শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
master

Call

প্রথমেই বুঝতে হবে যে,কারো মাইগ্রেন থাকলে কোন ওষুধে এই রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব নয়। যাদের মাইগ্রেন মাথাব্যথা থাকে, সারাজীবনই কোন না কোন সময়ে কোন না কোন কারণে এই মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। সাধারণ মাইগ্রেন হলে সাধারণত: ব্যথার ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল খেলেই কাজ হয়। যদি মাইগ্রেন বার বার হতে থাকে এবং কাজে বাধা সৃষ্টি করে, তবে কিছু শক্ত ব্যথানাশক ওষুধ এবং এর সাথে যাতে বার বার ব্যথা ফিরে না আসে সে জন্য কিছু প্রতিষেধক ওষুধ দেওযা হয়। কখনও কখনও সামান্য চশমার পাওয়ার দিতে হয়। মাইগ্রেনের মতো মাথাব্যথা অন্যান্য জটিল নিউরোলজিক্যাল রোগও হতে পারে। তাই যদি বার বার মাথাব্যথা হয় বা খুব বেশি মাথাব্যথা হয়, তবে কিছু পরীক্ষা করা প্রয়োজন হতে পারে। ডাক্তার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হলে এবং ওষুধ দিলে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। শেষ কথা: মাইগ্রেন এক ধরনের মাথাব্যথা। শিশুদেরও মাইগ্রেন হতে পারে। যাদের মাইগ্রেন থাকে, তাদের মাঝে মাঝে মাথাব্যথা হবেই। যখন প্রয়োজন, যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ওষুধ খেতে হবে কারণ সব ওষুধই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মাইগ্রেন ধরা পড়লে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। তবে অন্যান্য অনেক রোগেও মাথাব্যথা হতে পারে। তাই মাইগ্রেন জাতীয় ব্যথা হলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো উচিত এবং সঠিক পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়া উচিত। মাইগ্রেন ব্যথা কখনও অবহেলা করা উচিত নয়। সকল নিউরোলজিক্যাল, চক্ষু, নাক, সাইনাস, দাঁত ইত্যাদি পরীক্ষা করেই শুধুমাত্র নিশ্চিত হওয়া সম্ভব রোগটি মাইগ্রেন কিনা। এই রোগের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে করা উচিত। মাইগ্রেন ব্যথার জন্য বহু ধরনের ওষুধ রয়েছে। এক এক রোগীর এক এক প্রকারের ওষুধে ভাল কাজ হয়। তাই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ মাত্রায় খাওয়া উচিত। জটিল বা হঠাৎ মাথা ব্যথা হলে সব পরীক্ষা করার পর নিশ্চত হলে তবেই আপনার ডাক্তার আপনাকে সঠিক ওষুধ দিতে পারবেন। অন্য কোন রোগের জন্য মাথা ব্যথা হলে তার চিকিৎসাও সঙ্গে সঙ্গে করা উচিৎ। মাথা ব্যথা হলে অবহেলা না করে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

* মাইগ্রেন থাকলে প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। যেসব খাবার খেলে ব্যথা শুরু হতে পারে, যেমন-কফি, চকলেট, পনির, আইসক্রিম, মদ ইত্যাদি একদম বাদ দিতে হবে। * বেশি সময় না খেয়ে থাকা যাবে না। * জন্মবিরতিকরণ ওষুধ যারা খায়,তাদের সেটা সেবন না করাই শ্রেয়। * প্রয়োজনে অন্য পদ্ধতি বেছে নেওয়া যেতে পারে। * পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও দীর্ঘ ভ্রমণ বর্জনের মাধ্যমে মাইগ্রেন অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়। * চিকিৎসা বারবার মাইগ্রেনের আক্রমণ কমানোর জন্য পিজোটিফেন, অ্যামিট্টিপটাইল নি, বিটাব্লকার- জাতীয় ওষুধ কার্যকর। * মাথাব্যথা শুরু হলে প্যারাসিটামল, এসপিরিন,ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ওষুধ ভাল। * বমির ভাব কমানোর জন্য মেটোক্লোর প্রোমাইড, ডমপেরিডন-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। * এসব ওষুধে মাথাব্যথা না কমলে সুমাট্টিপটান, আরগোটামাইন-জাতীয় ঔষুধে অনেক সময় যথেষ্ট স্বস্তি পাওয়া যায়। * সবচেয়ে বড় কথা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই বারবার এ রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। মনে রাখবেন, সব মাথাব্যথাই মাইগ্রেন নয়, দৃষ্টিস্বল্পতা,মস্তিষ্কের টিউমার, মাথায় রক্তক্ষরণ প্রভৃতি কারণেও মাথাব্যথা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চক্ষুবিশেষজ্ঞের পাশাপাশি স্মায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ