ক্রিস্টাল ডায়োডের সাথে যখন অন্য একটি এক্সট্রিনজিক সেমিকন্ডাক্টর এমনভাবে যুক্ত হয় যাতে করে দুটি P-N জাংসনের সৃষ্টি হয় তখন নতুন ডিভাইসকে ট্রানজিস্টর বলে। এর তিনটি পা থাকে কালেকটার, বেস, ইমিটার, সাধারণত কোন সিগনালকে বর্ধিত করার জন্য অর্থঃ াৎ থ্যাস্পালিফাই করার জন্য ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। ট্রানজিস্টর হলো এমন এক প্রকার ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস যার ইনপুটে কোন ইলেকট্রিকাল সংকেত দিলে আউটপুটে ঐ সংকেত বর্ধিত আকারে পাওয়া যায়। এর গঠণপ্রণালী রেজিস্টরের মতো। Transis tor-এ শব্দটি Trans এবং Resis tor শব্দটির is tor শব্দ দুটি যোগ করে এই ডিভাইসটির নাম রাখা হয়েছে ট্রানজিস্টর (Transis tor) । ১৯৪৮ সালে আমেরিকার বেল টেলিফোন ল্যাবরেটরীর তিন জন বিজ্ঞানী যে. বারডিন,ডব্লুউ. এইচ ব্রাটেন এবং ডাব্লুউ সকলে ট্রানজিস্টর আবিস্কার করে ইলেক্ট্রনিক্সের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। আমরা আগেই জেনেছি যে, একটি P- টাইপ ক্রিস্টালের সাথে N টাইপ ক্রিস্টাল যুক্ত হয়ে PN-জাংশন বা ডায়োড তৈরী হয়। এখন এই PN- জাংশন বা ডায়োডের সাথে আর একটি P-টাইপ বা N -টাইপ ক্রিস্টাল যুক্ত করে ট্রানজিস্টর তৈরী করা হয় এবং এ ধরনের ট্রানজিস্টরকে বলা হয় বাইপোলার ট্রানজিস্টর (Bipoler transis tor)
ট্রানজিস্টর একটি তিন টার্মিনাল, তিন লেয়ার এবং দুই জাংশন বিশিষ্ট সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইস যা ইনপুট সিগনালের শক্তি বৃদ্ধি করে বিভিন্ন কাজ সমাধান করে।
ট্রাঞ্জিস্টর ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ছাত্রছাত্রিদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক।