বাংলাদেশে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহ ও আল্লাহ্‌র রাসূলকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়। এছাড়া, তারা ইসলাম ধর্মের নানা বিষয় নিয়ে খুব নোংরা ভাষায় কথা বলে। আমার প্রশ্ন হল বাংলাদেশের আইন কি বলে? এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে বাংলাদেশের আইনের আলোকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? আমি জানতে চাই এই কাজগুলো যারা করে তাদের বিরূদ্ধে একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে কি আমি কোন আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারব? নিলে প্রক্রিয়াটা জানাবেন কি 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

চেষ্টা করার পরেও যদি তারা হেদায়েত না হয়। তাহলে ইসলামী হুকুম মোতাবে কতল করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের ২৯৫ ক ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অসদুদ্দেশ্যে লিখিত বা মৌখিক বক্তব্য দ্বারা কিংবা দৃশ্যমান অঙ্গভঙ্গি দ্বারা সংশ্লিষ্ট ধর্মটিকে বা কারো ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অবমাননা করে বা অবমাননার চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিকে দুই বছর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা অর্থদণ্ড কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে। এ ধারা মতে আপনি ধর্মবিরোধী বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। এ জন্য আপনাকে একজ উকিলের দ্বারস্থ হতে হবে। উকিলের মাধ্যমে আপনাকে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তবে আমাদের জেনে রাখতে হবে, আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তেমন কিছু আশা করা যায় না। কারণ যারা ক্ষমতার মগডালে আছেন তাদের চাই ক্ষমতা; ধর্ম নয়। ক্ষমতা রক্ষায় তারা যাচ্ছে তাই করতে পারেন। ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান করলে যদি তাদের ক্ষমতা টিকে তবে তারা ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান করবেন। অন্যদিকে ধর্মের পক্ষে অবস্থান করলে যদি ক্ষমতা টিকে তাহলে তারা ধর্মের পক্ষে অবস্থান করবেন। তারা ধর্মটাকে ক্ষমতার প্রয়োজনে ব্যবহার করেন। ক্ষমতা রক্ষার্থে যদি ধর্মের কচুকাটা করতে হয় তাও তারা করবেন। এটা হলো বর্তমানের বাস্তবতা। সুতরাং আইন দিয়ে কিছুই করা যাবে না। তাদের ক্ষমতার প্রয়োজনে তারা আইনকে পরিবর্তনও করতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ