Jamiar

Call

হ্যা নামায হবে। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রী একে অপরের সাথে আদর ভালোবাসার পর স্বামী ও স্ত্রীর দুজনেরি যদি কামরস আসে তাহলে কামরস ধুয়ে বা গোপনাঙ্গ ধুয়ে নামায পরতে পারবেন। এবং যেখানে যেখানে কামরস লেগেছে সেই স্থান টুকু ভালো করে ধুয়ে নিয়ে নামায আদায় করতে পারবেন। 

কামরস কাপড়ের যে অংশে লাগবে, কেবল সে অংশটি ধুয়ে ফেলা   ব জরুরী। পুরো কাপড় ধৌত করা আবশ্যক নয়।

কাপড়ে বীর্যরস লেগে গেলে কি করতে হবে এ ব্যাপারে, সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, বীর্যরস বের হওয়ার কারণে আমি কঠিন অবস্থার মধ্যে ছিলাম। কেননা এ কারণে আমাকে প্রায়ই গোসল করতে হত। আমি ব্যাপারটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বর্ণনা করলাম এবং তার বিধান জানতে চাইলাম। তিনি বললেনঃ “এটা বের হলে তোমার জন্য ওযুই যথেষ্ট।"

আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তা যদি আমার কাপড়ে লেগে যায়, তবে কি করব? তিনি বললেনঃ “এক আঁজলা পানি তোমার কাপড়ের যে অংশে বীর্যরস দেখতে পাও সেখানে ছিটিয়ে দাও, এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট।"

(সূনান আত তিরমিজী [তাহকীককৃত], অধ্যায়ঃ ১/ হাদিস নম্বরঃ ১১৫, ইবনু মাজাহঃ ৫০৬ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

সুতারাং আপনি গোপনাঙ্গ ধুয়ে নামায পরতে পারবেন। এবং যেখানে যেখানে কামরস লেগেছে সেই স্থান টুকু ভালো করে ধুয়ে নিয়ে নামায আদায় করতে পারবেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নামই হলো মেহ বা ধাতু দুর্বলতা। এ ধরনের সমস্যায় স্বপ্নদোষ বা কাম উদ্দীপনা ছাড়াই বারবার বীর্যস্থলন হয়।

নারীর জরায়ু থেকে নির্গত তরল হতে পারে বীর্য, হতে পারে মযী বা কামরস, হতে পারে সাধারণ স্রাব। এ তিনটির প্রত্যেকটির রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও প্রত্যেকটির রয়েছে স্বতন্ত্র বিধিবিধান।

এক্ষেত্রে বউ যদি স্বামীর কাছে কিছুক্ষণ জড়াজড়ি করে শোয়ার পর তার যদি বীর্যপাত হয় সেগুলা ধুয়ে অজু করে নামাজ পড়লে, নামাজ হবে না।

কেননা, বীর্য বের হলে গোসল ফরয হয়; সেটা ঘুমের মধ্যে বের হোক কিংবা জাগ্রত অবস্থায়; সহবাসের কারণে বের হোক কিংবা স্বপ্নদোষের কারণে কিংবা অন্য যে কোন কারণে।

এটা যদি কামরস বা মযী হয়, এটি শরীরে লাগলে ধুয়ে ফেলা ফরয। কাপড়ে লাগলে কাপড় পবিত্র করার জন্য পানি ছিটিয়ে দেয়া যথেষ্ট। কামরস বের হলে ওজু ভেঙ্গে যাবে। কামরস বের হওয়ার কারণে গোসল ফরয হয় না। যে যায়গায় লাগবে সে জায়গা ধুয়ে অজু করে নামাজ পড়লে, নামাজ হবে।

পক্ষান্তরে, স্রাব পবিত্র। এটি ধৌত করা কিংবা কাপড়ে লাগলে সে কাপড় ধৌত করা আবশ্যক নয়। তবে, এটি ওজু ভঙ্গকারী। তবে এটা যদি চলমান ভাবে বের হতে থাকে তাহলে সে মহিলা প্রত্যেক নামাজের জন্য ওয়াক্ত হওয়ার পর নতুন করে ওজু করবে। ওজু করার পর স্রাব বের হলেও কোন অসুবিধা নেই।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ