ঘুমের জন্য যদি সেহরি খেতে না পারে, সেহরি না খেয়ে রোজা রাখলে কি রোজা হবে.?
ইসলামের দৃষ্টিতে রোজার নিয়তে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত থাকার নাম রোজা। সেহরি খাওয়া রোজার জন্য শর্ত নয়। তাই সেহরি না খেলেও রোজা হয়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন, সাহরি খাওয়া সুন্নত। অল্প খেলেও সুন্নত পালন হয়ে যাবে।
হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, সাহরি খাওয়ার মাঝে রয়েছে অনেক বরকত। যারা সাহরি খায়, তাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর দয়া ও ফেরেশতাদের দোয়া।
হাদীসে এসেছে, তোমরা সাহরি খাও। কেননা, সাহরিতে বরকত রয়েছে। (সহীহ বোখারীঃ-১৯২৩,সহীহ মুসলিমঃ- ১০৯৫)।
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, সাহরি খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরি কর। কারণ যারা সাহরি খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তার ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন। (মুসনাদে আহমদঃ- ৩/১২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীসঃ- ৯০১০; সহীহ ইবনে হিব্বানঃ- ৩৪৭৬)।
⛬ সাহরি খাওয়ার মাধ্যমে রোজা রাখার শক্তি অর্জিত হয়। সাহরি খেলে রোজাদার সহজে দুর্বল ও মনোবলহীন হয়ে পড়েন না, সারা দিন দীর্ঘ সময়ের উপবাস বা অনাহারে থাকলেও কর্মঠ্য থাকার প্রাণশক্তি আসে এবং সিয়াম পালন সহ্যসীমার মধ্যে থাকে। রমজান মাসে শেষ রাতে ক্ষুধা না থাকলেও অন্তত দুই একটি খুরমা বা খেজুর অথবা অন্য কোনো জিনিস খাবেন। কিছু না হলে একটু পানি পান করবেন। এতে সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। পেট ভরে সেহরি খাওয়া জরুরি নয়, সামান্যই যথেষ্ট।