সহবাসকালীন সময়ে প্রসুতি স্ত্রীর স্তন চোষণের সময় যদি ভুলক্রমে কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে দুগ্ধ স্বামীর মুখে প্রবেশ করে,তাহলে স্বামী সেই দুগ্ধ গিলে খাবে নাকি উগরে ফেলে দিবে। . আশা করি এব্যাপারে হাদীস কিংবা ইসলামি চিন্তাবীদদের বিশ্লেষণীয় উক্তি উত্তর হিসেবে প্রদান করবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

স্বামীর জন্য বৈধ তার স্ত্রীর স্তনবৃত্ত চোষণ করে উত্তেজনা বৃদ্বি করা । এ ক্ষেত্রে যদি স্ত্রীর দুধ তার পেটে চলে যায় তাহলে তাতে কোন প্রকার ক্ষতি হবেনা এবং স্ত্রী তালাক হয়ে যায় না । তবে স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য হারাম হবে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

স্বামীর জন্য স্ত্রীর দুধ পান করা হারাম ও কবীরা গুনাহ। তাই স্বামী-স্ত্রীর বিশেষ মুহূর্তে হোক বা অন্য যে কোন অবস্থাতেই হোক না কেন স্ত্রীর স্তন মুখে নেওয়ার সময় খুবই সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোন অবস্থাতেই স্ত্রীর দুধ পেটের ভিররে চলে না যায়। এরপরও যদি তা পান করে ফেলে, তা হলে এ কাজটি হারাম ও মারাত্মক গুনাহের কাজ হবে।
(তবে এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে কোন সমস্যা হবে না। বা তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হবে না)
কিন্তু কাজটি যেহেতু অন্যায় ও মরাত্মক গুনাহের কাজ হয়েছে, তার এর জন্য খাস দিলে তাদের উভয়কে তাওবা ইস্তিগফার করতে হবে এবং ভবিষ্যতে যেন এমন আর না হয়, সেজন্য দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞা করতে হবে।

স্ত্রীর স্তন চোষার ফলে যদি দুধ বেরিয়ে মুখে চলে আসে (অনিচ্ছাকৃত বা ভুলক্রমে) তাহলে সে দুধ “কণ্ঠনালী”তে যাওয়ার পূর্বেই ফেলে দিতে হবে, যেহেতু স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য হারাম। আর স্ত্রীর স্তন চোষার ফলে যেহেতু দুধ বেরিয়ে তাহলে স্বামীকে এটা করা ছেড়ে দিতে হবে। এর পরিবর্তে স্ত্রীর কাম উত্তেজনা জাগাতে তাঁর স্তন লেহন করে উত্তেজনা জাগাতে পারেন। স্ত্রীর দুধ পান করার ব্যতিত স্তন লেহন, টিপুনি, মর্দন, চুম্বন করা জায়েয আছে।

তথ্যসূ্ত্রঃ
ফাতাওয়া শামী ৬/৫৬৭, ফাতাওয়া আলমগীরী ১/৩৪২, ৩/২০৯, ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ ৬/৪৪৭।

সমাধান দিয়েছেন,
মুফতী মাহবুব হাসান
মুহাদ্দিস, মাদ্রাসায়ে হালিমাতুস সাদিয়া রা. ঢাকা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ