শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কাছের কারও জন্মদিন ভুলে গেলে অজুহাত না দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিন। 

একটা প্রচলিত কৌতুক আছে৷‘প্রিয়জনের জন্মদিন মনে রাখতে চান? একবার ভুলে যান, বাকি জীবন মনে রাখার ব্যবস্থা হয়ে যাবে!’ব্যবস্থা না হয় হলো, কিন্তু যেবার ভুলে গেলেন, সেবার সামাল দেবেন কী করে? বাবার ওপর অভিমান করে হয়তো গাল ফুলিয়ে বসে আছে ছোট্ট ছেলেটা৷ প্রেয়সী হয়তো রাগ করে ফোনই ধরছে না৷ কিংবা সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটির জন্মদিন ভুলে গিয়ে আপনি নিজেই লজ্জায় গুটিশুটি মেরে আছেন৷বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুলতানা আলগিন বলছিলেন, ‘ব্যাপারটা নির্ভর করে সম্পর্কের ওপর৷ জন্মদিন ভুলে গেলে কেউ মন খারাপ করে, কেউ করে না৷ কাছের মানুষ তাঁর বিশেষ দিনে আপনার কাছ থেকে একটা উপহার বা শুভকামনা আশা করতেই পারে৷ এই প্রত্যাশাকে শ্রদ্ধা করা উচিত৷ ঠিক সময় শুভেচ্ছা জানাতে পারেননি৷ যখন মনে পড়ল, তখনই বলুন৷ ’কাছের মানুষের অভিমান ভাঙানো যে খুব কঠিন কিছু না, বোঝা গেল বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া জান্নাত আফরিনের কথায়৷ গত সেপ্টেম্বর মাসে ছিল তাঁর বন্ধু ফারজানা তাবাসসুমের জন্মদিন৷ ক্যাম্পাসে দেখা হলেও, বন্ধুর জন্মদিনের কথা তাঁর মনেই ছিল না৷ পরদিন যখন মনে পড়ল, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে৷ তারপর? ‘ফারজানার সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলাম৷ মনে হলো ও কোনো কারণে আমার ওপর খেপে আছে৷ ঘটনা কী, সেটাও বুঝতে পারছিলাম না৷ পরে যখন মনে পড়ল, আমার তো মাথায় হাত৷ দোকান থেকে কেক কিনে জলদি গেলাম ওর বাসায়৷ বললাম, “স্যরি দোস্ত৷ চল, আমরা না হয় তোর আগামী জন্মদিনের কেকটা এখনই কেটে ফেলি৷” প্রথমে একটু রাগ করে থাকলেও পরে ঠিক হয়ে গিয়েছিল৷’ বলছিলেন তিনি৷জান্নাত আফরিনের বুদ্ধিটা মন্দ ছিল না৷ বিলম্বিত শুভেচ্ছা জানানোর পদ্ধতিটা কীভাবে আরও চমকপ্রদ হতে পারে, জেনে নিন কিছু পরামর্শ৷দেখা করার সুযোগ না থাকলে মুঠোফোনে কথা বলুন৷ অজুহাত দেওয়ার চেষ্টা না করে ক্ষমা চেয়ে নিন৷ সময়মতো শুভেচ্ছা জানাতে পারেননি বলে আপনি যে খুবই দুঃখিত, সেটা বুঝিয়ে বলুন৷যদি দেখা করার সুযোগ থাকে, একটা কিছু উপহার সঙ্গে নিতে চেষ্টা করুন৷ ফুল, কার্ড কিংবা অন্য কিছু৷ উপহার যে সব সময় দামি হতে হবে তা নয়৷ খুব ছোট্ট, হাতে বানানো কিছুও উপহার হিসেবে দারুণ হতে পারে৷সবচেয়ে ভালো হয় একটা ছোট চিঠি লিখতে পারলে৷ জি; এসএমএস, ই-মেইল বা ফেসবুকে মেসেজ নয়৷ চিঠির কথাই বলছি৷ টাইমস নিউ রোমান, ইউনিকোড... এসব ফন্টের চেয়ে আপনার হাতের লেখাটাই প্রিয়জনের কাছে বেশি আকর্ষণীয়৷উপলক্ষটা চলে গেলেও, উদ্যাপনটা থামবে কেন? একসঙ্গে কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে পারেন৷ কথা বলতে বলতেই হয়তো মান-অভিমানের মেঘ কেটে যাবে৷ 

সূত্র: ইহাউ ডট কম

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ