পুরুষের প্রসাব নালী বেশ জটিল ও প্যাচানো, যেকারণে প্রসাবের পরও প্যাচানো নালীর ভেতর প্রতি বাকে কিছু প্রসাব তরল থাকে।
প্রসাব প্রক্রিয়া মস্তিষ্কের হাইপোথালামাস অংশ কিছুটা কন্ট্রোল করে। প্রসাবের বেগ হলেই ক্ষেপননালী শক্তিশালী ও টনটনে হয়। এর ফলেই প্রসাব দ্রুত বেগে বের হয়। কিন্তু যদি কোন কারণে এই পুরা সিস্টেম টা শক্তি বা ক্ষমতা হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে তখনই মূলত প্রসাব ক্লিয়ার হয়না, প্রসাবের পর প্যাচানো নালীতে কিছু তরল আটকে থাকে সেটা এই অনুভূতি দেয় যে, এই মনে হল কয়েক ফোটা প্রসাব বের হবে।
যেহেতু আগে হস্তমৈথুনের অভ্যাস ছিল, তাই বলা যায় পুরা এই সিস্টেম দুর্বল হয়ে গেছে,
আপনি হস্তমৈথুন ত্যাগ করেছেন, খুবই ভাল কথা, আর এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে,। বহুদিন এভাবে সাধারণ জীবন যাপন করলে আসতে আসতে আবার শক্তি ফিরে পাবেন।
সাথে পুষ্টিকর, সুষম খাবার খান, ভেন্ডি বা ঢেড়স খান,এর পিছিল মিউসিলেজ প্রচুর শক্তি বর্ধক।
ভাজা পোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
দুর্বলতা জনিত ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়া ঔষধ নিন তবে ডাক্তারকে প্রসাব ঝামেলার কথা খুলে বলবেন, যৌন দুর্বলতা নিয়া কিছু বলবেন না, তবে ডাক্তার জিজ্ঞাসা করলে অবশ্যই বলবেন, আমি সাধারণত না বলার কথা বললাম এই কারনে এতে ডাক্তার যৌনতাকে প্রধান্য দেবে। ফলাফল খুব বেশি ভাল ফল পাবেন না।
আর এগুলো নিয়া একদম চিন্তা না করা উচিত, চিন্তাই আরও দুর্বল করে দেয়, এই রোগের চিকিতসা নাই। নিজেকে কনফিডেন্ট করুন, সুপুরুষ ভাবুন।
এর প্রাকৃতিক করণীয় হচ্ছে শরীর চর্চা করা। বেয়াম খেলাধুলা করুন। ফোনে সেক্সুয়াল কথা বার্তা বলবেন না। অধিকাংশ মানুষ এখানে ভূল করে। তারা মনে করে এটা ব্যাপার না। কিন্তু কথা বার্তার সময় উত্তেজিত অবস্থা অধিক্ষন স্থায়ী হয়না, আবার নিস্তেজ হয়। এই প্রক্রিয়া মস্তিষ্ক রেকর্ড রাখে। ফলে দাম্পত্য জীবনে মস্তিষ্ক এই রেকর্ড থেকে সিদ্ধান্ত নেয় যে এটাও সাময়িক। কোন ক্রিয়া নয়, ফলে সেটি কাজ করেনা। এভাবেই দুর্বল হয়ে যায়।
কাজেই বড় রোগ এটা ভাবা যাবেনা, এটা সাধারণ ব্যাপার কিন্তু ভাল হবার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী। তাই এইসকল দুঃচিন্তা না করে সাভাবিক জীবন যাপন করুন। আসতে আসতে আসতে ঠিক হয়ে যাবে। স্বপ্নদোষ হয়না বললেন। এটাও চিন্তার কিছুনা, আমার আরেকটি উত্তরে এ সম্পর্কে বলেছিলাম, সেটি আমার ওয়াল থেকে পড়ে নিন। কবিরাজী চিকিতসা করতে যাইয়েন না। কাচা পেয়াজ, রসুন, মধু, মালিশ একদম নিশিদ্ধ।
যদি পারেন এক দিন বাদে এক দিন অল্প অল্প কালোজিরা খেতে পারেন।