উক্ত সন্তান যদি শিশু তথা নাবালেগ অবস্থায় মারা যায় তাহলে সে জান্নাতী হবে।
কিন্তু বালেগ হবার পর, যখন তার বিবেক বুদ্ধি জাগ্রত হয়। তখন আল্লাহর দেয়া আকল দিয়ে তার রবকে চিনে নেয়া দায়িত্ব। বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় কোন ব্যক্তি যদি এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস করা ও তার সময়কার সত্য ধর্মের উপর ঈমান আনয়ন করা ছাড়াই মৃত্যু বরণ করে, তাহলেই কেবল সে জাহান্নামী হবে।
নাবালেগ তথা শিশু অবস্থায় কাফির ব্যক্তির সন্তান মারা গেলে উক্ত শিশুর কোন শাস্তি নেই।
হাদীসে পরিস্কার বলা হয়েছে প্রতিটি শিশু যার ঔরষেই জন্ম গ্রহণ করুক না কেন, সে নাবালেগ থাকা অবস্থায় মুসলিমই থাকে। তারপর বড় হলে তার পিতা মাতা তাকে ইহুদী খৃষ্টান ইত্যাদি কাফির বানায়।
ব্যক্তির আমলের উপরই তার প্রতিদান নির্ভর করে। সে কোন পরিবারে জন্মগ্রহণ করলো, কার সন্তান, সে কিভাবে মৃত্যু বরণ করলো এটি বিবেচ্য নয়। সুতরাং যে শিশুটা অমুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে মারা গেছে তার কোন পাপ নেই। কাজেই সে কুফর করতে পারেনা বা শিরক করতে পারেনা।
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক সন্তান মিল্লাতে ইসলামিয়ার উপর জন্ম গ্রহণ করে। এরপর তার পিতা-মাতা তাকে উয়াহূদী, নাসারা এবং মুশরিক বানায়। বলা হয়, ইয়া রাসূলুল্লাহ, এর পূর্বেই যদি কেউ মারা যায়? তিনি বললেনঃ তারা কি আমল করত সে বিষয়ে আল্লাহ তা‘আলা সবিশেষ অবহিত আছে।
(সূনান তিরমিজী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ৩৫/ তাকদীর অধ্যায়।, হাদিস নম্বরঃ ২১৪১ ইরওয়াঃ১২২০)।
প্রতিটি নবজাতকই জন্মলাভ করে ফিতরাতের উপর। এরপর তা মা-বাপ তাকে ইয়াহুদী বা খ্রিস্টান বা অগ্নিপূজারী রূপে গড়ে তোলে। যেমন, চতুষ্পদ পশু নিখুঁত বাচ্চা জন্ম দেয়। তোমরা কি তাদের মধ্যে কোন কানকাটা দেখতে পাও? (বরং মানুষেরাই তার নাক কান কেটে দিয়ে বা ছিদ্র করে তাকে বিকৃত করে থাকে। অনুরূপ ইসলামের ফিতরাতে ভূমিষ্ট সন্তানকে মা-বাপ তাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও জীবন ধারায় প্রবাহিত করে ভ্রান্ত ধর্মী বানিয়ে ফেলে।
পরে আবূ হুরায়রা (রাঃ) তিলাওয়াত করলেন,
فِطْرَةَ اللَّهِ الَّتِي فَطَرَ النَّاسَ عَلَيْهَا
আল্লাহর দেওয়া ফিতরাতের অনুসরণ কর যে ফিতরাতের উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। (সূরা রূম: ৩০)
(সহীহ বুখারী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ২০/, হাদিস নম্বরঃ ১২৭৫, ১২৭৫)।
◄❖► ◄❖ আল্লাহ-ই ভাল জানেন। ❖► ◄❖► ▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬