সূরা নূরের ২৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অনেকে বলেন যে যেমন তার জীবন সঙ্গীও নাকি তেমন হবে।
কিন্তু,
যে যেমন চরিত্রের তার বউ হবে তেমন অথবা তার স্বামী হবে তেমন চরিত্রের এই কথা সূরা নূরের ২৬ নং আয়াতে বলা হয়নি।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য; সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য। লোকেরা যা বলে তার সাথে তারা সম্পর্কহীন; তাদের জন্য আছে ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা। (সূরা নূর আয়াত ২৬)
উক্ত আয়াতে এটা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে যে, দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য, অর্থাৎ দুশ্চরিত্রা নারী কেবল দুশ্চরিত্র পুরুষের সাথে মানাই কোনো ঈমানদারের সাথে না। ঠিক তেমনি দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য অর্থাৎ দুশ্চরিত্র পুরুষ কেবল দুশ্চরিত্রা নারীর সাথে মানাই কোনো ঈমানদার নারীর সাথে না। আর এই কথাটা মহান আল্লাহ আরো পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন
একই সূরার ৩ নং আয়াতে
যে, ব্যভিচারী কেবল ব্যভিচারিণী অথবা অংশীবাদিনীকেই বিবাহ করবে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী অথবা অংশীবাদীই বিবাহ করবে। আর মুমিনদের জন্য এটা হারাম করা হয়েছে।
সুতরাং আমরা কুরআন বুঝি আমাদের মত করে, আল্লাহ কি বলতে চেয়েছেন তা না বুঝেই আমরা বলে ফেলি যার চরিত্র যেমন তার সঙ্গী হবে তেমন। কিন্তু সূরা নূরের ২৬ নং আয়াত দ্বারা কি উদ্দেশ্য তা পরিষ্কার হয়ে গেলো অন্য আয়াত দ্বারা।
তবে সূরা নূরের ২৬ নং আয়াতটা নাজিল হয় মা আয়েশা (রাঃ) এর চরিত্রের সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য। মুনাফিকরা যখন আয়েশা (রাঃ) কে মিথ্যা অপবাদ দিল তখন আল্লাহ তা‘আলা উক্ত অভিযোগ থেকে মুক্ত করার জন্য এ আয়াতটি নাযিল করেন। আর সবাইকে জানিয়ে দিলেন যে, অপবিত্র ও নোংরা কথাবার্তা সেই সকল নর-নারী বলে থাকে, যারা অপবিত্র ও নোংরা। আর পবিত্র ও উত্তম কথাবার্তা বলা পবিত্র ও উত্তম নর-নারীর গুণাবলী এবং তা তাদের অভ্যাস।
পরিশেষে পবিত্র কোরআনের ভাষাতেয় বলি........
বলে দাও, ‘হে মানবমণ্ডলী! তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্য এসে গেছে। সুতরাং এখন যে হেদায়েতের পথ অনুসরণ করবে, সে নিজের কল্যাণের জন্যই সে পথ অবলম্বন করবে। আর যে পথভ্রষ্ট হবে, সে নিজেই নিজের অমঙ্গল সাধন করবে। আমি তোমাদের কর্মনিয়ন্ত্রক নই।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ১০৮)


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে