আমি যদি এভাবে মানত করি যে, আল্লাহ তায়ালা আমার এই আশাটা যতদিন পূরণ না করেন ততদিন নফল রোজা রাখবো। এখন, জানতে চাচ্ছি, এভাবে মানত করলে জায়েজ হবে কি?
ইসলামের দৃষ্টিতে মানত করা জায়েজ। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেছেন, তারা যেন তাদের মানতসমূহ পূর্ণ করে।
হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মানত করে, সে যেন একে আদায় করে।
তবে ইসলাম মোটেও মানত করার জন্য উৎসাহিত বা অনুপ্রাণিত করেনি।
আল্লাহ তায়ালা আমার এই আশাটা যতদিন পূরণ না করেন ততদিন নফল রোজা রাখবো এভাবে মানত করা উচিত নয়। কেননা, উক্ত আশা আজীবন পূরণ নাও হতে পারে।
আর আজীবন রোজা রাখার মানত করলে মানত হয়ে যাবে। কিন্তু এমনটি করা উচিত নয়। কারণ মানুষের অবস্থা সারা জীবন একরকম থাকে না। আজীবন রোজা রাখার মানত করলে কখনো রোজা ভাঙার সুযোগ নেই। তবে ‘আইয়ামে মানহিয়াতে’ যে পাঁচ দিন রোজা রাখা মাকরুহে তাহরিমি রোজা রাখা যাবে না। সে দিনগুলোর জন্য অবশ্যই ফিদিয়া আদায় করতে হবে। (সূত্র : ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াঃ ৪/১৪৪, খুলাসাতুল ফাতাওয়াঃ ১/২৬১)।
শরিয়তের দৃষ্টিতে যেসব দিনে রোজা রাখা নিষিদ্ধ, সেগুলো হচ্ছে, দুই ঈদের দুই দিন, কোরবানির পর তিন দিনসহ মোট পাঁচ দিন। এসব দিনে নফল, কাজা ও মানত সব ধরনের রোজা রাখাই নিষেধ। (সূত্র : মাজমাউল আনহুরঃ ১/৩৪৩)।
মানত করার পর রোজা না রাখতে পারলে করণীয়ঃ
আজীবন রোজা রাখার মানত করার পর অসুস্থতা, নারীদের ঋতুস্রাব ও সফরের কারণে রোজা রাখতে অক্ষম হলে ফিদিয়া দিতে হবে কিংবা একজন মিসকিনকে পেট ভরে খাওয়াতে হবে। যেহেতু এই রোজাগুলো কাজা করার কোনো সুযোগ নেই। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াঃ ১/৩০২)।
উল্লেখ্য, প্রতি রোজার ফিদিয়া এক সাদকাতুল ফিতির পরিমাণ।
◄❖► ◄❖ আল্লাহ-ই ভাল জানেন। ❖► ◄❖► ▬▬▬▬▬▬▬ ◄❖► ▬▬▬▬▬▬▬