শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সাধারণ মাইগ্রেনের লক্ষণ মাথাব্যথা, বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, কোনো কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তি বোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে। মাথার যেকোনো অংশ থেকে এ ব্যথা শুরু হয়। পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। চোখের ওপর হালকা চাপ দিলে আরাম লাগে। মাথার দুই পাশে কানের ওপর চাপ দিলে এবং মাথার চুল টানলেও ভালো লাগে। তখন শব্দ ও আলো ভালো লাগে না। কখনো কখনো অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় মাথাব্যথা বেড়ে যায়। ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেনের লক্ষণ এতে দৃষ্টিসমস্যা, যেমন-চোখে উজ্জ্বল আলোর অনুভূতি, হঠাৎ অন্ধকার হয়ে যাওয়া, দৃষ্টিসীমানা সরু হয়ে আসা অথবা যেকোনো এক পাশ অদৃশ্য হয়ে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ হতে পারে। ২০ মিনিট স্থায়ী এসব উপসর্গের পর বমির ভাব এবং মাথাব্যথা শুরু হয়, যা সাধারণত এক পাশে হয়। দৃষ্টির সমস্যা এক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হলে ধরে নিতে হবে এটি মাইগ্রেন নয়। মস্তিষ্ক অথবা চোখে অন্য কোনো সমস্যার কারণে দৃষ্টির এ সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। মাথাব্যথা ছাড়া শুধু দৃষ্টির সমস্যাও ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেনের লক্ষণ হতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
master

Call

মাইগ্রেন ব্যথার উপসর্গঃ মাইগ্রেনব্যথার সাথে বহু ধরনের উপসর্গ থাকতে পারে। এর মধ্যে প্রাধান হচ্ছে, চোখ অস্বচ্ছ দেখা, চোখের সামনে ছোট ছোট আলোর বিন্দু দেখা, বমি বমি ভাব, মাথার ভিতরে ধপ ধপ করা ইত্যাদি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
mdmahin01

Call

মাইগ্রেন বয়ঃসন্ধিকালে শুরু হয় এবং মাঝবয়স পর্যন্ত বারবার আঘাত হানে। রোগী কিছুদিন বা কয়েক মাস পরপর আক্রান্ত হয়। মাথাব্যথা শুরু হলে তা কয়েক ঘণ্টা, এমনকি দুই/তিন দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এটি রোগীকে দুর্বল এবং বিপর্যস্ত করে ফেলে। মাইগ্রেনের কয়েকটি ধরন আছে। তার একটি ক্লাসিক্যাল বা সচরাচর মাইগ্রেন। ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেনের শুরুটা অধিকাংশ সময়েই রোগী বুঝতে পারেন। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর দৃষ্টিবিভ্রম হয়। রোগী চোখের সামনে আলোর ঝলকানি, চোখে সর্ষে ফুল দেখে। হাত-পা, মুখের চারপাশে ঝিনঝিনে অনুভূতি হয়। শরীরের এক পাশে দুর্বলতা বা অবশভাব হতে পারে। এরপর শুরু হয় মাথাব্যথা, যা মাথার একপাশের একটি স্থান থেকে শুরু হয়ে আস্তে আস্তে সেই পাশের পুরো স্থানেই বিস্তৃত হয়। প্রচণ্ড দপদপে ব্যথা রোগীকে কাহিল করে ফেলে। রোগীর প্রচুর ঘাম হয়। বমি কিংবা বমি ভাব হয়। আলো এবং শব্দ একদম সহ্য করতে পারে না। কথা বলতেও অনিচ্ছা প্রকাশ করে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। চুপচাপ অন্ধকার ঘরে থাকতেই রোগী বেশি পছন্দ করে। ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেন ছাড়া মাইগ্রেনকে হেমিপ্লেজিক, অপথালমোপ্লেজিক, কমন মাইগ্রেন ইত্যাদি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কমন মাইগ্রেনে সাধারণত দৃষ্টিবিভ্রম থাকে না। ব্যাসিলার আর্টারি মাইগ্রেনে ব্যথা সাধারণত পেছন থেকে শুরু হয়। এর সঙ্গে মাথাঘোরা ভাব থাকে, দৃষ্টিবিভ্রম থাকতে পারে। আবার নাও থাকতে পারে। হেমিপ্লেজিক মাইগ্রেনের ব্যথা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এটি সারতে বেশ কিছুদিন সময় নেয়। -

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ