শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পবিত্র কুরআনে সূরা জ্বিন-এ আল্লাহ তা’আলা বলেন, { وَأَنَّا لا نَدْرِي أَشَرٌّ أُرِيدَ بِمَنْ فِي الأرْضِ أَمْ أَرَادَ بِهِمْ رَبُّهُمْ رَشَدًا } অর্থঃ : আমরা জানি না পৃথিবীবাসীদের অমঙ্গল সাধন করা অভীষ্ট, না তাদের প্রতিপালক তাদের মঙ্গল সাধন করার ইচ্ছা রাখেন। (৭২:১০) এ আয়াতের জ্বিনদের কথায় আল্লাহ তা’আলার প্রতি বান্দার আদব কেমন হওয়া উচিৎ, তার চমৎকার উদাহরণ পাওয়া যায়। জ্বিনরা মঙ্গল –এর কর্তা সরাসরি আল্লাহকে বলেছে, অথচ, অমঙ্গলের কর্তা তারা অস্পষ্ট রেখেছে। এটাই আদব। অর্থঃ াৎ মঙ্গলকে আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করা আর অমঙ্গলকে নিজের কৃতকর্মের সাথে সম্পৃক্ত করা। হাদীসে আছে, নবীজী স. দু’আয় বলতেন, الخير في يديك و الشر ليس إليكঅর্থঃ : ‘মঙ্গল তো আপনার হাতে, আর অমঙ্গল আপনার সাথে সম্পৃক্ত নয়’। (মুসতাদরাক:৩৩৮৪) এছাড়া খুৎবার শুরুতে তিনি বলতেন, و نعوذبك من شرور انفسنا و من سيئات اعمالنا অর্থঃ : ‘আর আমরা আপনার কাছে আমাদের অমঙ্গল থেকে এবং আমাদের কৃতকর্মের খারাবি থেকে আশ্রয় চাচ্ছি’। এখানেও দেখুন, তিনি যাবতীয় অমঙ্গলকে নিজের/কৃতকর্মের সাথে সম্পৃক্ত করতেন। অথচ মঙ্গল-অমঙ্গল –সবকিছুর স্রষ্টাই কিন্তু আল্লাহ। যেমনটা আমরা ঈমানের ক্ষেত্রে বলি: نؤمن بالقدر خيره و شره من الله تعالي অর্থঃ : আমরা তাকদীরের ব্যাপারে বিশ্বাস রাখি, যে, মঙ্গল-অমঙ্গল সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। আসলে ব্যাপারটা হলো, মঙ্গল-অমঙ্গল বিষয়টা আপেক্ষিক। যেমন ধরুন, কোথাও খুব বৃষ্টি হলো। এতে একজন যেমন গরম থেকে নিস্তার পেয়ে আরাম পাবে, আরেকজন বিবিধ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বুঝা যাচ্ছে, একই জিনিস একজনের দিকে লক্ষ্য করলে মঙ্গল হতে পারে, অপরজনের দিকে লক্ষ্য করলে অমঙ্গল হতে পারে। অতএব আল্লাহ যা করেন, তার সবই মঙ্গল। হয়ত কখনো কখনো বান্দার দিকে লক্ষ্য করলে তাকে অমঙ্গল মনে হয়, কিন্তু আল্লাহর দিকে লক্ষ্য করলে তা অবশ্যই মঙ্গল। কারণ পরিণতিতে সেটাও কোনো না কোনো মঙ্গলের কারণ হয়। দুনিয়াতে বা আখিরাতে। আর এসব কারণেই মানুষের মাঝে প্রচলিত আছে যে, ‘আল্লাহ যা করেন, মঙ্গলের জন্য করেন’।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ