Waruf

Call

বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনসমুহঃ

গড়ে ১০ বছরের পর থেকে বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয়।

এ সময়ে ছেলে ও মেয়েদের শারীরিক গঠন ও বৈশিষ্টের কিছু পরিবর্তন ঘটে। 

ছেলে দেহে পরিবর্তনঃ দৈহিক ভাবে একটু দ্রুত বেড়ে ওঠে। চেহারায় উজ্জ্বল্য ভাব ফুটে ওঠে, মুখে ও পেটে সামান্য চর্বি স্তর জমা শুরু করে। এ সময় ইন্টার্নাল ভাবে কিছু হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরন ও কিছুটা প্রোজেস্টেরন ক্ষরিত হতে থাকে। এর ফলে মুখে দাড়ি, গোফ জন্মায়, বগলে চুল ওঠা শুরু করে, শ্রোণিদেশে চুল জন্মায়, স্বপ্নদোষের মাধ্যমে বীর্যপাত হওয়া শুরু করে, 

মানসিক ভাবে মনে বিভিন্ন খেয়াল খুশির ভাবোদয় হয়। মনে প্রেম ভালবাসার উন্মেষ ঘটে। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন সৃষ্টি হতে থাকে। চাঞ্চল্য ও ক্ষিপ্ত বৈশিষ্ট অর্জিত হতে থাকে।


নারীদেহে পরিবর্তনঃ নারীদেহে দৈহিক ভাবে উজ্জ্বল চেহারা ফুটে ওঠে, মুখ, কোমরে চর্বি স্তর সৃষ্টি হতে থাকে, বুক প্রসারিত হতে থাকে, স্তনের গঠন বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং স্তনগ্রন্থির রক্তজালক বৃদ্ধি পায়। প্রচুর চর্বি সঞ্চিত হয়, এড্রেনাল গ্রন্থি বেশি কাজ করে, প্রচুর প্রোজেস্টেরন, এফএসএইচ হরমোন নির্গত হয়। এর প্রভাবে বগল ও শ্রোণিদেশে চুল জন্মায়। ওভারিতে ডিম্ব সৃষ্টি ও ক্ষরিত হয়ে পিরিয়ড চক্র শুরু হয়।

এসময় মনে খেয়াল খুশি, প্রেমাবেগ, সন্তান বাতসাল্য মানসিকতা ফুটে উঠতে শুরু করে, বিপরীত লিঙ্গের প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধি পেতে থাকে।


স্কুলে খাপ খাওয়ানোঃ মুলত এসকল পরিবর্তন বিষয়ে জ্ঞানের প্রয়োজন। বুঝতে হবে এগুলো সবার ক্ষেত্রে একটি প্রাকৃতিক নিয়ম, আমার হচ্ছে কিন্তু অন্যের হচ্ছে না এমনটা নয়। তাই এগুলো যাতে সহজে জানতে পারে সেজন্য সরকারীভাবে বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে।

ব্যক্তিগত ভাবে লজ্জাবোধ না করে বিশস্ত বন্ধু, পিতা মাতার সাথে নিজের সংকোচের কথা বলতে হবে। আদেশ উপদেশ মান্য করতে হবে। চিন্তা করা যাবেনা। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বিশেষ আবেগের তাড়নায় যা খুশি করা চলবেনা। 

সহপাঠীদের সাথে মেশার ক্ষেত্রে বিশেষ দিন যেমন পিরিয়ডের সময় হলে একটু আলাদা ও বিশেষ স্যানিটারি ব্যবহার করতে হবে। শারীরিক অসুস্থতা যেমন ব্যাথা ফিল করলে বাসায় এসে রেস্টে থাকতে হবে।

মন খারাপ করে এক কোনে বসে থাকা চলবেনা।  

সার্বিক ভাবে বড়দের বা স্কুলে মিস বা শিক্ষিকার সাথে সাহস করে বলে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে উপদেশ গ্রহন করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jobedali

Call

বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তন সম্পর্কে জানা প্রয়োজন কারণঃ

আমরা জানি যে সাধারণত ছেলে-মেয়েদের ১০-১৯ বছর বয়সের সময় কালকে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। এ সময়ে ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়। তবে আবহাওয়া, স্থান, খাদ্য গ্রহনের পরিমাণ ও মানের তারতম্যের কারণে এক জনের বয়ঃসন্ধিকালের শুরুর সময়ে কিছুটা তারতম্য হতে পারে। হরমোন এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যার কারণে বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনগুলো ঘটে। মেয়েদের শরীরে ও মনে বিভিন্ন ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন নামে দুটি হরমোন কাজ করে আর ছেলেদের যে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনসমূহ ঘটে তা টেস্টোস্টেরন নামক হরমোনের কারণে।

বয়ঃসন্ধিকালের মানসিক চাপঃ ছেলে ও মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনের কারণে চাপের সৃষ্টি হয। কারণ পরিবর্তনগুলো অনেকটা আকস্মিকভাবে শুরু হয়। এর সাথে পরিচিত না থাকার কারণে তারা আতংকিত হয়ে পড়ে। এ সময় কী কী করণীয় তা বুঝিয়ে বললে আতংকিত হওয়ার কারণ থাকে না তাদের মনে কোনো অপরাধবোধ কাজ করে না। এ ধরনের অপরাধবোধ ও মানসিক দুশ্চিন্তা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ফলে ছেলেমেয়েদের মনে সর্বক্ষণ একটা অস্বস্তি কাজ করে। তারা মানসিক চাপের সম্মুখীন হয় এবং অনেক সময় পড়াশোনা ও অন্যান্য কাজে বিঘ্নিত হয়।

এ সময় স্কুলের সাথে খাপ-খাওয়ানোয় তুমি কি কি করতে পারো?
বয়ঃসন্ধিকালের মানসিক পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানোঃ বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে এবং এ সম্বন্ধে করণীয় বিষয়ে পূর্ব ধারণা থাকলে, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক প্রস্তুতি থাকে। ফলে তারা বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারে, তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয় না এবং সম্ভাব্য রোগব্যাধিও প্রতিরোধ করা যায়। বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তন ঘটলে মা-বা, বড় ভাই-বোন বা নির্ভরযোগ্য অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যেতে পারে। ফলে সংকোচ কেটে যাবে এবং একা থাকার প্রবণতা কমে যাবে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের শারীরিক পরিবর্তনের সাথে সাথে আবেগিক পরিবর্তন ঘটে। এ বয়সে তাদের যে মানসিক পরিবর্তন ঘটে তার সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য তাদের সাথে মা বাবা ও অভিভাবকদের বন্ধুসুলভ ও সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে। তাদেরকে মানসিক দিকসহ অন্য সব ব্যাপারে সহযোগিতা প্রদান ও সাহস জোগাতে হবে। কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য তাদের নিজেদেরকেও সচেষ্ট থাকতে হবে। তাদের প্রথম কাজ হবে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলোর সাথে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করা। ভালো গল্পের বই পড়া, সাথীদের সাথে খেলাধুলা করলে মনে প্রফুল্লতা আসবে এবং মানসিক চাপ সামলানো সম্ভব হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ