Call

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবারে ইন্তেকাল করেন। সোমবার ও মঙ্গলবার দাফন-কাফনের প্রস্তুতিতেই চলে যায়। অতঃপর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁকে দাফন করা হয়।

(সহীহ শামায়েলে তিরমিযী, অধ্যায়ঃ ৫৪. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ওফাত, হাদিস নম্বরঃ ৩০৩ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

প্রিয় নবীজি (সা.)-এর এই দুনিয়ায় শুভাগমন ও প্রস্থান উভয় ঘটেছিল এই রবিউল আউয়াল মাসে। উভয় দিন ছিল সোমবার। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন: প্রাচুর্যময় তিনি, যাঁর হাতে সকল রাজত্ব, তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান; যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, যাতে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করবেন তোমাদের মধ্যে কারা কর্মে উত্তম। তিনি পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল। (সুরা মুলক, আয়াত: ১-২)। দশম হিজরিতে ৯ ও ১০ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে বিদায় হজের ভাষণের শুরুতে প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে হয়তো আপনাদের সঙ্গে আমার আর দেখা হবে না।’ এরপর মাত্র ৮৩ দিন তিনি দুনিয়াতে ছিলেন। সফর মাসের মধ্যভাগে তিনি অসুস্থ হন, সফরের শেষ বুধবার (আখেরি চাহার শোম্বা) কিছুটা সুস্থতা বোধ করেন; ১২ রবিউল আউয়াল তিনি ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন: ‘যে মৃত্যু হতে তোমরা পলায়ন করছ, তা তোমাদের সঙ্গে মিলিত হবেই।’ (সুরা জুমুআহ, আয়াত: ৮)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানবজাতিকে প্রথমে রুহের জগতে রেখেছিলেন, তারপর দুনিয়ার জগতে পাঠিয়েছেন, এরপর বারজাখ জগতে থাকতে হবে এবং সর্বশেষ আখিরাত বা পরকালীন জগতে যেতে হবে। মৃত্যু হলো পরজগতে যাওয়ার সেতুস্বরূপ। ওফাত ও দাফন তথ্যবিভ্রাট অত্যন্ত ক্ষতিকর, অনেক সময় আমরাও না জেনে-না বুঝে অথবা বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে না পেরে এর শিকার হয়ে যাই। যেমন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর সাহাবিরা তাঁর দাফনক্রিয়া সম্পন্ন করতে তিন দিন সময় পার করেছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ