(ক)  জি. এম. ফসল বলতে কি বুঝ ?


(খ) বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম এর কৃষির তুলনা কর। 


(গ)  গ্রিন হাউস কৌশল বাস্তবায়নের শর্তগুলি লিখ? 


(ঘ)  দানাদার ইউরিয়ার পরিবর্তে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার সুবিধাজনক - ব্যাখ্যা কর। 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Kamil Ahmad

Call

★*★(ক)জি. এম ফসল বলতে কি বুঝ?

ফসলের মৌসুম নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার এবং তুলনামূলক স্বল্প খরচের পদ্ধতি হলো ফসলের বংশগতিতে পরিবর্তন আনা।

ফসলের জিনগত বিন্যাস বদলানো, ফসলের দিবা দৈর্ঘ্য সংবেদনশীলতার জন্য দায়ী জিন ছাঁটাই করা অথবা এমন পরিবর্তন আনা যাতে প্রশমিত থাকে। ‌

সংকরায়ন ও ক্রমাগত নির্বাচনের মাধ্যমে ছাড়াও অন্য বেশ কিছু আধুনিক উপায়ে লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। ‌

এ ধরনের ফসল কে জিএম ফসল বা Genetic Modified Crops বলা হয়। ‌

এই বিশেষ কৌশল সমূহকে সাধারণভাবে বলা হয় জীব কোষের বায়োটেকনোলজি।

★*★(খ)বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের কৃষি তুলনা কর-

বাংলাদেশের ও ভিয়েতনামের কৃষিতে বেশি মিল ধান উৎপাদনে। তবে এক্ষেত্রে দৃশ্যত ভিয়েতনামের কৃষকদের অগ্রগতি বাংলাদেশের চেয়ে দ্রুতগতিতে হয়েছে।

২৫ বছর আগে যেখানে ভিয়েতনামের কৃষি উৎপাদন অনগ্রসর দুর্বল ছিল, এখন তারা প্রায় সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে গেছে।

উন্নয়নের গতি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো ভিয়েতনামের কৃষকসমাজ অত্যন্ত সংগঠিত।

ভিয়েতনামের কৃষি সম্প্রদায়ের সমবায় সংগঠনগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী ও সৃজনশীল।

সেখানকার সকল কৃষক কোন না কোন সমবায় সংগঠন এর সাথে যুক্ত।

কৃষি সমবায় সংগঠন গুলো এত শক্তিশালী যে এরা স্থানীয় সরকারের বাৎসরিক ভাইয়ের অন্তত ৫০ শতাংশ যোগান দিয়ে থাকে।

স্থানীয় কৃষি গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তারা আর্থিক সহায়তা দেয়।

এই সকল সংগঠন কৃষি নীতি ও কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ এর ভূমিকা রাখে। ‌

★*★(গ)  গ্রিন হাউস কৌশল বাস্তবায়নের শর্তগুলি লিখ?

ফসলের জীব যাতে গুনাগুন পরিবর্তন না করেই গ্রীনহাউজ কৌশলে যে কোন ফসল উৎপাদন করা যায়। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত মাঠে বা উদ্যানে না করে গ্রিন হাউসে কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন করা হয়।

এই কৌশল বাস্তবায়নের শর্তগুলো হলো-
১. ফসলের পরিবেশ ও পুষ্টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা;

২. প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি ও পুষ্টি সরবরাহের যান্ত্রিক ব্যবস্থা স্থাপন ও পরিচালনা;

৩. নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ শর্ত

এ পদ্ধতিতে যে কোন ফসল উৎপাদন সম্ভব হলেও উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি।

বিশেষ বিশেষ ফসল ছাড়া এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় না। সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা হওয়ায় এই পদ্ধতি ফসল সম্পন্ন রোগ মুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়।

★*★(ঘ)  দানাদার ইউরিয়ার পরিবর্তে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার সুবিধাজনক - ব্যাখ্যা কর।

প্রচলিত দানাদার ইউরিয়া ব্যবহারের অসুবিধা থেকেই ইউরিয়া ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

দানাদার ইউরিয়া ব্যবহারের অসুবিধা-দানাদার ইউরিয়া কিস্তিতে কয়েকবার প্রয়োগ করতে হয়;এই সার পানিতে মিশে দুটো গোল এবং মাটির নিচে গাছের শেকড়ের অঞ্চলের বাইরে চলে যায়;বৃষ্টি পাশে যে পানির সাথে সহজেই ক্ষেত হতে বের হয়ে যায়;এই সার ব্যবহারে অপচয় এবং খরচ বেশি হয়;গুটি ইউরিয়া ব্যবহারের সুবিধা-

গুটি ইউরিয়া ফসলের এক মৌসুমে একবার ব্যবহার করা হয়;

সার ব্যবহারের ২০ থেকে ৩০ ভাগ নাইট্রোজেন সাশ্রয় হয়।

গুটি ইউরিয়া ধীরে ধীরে গাছকে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে;

ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ব্যবহারের ফলে ফলন ১৫ থেকে ২০ ভাগ বৃদ্ধি পায়

উপরোক্ত তথ্যের আলোকে বলা যায়, দানাদার ইউরিয়া পরিবর্তে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার সুবিধাজনক।







ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ