শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

শিক্ষক মহোদয়ের অবসরজনিত বিদায় উপলক্ষে ছাত্রছাত্রীদের পক্ষ থেকে বিদায় বক্তব্যঃ

 

হে বিদায়ী গুরুজন,

ফাগুন বেলা, শোভিত শিমুল-পলাশের বন, কোকিলের কুহুতান। বসন্তের এমনি এক উদাসী ক্ষণে বিদায় নামের বেদনা বিধুর পর্বে আমরা উপনীত হয়েছি। দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর নিয়মের বাধ্যবাধকতা আর সময়ের তাগিদে আপনার বিদায় যেনো এক অসহনীয় যন্ত্রণার নির্মম বাস্তবতা। তাইতো বিদায়ের করুণ সুরে আমাদের অন্তর আজ অব্যক্ত বেদনায় ভারাক্রান্ত। আমাদের হৃদয়-মন আজ বিষণ্নতায়  আচ্ছন্ন; আমাদের চোখ আজ অশ্ত্রু  ছল ছল। 

 

হে শিক্ষাগুরু,

নবীনদের অন্তরে শিক্ষার আলো জ্বালাবার মহান দায়িত্ব নিয়ে একদিন যে পথে আপনার যাত্রা শুরু হয়েছিল; অবসর গ্রহণের মাধ্যমে আপনি সে পথের প্রান্তে উপনীত হয়েছেন। কিন্তু এর মাঝে জ্বালিয়ে দিয়ে গেছেন অগণিত অন্তরে জ্ঞানের স্নিগ্ধ আলো। মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে সুনিপুণ হাতে গড়ে তুলেছেন অগণিত জ্ঞানের আধার। আমাদের অগ্রজ হিসেবে অনেকেই আজ শত ক্রোশ দূরে থেকেও আপনার মত মহান কর্মীকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। তাদের অনুজ হিসেবে আমরাও আপনার প্রতি পরম শ্রদ্ধায় অবনত। 

 

হে নিরলস কর্মী,

প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালনে আপনি ছিলেন নিরলস কর্মী। তাইতো আপনার প্রতিটি দিন ছিল কর্মমুখর। নিজ দায়িত্বের প্রতি আপনি ছিলেন কর্তব্যনিষ্ঠ। আপনার কর্তব্যনিষ্ঠার সুবাদে আমরা সত্যিকার জ্ঞানের যে সন্ধান পেয়েছি, তা আলোকবর্তিকা হয়ে ভবিষ্যতে আমাদের পথ দেখাবে। আপনার স্নেহ  ও সুশাসন আমাদের স্মৃতিপটে চির ভাস্বর হয়ে বিরাজ করবে। 

 

হে মহানুভব,

আজ আপনাকে বিদায় দিতে গিয়ে আমাদের মাঝে কান্নার রোল ধ্বনিত না হলেও আমাদের কণ্ঠ আজ বাষ্পরুদ্ধ; আমাদের চোখ আজ আশ্ত্রুসজল । স্নেহভাজন হিসেবে আমরা আপনার কাছাকাছি ছিলাম। বয়সজনিত চপলতায় হয়ত কখনো মনের অজান্তে আমরা আপনার বিরক্তির কারণ হয়েছি; আমাদের কথায় বা আচরণে হয়ত কষ্ট পেয়েছেন। আজ এ বিদায় লগ্নে আপনার মহানুভবতার কাছে আমাদের দাবী- আপনি আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।  

 

পরিশেষে আপনার অবসর জীবন হোক অনাবিল সুখ-শান্তিতে সমৃদ্ধ- পরম করুণাময়ের কাছে এই আমাদের প্রার্থনা। 

 

তারিখঃ                                                                                               আপনার গুণমুগ্ধ 

............  /২০১৯

                                                                                         ................ স্কুল/কলেজের ছাত্র-ছাত্রী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

১ সম্ভাষণ : ভাষণ বা বক্তব্যের শুরুতেই উপস্থিতিদের যথাযথভাবে সম্বোধন করতে হবে। ভাষণ যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো অনুষ্ঠান উপলক্ষে লিখতে বলা হয়, তাহলে সেখানে অধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অতিথিও থাকতে পারেন। তাই ভাষণে তাদের উদ্দেশ করে সম্ভাষণ করতে হবে।

যেমন—মাননীয় প্রধান অতিথি/শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ ও উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ/প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোনেরা/সম্মানিত উপস্থিতি।

প্রতিষ্ঠানের বাইরে হলে—মাননীয় প্রধান অতিথি/সম্মানিত সভাপতি/প্রিয় এলাকাবাসী/সংগ্রামী বন্ধুরা/সম্মানিত উপস্থিতি ইত্যাদি উল্লেখ করা যেতে পারে।

 

সম্ভাষণ অংশের নমুনা—

...দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, মাননীয় প্রধান অতিথি, আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি ও মঞ্চের সামনে উপবিষ্ট সুধীমণ্ডলী; সবার প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।

 

২ ভূমিকা : সম্ভাষণের পর এমন কিছু কথা দিয়ে ভাষণ শুরু করতে হবে, যাতে ভাষণের বিষয়বস্তু সম্পর্কে শ্রোতা আগাম ধারণা পায়।

যে উপলক্ষে ভাষণ সে সম্পর্কে কিছু সাধারণ তথ্য তুলে ধরতে হবে।

 

এ অংশে প্রাসঙ্গিক উক্তি, প্রচলিত কথা কিংবা কবিতাও থাকতে পারে।

 

৩ মূল বক্তব্য : মূল বক্তব্য যেন গোছালো হয়। কোনো ঘটনা বা ইতিহাসের কথা উল্লেখ থাকলে তার যেন ধারাবাহিকতা থাকে। অপ্রয়োজনীয় কথা লেখা যাবে না। যে বিষয়বস্তুর ওপর ভাষণ লেখা হচ্ছে,

সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হবে। কী উপলক্ষে কোন বিষয়বস্তুর ওপর কাদের উদ্দেশ করে ভাষণ—সে অনুযায়ী বুঝেশুনে ভাষণের বাক্য সাজাতে হবে। পরীক্ষায় সাধারণত মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসংশ্লিষ্ট ভাষণ বেশি আসে।

 

ওপরের প্রতিটি অংশ আলাদা আলাদা প্যারায় লিখতে হবে। মূল বক্তব্য অংশ একাধিক প্যারায় লেখা যেতে পারে; প্রতিটি প্যারার শুরুতে প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোনেরা/ সুপ্রিয় সুধীমণ্ডলী ইত্যাদি যেন থাকে।

 

৪ সমাপ্তি : মূল বক্তব্যের আলোকে আশাবাদ ব্যক্ত করে কিংবা উপদেশ/অনুরোধমূলক কথা বলে ভাষন শেষ করুন।

ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Shuvo Dev

Call

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম,মঞ্চে উপস্থিত প্রধান অতিথি এবংআমার শ্রদ্ধেয় সকল শিক্ষক ও আমারসামনে উপবিষ্ট সকলকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানাই। অত্যান্ত দুঃখ ওভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হচ্ছে আজ আমাদের প্রিয় শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠান। যদিও আমরামনে করি এটা একটা বিদায়েরআনুষ্ঠানিক মাত্র। কারণ মন থেকেচিরতরে বিদায় নেওয়া হয়তো সম্ভব হবেনা। দীর্ঘদিন ধরে আমরা এইপ্রতিষ্ঠানে পড়েছি এবং এইপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষকশিক্ষিকাবৃন্দ আমাদেরকে বিভিন্নবিষয় অত্যান্ত দক্ষতার সাথেপড়িয়েছেন তা আমরা কখনোই ভুলবোনা। ইংরেজীতে বলা হয়…”The teacher is more teach what they are than what they say”আরেক মনীষী বলেছেন…”The mediocre teacher tells, the good teacher explains, the superior teacher demonstrates ,the great teacher inspires”আর আমাদের শিক্ষকরা সবসময় আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন।এজন্য আমরা আপনাদের কাছেচিরকৃতজ্ঞ। কিন্তু ইচ্ছে না থাকাসত্ত্বেও আমাদেরকে আজ অত্রপ্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে।আজ শিক্ষাজীবনের একটি অধ্যায়সমাপ্ত করে পরের আরেকটি অধ্যায়েপা রাখার উদ্দেশ্যে আমরা বিদায়নিচ্ছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়াকরবেন যেন ভবিষ্যতে শিক্ষাজীবনেআরো উন্নতি করে দেশ ও জাতি গঠনেভূমিকা রাখতে পারি। গ্রীক নাট্যকার সফোক্লিস বলেছেন…”একটি দিনের আলোর কি যে অপরুপ মহিমা তা জানতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা না করলে বোঝা যায় না।”ঠিক তেমনিএখানে দীর্ঘ শিক্ষাজীবনেআপনাদের অনেক শাসন-বাড়নের মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছে যা সাময়িকবিরক্তিকর মনে হলেও এখন এই শেষমুহূর্তে বুঝতে পারছি এটা আমাদের জন্যকতটা দরকারি ছিলো। তাই আমাদেরকোনো আচরণের যদি কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকা কষ্ট পেতে থাকেন বা ছোটকিংবা বড় কোনো ভুল করে থাকিতাহলে আমাদেরকে ক্ষমা করবেন।সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকেআমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়েনিচ্ছি।যাই হোক, বিদায়ী মুহূর্তে আর বেশিকিছু বলতে চাই না, এই প্রতিষ্ঠান এবংপ্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকাবৃন্দের দীর্ঘায়ু কামনা করে আমি আমার বক্তব্যএখানেই শেষ করছি। – ধন্যবাদ সবাইকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ