শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

 পর্দা নারীকে মানুষের কাছে প্রিয় করে তোলে। প্রিয় করে আল্লাহ ও তার রাসূল সা. এর কাছে। হিজাব হল নারীর সম্মানের প্রতীক। পর্দা তথা হিজাব পড়লে নারী থাকে চির সুরক্ষিত।
পক্ষান্তরে, বে-পর্দা নারীকে তিলে তিলে ধ্বংস করে। নারীর মহামূল্যবান সতীত্ব থেকে শুরু করে সব নষ্ট করে দেয়। মানুষ ভালোবাসে না, সম্মানের চোখে দেখে না যারা পর্দা করে না। পর্দাহীন মহিলাকে ঘরে বাইরে সব জায়গাতেই সইতে হয় অপমান, লাঞ্চনা, বঞ্চনা। ধ্বংস তাদের অনিবার্য যারা আল্লাহর আদেশ অমান্য করে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা তাই বলেন- আল্লাহর পরিবর্তে কেউ শয়তানকে অভিবাবক রূপে গ্রহণ করলে সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হবে। [সূরা নিসা : ১১৯]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মেয়েদের জন্য পর্দা করা ফরজ। আর কেউ ফরজ পালন না করলে। জাহান্নাম অনিবার্য। তবে সেটা আল্লাহর উপর তিনি ক্ষমাশীল। তার কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করতেই পারে। জাহান্নামের শাস্তি বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তবে জাহান্নামের সবথেকে কম শাস্তি প্রাপ্ত ব্যক্তির পায়ে কিয়ামতের দিন একজোড়া আগুনের জুতা থাকবে আর সেই আগুনের উত্তাপে তার মাথার মগজ টগবগ করতে থাকবে। তার থেকে অনুমান করুন জাহান্নামের শাস্তি কত ভয়াবহ হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ভাই আপনার প্রশ্নের উত্তর কুরআন হাদীসের আলোকে হলো:---- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ দু’ শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামী হবে: - যারা গরুর লেজ সদৃশ বেত দ্বারা মানুষকে প্রহার করে এবং যে সব নারী এত পাতলা পোশাক পরিধান করে যে তার ভেতর দিয়ে শরীরের অংশ দেখা যায় এবং উটের কুঁজের মতন কেশ বিন্যাস করবে। এ নারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না, যা বহুদূর থেকে পাওয়া যায়।'' [সহীহ মুসলিম হাদিস নং: ২১২৭,মুসনাদে আহমাদ, হাদীস:৮৬৬৫] ২) রাসুল [সা.] বলেছেন, তিন শ্রেণীর মানুষের উপর জান্নাত হারাম অর্থাৎ এই তিন শ্রেণীর মানুষ কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। প্রথম শ্রেণী হলো- যারা কোনো প্রকার নেশাদারদ্রব্য পান বা গ্রহণ করে। দ্বিতীয় শ্রেণী হলো- যে বা যারা পিতা-মাতারঅবাধ্য, এই শ্রেণীভূক্ত মানুষরাওজান্নাতে যাবে না। তৃতীয় শ্রেণী হলো-দাইউস। ঐ দাইউস ব্যক্তি যে তার পরিবারে পর্দা প্রথা চালু রাখেনি। পরিবারের সদ্যসের মাঝে বেপর্দা ছিলো, বেহায়াপনা ছিলো কিন্তু সে বাধা প্রদান করেনি। পরিবারের কর্তা হিসেবে বেপর্দা-বেহায়াপনা বন্ধ না করার জন্য এই শাস্তি পাবে সে। [মুসনাদে আহমাদ: ২/৬৯] ৩) আর সুগন্ধি আকর্ষণের এমন একটি মাধ্যম যা দৃষ্টি-অবনত ব্যাক্তিকেও আকৃষ্ট করে। সুতরাং এ বিষয়ে কতটা সতর্ক থাকা দরকার তা নিজেরাই ভেবে দেখি। হাদীস শরীফে এসেছে, ‘‘প্রত্যেক চোখ যিনা করে। আর কোন নারী যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন মজলিশের পাশ দিয়ে যায় তাহলে সেও নযরের যিনা বা সরাসরি যিনার প্রতি প্রলব্ধুকারী হিসেবে গণ্য হবে। (জামেতিরমিযী, হাদীস:২৭৮৬) ৪) রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে নির্জনে মিলিত হলে নিঃসন্দেহে তাদের তৃতীয়জন হয় শয়তান।(অর্থাৎ তখন শয়তান তাদের মনে কুমন্ত্রণা দেয়)।” (জামে তিরমিযী,হাদীস : ১১৭১) ৫) রাসুল(সঃ) ইরশাদ করেন, খবরদার তোমার বেগানা স্ত্রীলোকের ঘরে প্রবেশ করো না। জনৈক সাহাবী জিজ্ঞাসা করেন ইয়া রাসুলুল্লাহ(সঃ) স্বামীর ভাইদের(ভাসুর, দেবর, বেয়াই ইত্যাদি) সম্পর্কে কি নির্দেশ? রাসুল(সঃ) ইরশাদ করেন তারা তো স্ত্রীর জন্য মৃত্যুতুল্য। অর্থাৎ মহাবিপদতুল্য। (তিরমিজিঃ ১/২২০)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ