার পেটে আঘাত করবে, তাতে সে স্থায়ীভাবে থাকবে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৫৭৭৮) আত্মহত্যাকারী কি স্থায়ী জাহান্নামি? আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের বিশ্বাস হলো, যারা ইমান নিয়ে দুনিয়া থেকে যাবে, তারা স্থায়ী জাহান্নামি হবে না। যে হাদিসে আত্মহত্যাকারীর জন্য স্থায়ী জাহান্নামের কথা রয়েছে, তার ব্যাখ্যা হলো—তা ওই লোকের জন্য, যে তাকে হালাল মনে করেছে। তখন তো সে কাফির হয়ে যাবে। তাই আত্মহত্যাকারীকে যত দিন ইচ্ছা আল্লাহ শাস্তি দিয়ে পরে ইমানের কারণে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।