শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কান মানুষের খুবই স্পর্শকাতর একটি জায়গা। কানে সমস্যা হলে তার ফলাফল বেশ গুরুতর হতে পারে। কানে ব্যথা, ইনফেকশন বাচ্চাদের প্রায়শই অসুস্থ করে তোলে। সঠিক চিকিত্‍সা না হলে বাচ্চা বধিরও হয়ে যেতে পারে! কানে খোল জমে শক্ত হয়ে গেলে বাচ্চা সম্পূর্ণ বধির হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় সর্দি হলে কানের পর্দার পেছনে পানি জমে যায়। এ সমস্যাকে গ্লু ইয়ার বলা হয়। এটা হলে বাচ্চারা ঠিকমতো কানে শুনতে পায় না। এই সমস্যার সঠিক চিকিত্‍সা না করালে বাচ্চা বধির হয়ে যায়। তাই কানে কোনো সমস্যা হলে কখনোই হেলাফেরা করবেন না। দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

কানে ব্যথার কারণ :

*কান ব্যথার নানান কারণের মধ্যে অন্যতম হলো কানের ময়লা বা ওয়াক্স। যদি কানের ময়লা ঠিক সময়মতো পরিষ্কার না করা হয় বা অহেতুক খোঁচাখুঁচি করা হয় তাহলে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। এতে কানে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। এমনকি শিশু শ্রবণশক্তি হারিয়েও ফেলতে পারে।

*সুইমিং পুলের পানি যদি পরিষ্কার না হয়, সেই পানিতে শিশু সাঁতার কাটলে কানে 'এক্সটারনাল ইয়ার ইনফেকশন' হতে পারে। এতে কানে ব্যথার পাশাপাশি কান থেকে রস বের হয়।

*সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে কানে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে কানে ব্যথা হয়। ঠিক সময়ে চিকিত্‍সা না হলে কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে রক্ত পুঁজ বের হতে পারে। একে বলে মিডল ইয়ার ইনফেকশন। এই রোগে শিশু কানে কম শোনে এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগলেই শিশুর কান দিয়ে পানি বা পুঁজ বের হয়। এই অসুখ সংক্রামক। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এক বাচ্চা থেকে আরেক বাচ্চার মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

মনে রাখুন :

*বাচ্চা কান ব্যথার কথা বললে সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।

*ক্লিপ, কাঠি, সেফটিপিন ইত্যাদি দিয়ে বাচ্চার কান পরিষ্কার করবেন না।

*কানে অল্প খোল হলে বাড়িতেই ড্রপ ও ইয়ার বাড ব্যবহার করে পরিষ্কার করে দিন। অলিভ অয়েল দু ফোঁটা করে দুই কানে দিয়ে দিন। কানের ময়লা আপনাতেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে বেশি ময়লা জমে গেলে ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

*বাচ্চা যদি সাঁতার শেখে তাহলে পানিতে নামার আগে কানে ইয়ার প্লাগ লাগিয়ে দিন।

*ঠান্ডা লাগার পর যদি কানে ব্যথা হয় বা কান থেকে রস বের হয় তাহলে কানে তুলা গুঁজে দেবেন না। জরুরি ভিত্তিতে ইএনটি বিশেষজ্ঞ দেখান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ