সবাই তো জান্নাতে যাবে না।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Sayem33

Call

আমি আমার একটা উম্মত রেখে জান্নাতে যাব না।” এটা কোন হাদিস নয়।এটা হাদিসের নামে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা। বরং হাদিসে বলা হয়েছে যে পৃথিবীতে রাসুল (সা.)-এর উম্মত সর্বশেষ হলেও তাঁরাই সবার আগে জান্নাতে যাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করবে। এটি উম্মতে মুহাম্মদির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দুনিয়াতে সব শেষে এসেও আমরাই অগ্রণী হব। মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম আমরাই জান্নাতে প্রবেশ করব।’ (বুখারি, মুসলিম ও নাসায়ী)

এর মানে এই নয় যে, রাসূল (সাঃ) সকল উম্মতকে নিয়ে তারপর জান্নাতে প্রবেশ করবেন । কিয়াতের দিন যাদের নেকীর পাল্লার চেয়ে গুনাহের পাল্লা ভারী হবে তারা সেই পরিমাণ সাজা ভোগ করে তারপর আল্লাহর রসূল (সাঃ) সাফাআত (সুপারিশ) জান্নাতে প্রবেশ করবেন।

ইবনে মাজাহ ও বায়হাকীতে হযরত জাবির (রায়িঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- যখন জান্নাতী ও জাহান্নামীদের মধ্যে পার্থক্য করা হবে তখন জান্নাতীরা জান্নাতে ও জাহান্নামীরা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এরপর রাসূলগণ দাঁড়াবেন এবং (জাহান্নামীদের জন্য) শাফাআত করবেন। রাসূলদেরকে বলা হবে আপনারা যান, এবং যাদেরকে চিনেন তাদেরকে (জাহান্নাম) থেকে বের করে আনেন। অতপর রাসূলগণ এমন কিছু লোকদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আনবেন যারা আগুনে জ্বলে ছাই হয়ে গেছে। তাদেরকে নদীতে নিক্ষেপ করা হবে এবং সাদা কড়ার মতো হয়ে বের হবে। অবশেষে যাদের অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান থাকবে তাদেরকে রাসূলগণ শাফাআত করে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে নিবেন।

বহু সংখ্যক হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্ব প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন। যেমন:

▪ আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন আমি জান্নাতের দরজায় দিয়ে দরজা খোলার অনুমতি চাইলে জান্নাতের রক্ষক বলবে, কে আপনি? আমি বলব: মুহাম্মদ।

তিনি বলবেন: আপনার জন্যই দরজা খোলার অনুমতি আছে। আপনার পূর্বে কারও জন্য দরজা খোলার অনুমতি নাই।” (মুসলিম, হাদিস নং ১৯৮)

▪ অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: আমি কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করব।” (সহিহ জামে তিরমিযী ও মাজমাউয যাওয়ায়েদ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ