রোজা রাখার পর শরীর খারাপ হয়ে যায়।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মাহে রমজান সঠিকভাবে পালন করার জন্য প্রয়োজন সুস্থ শরীর। আর তাই, নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবারের রুটিন। এছাড়াও রমজানের প্রতিটি রোজা সুস্থাবস্থায় পালন করতে প্রয়োজন রুটিন মেনে চলার একনিষ্ঠতা। আপনার জন্য রমজানের রোজা সুস্থ-সবল দেহ নিয়ে পালনের জন্য রইলো নিচের কিছু টিপসঃ

১। শরীর চর্চার সঠিক সময় হচ্ছে ইফতারের ঠিক পূর্বে। তাই, ইফতারের ঘণ্টা দু-এক আগে নিজের শরীর চাঙ্গা রাখতে করুন হালকা ব্যায়াম বা যোগ ব্যায়াম।

২। কম শারীরিক পরিশ্রম লাগে, কিন্তু উপকারী- এমন এক্টিভিটিস বেছে নিন। যেমন, আধা ঘণ্টা করে নিয়মিত সময়ে হাঁটাহাঁটি করা।

৩। ভারী ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। এতে করে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং পরবর্তী কিছু দিনের রুটিন ব্যায়ামে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। রুটিন বজায় রাখার জন্য যতটুকু ব্যায়াম করা যায়, তা করে যান।

৪। যদি ব্যায়ামরত অবস্থায় মাথা ব্যথা করে, অথবা দুর্বল অনুভব করতে থাকেন, তবে সাথে সাথে ব্যায়াম থেকে সেদিনের জন্য বিরতি নিন।

৫। আপনি শারীরিকভাবে পারফেক্ট থাকলেও মনে রাখবেন, রমজানের রোজা আপনার দেহকে কিছুটা দুর্বল করে দিতে পারে। আর তাই, পুষ্টিকর খাবারের মেন্যু তৈরি করবেন।

৬। রমজানে অবশ্যই সেহরি করবেন নিয়মিত। সেহরিতে আমিষ জাতীয় খাবারের চেয়ে শর্করা জাতীয় খাবার বেশি থাকলে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবেন। অতিরিক্ত পেট ভরে খাবেন না। যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান করবেন। সম্ভব হলে ২/১টা ফল রাখবেন সেহরির মেন্যুতে।

৭। দাবদাহের দিনগুলোতে দুপুরে যতটা সম্ভব বাইরে না থাকার চেষ্টা করবেন। বৃষ্টি হলে অবশ্যই ছাতা নিয়ে বের হবেন। ভিজে সর্দি-কাশি হলে তা রোজা রাখার অন্তরায় হতে পারে।

৮। ইফতারে গোগ্রাসে খাবার খাবেন না। হালকা খাবার দিয়ে শুরু করুন, পানি জাতীয় খাবার বেশি করে খান। ঘণ্টাখানেক সময় নিয়ে ইফতার করবেন না। অতিরিক্ত খাবার থেকে বিরত থাকুন। ভাজা-পোড়া খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

৯। চা-কফি পান না করাই মঙ্গল। এতে করে দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। চা-কফির স্থলে বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা পানীয় পান করুন।

১০। বাজারে আম, কাঁঠাল, লিচুসহ বাহারি ফলের সমাহার। স্বাস্থ্যসম্পন্ন ফল দিয়ে সাজাতে পারেন ডেজার্টের মেন্যু।

১১। পানির কোন বিকল্প নেই। ঘুমানোর আগে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করবেন, যেন পানিস্বল্পতা দেখা না দেয়।

১২। ইফতারের পর ১৫-২০ মিনিটের জন্য বাইরে হেঁটে আসতে পারেন।

(সংগৃহীত সকল রোজাদারের জন্য)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

* ইফতারে অতিরিক্ত মিষ্টি ও তৈলাক্ত খাবার খাবেন না। * পর্যাপ্ত পানি ও তরল, ফল, শাকসবজি, ডাল গ্রহণ করতে হবে। * ইফতারে অধিক ভোজন ও সেহরিতে স্বল্প আহার পরিত্যাগ করুন। যা এড়িয়ে চলা দরকার:::::>> * বেশি ভাজাপোড়া খাবার। এগুলো দেহে বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া অথবা ওজন বাড়াতে কাজ করে। * যেসব খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকে। * অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ, বিশেষ করে সেহরি ও ইফতারের সময়। * অতিরিক্ত চা ও কফি। আরও তথ্য জানতে -->> http://shobujbanglablog.net/সুস্থ-থাকুন-পুরো-রমজান/

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ