শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এ কথা সত্য যে নারী ধর্ষণের জন্য পুরুষ দায়ী। পুরুষ নারীর দিকে কুদৃষ্টিতে চেয়ে থাকে, ইভ-টিজিং করে, এমনকি ধর্ষণও করে— সেই নারী যত শালীন হোক বা অশালীন। এ জন্য পুরুষের নিচু মানসিকতা দায়ী। যারা নারীর প্রতি অত্যধিক আকর্ষণ বোধ করে, তাদের মধ্য থেকেই এই নিচু মানসিকতার মানুষ দেখা যায়। তারা… থাক্, বেশি কথা বলা হবে যেহেতু, আর বললাম না।

কিন্তু শুধু পুরুষই কি দায়ী? নারীরা কি নির্দোষ? তারা কি দোষি নয়? যারা একেবারে শালীন, এমনকি বোরখা পরা নারী, তারা যদি ধর্ষিত হয়– তবে নারী নয়, শুধু পুরুষই দায়ী। কিন্তু যেসব নারী অশালীন কাপড় পড়ে বা কাপড় এমনভাবে পড়ে যে তার শরীরের অংশগুলো বুঝা যায়, তাহলেও কি বলবেন যে পুরুষ শুধুমাত্র দায়ী? এমন অনেক নারী দেখেছি যারা সালোয়ার-কামিজ় পড়া সত্ত্বেও শরীরের অঙ্গগুলো খানিকটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল (যার জন্য এমন নারীদের থেকে সাবধানেই চলি)। এরা কি দায়ী না? যেসব পুরুষের নারীর প্রতি আকর্ষণ তারা এমন নারীকে দেখলে যে ধর্ষণ আর ইভটিজিং করার ইচ্ছা জাগবে না, সেটা আপনাকে কে বলেছে? হয়তোবা ঐ নারী শালীনভাবে থাকতে চায় কিন্তু তার ** যদি দর্শনীয় ভাবে ঢাকা থাকে… বাকিটা আপনারাই জানেন।

আর ওয়েস্টার্ন কাপড় তথা শর্ট ড্রেস পড়ে, তাদের ব্যাপারে কিছু বলার নেই।

অর্থাত প্রথম ক্ষেত্রে শুধু পুরুষ দায়ী হলেও পরের দুই ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সমান দায়ী।

যদি শালীনতা বজায় রাখা হয় আর পুরুষরা যদি নিজেদের দৃষ্টি সংযত রাখে, তবে ইনশাআল্লাহ ধর্ষণের মাত্রা কমে যাবে।


ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। [ ২৪ : ২ ]

The woman and the man guilty of illegal sexual intercourse, flog each of them with a hundred stripes. Let not pity withhold you in their case, in a punishment prescribed by Allah, if you believe in Allah and the Last Day. And let a party of the believers witness their punishment. (This punishment is for unmarried persons guilty of the above crime but if married persons commit it, the punishment is to stone them to death, according to Allah's Law). [ 24 : 2 ]

এখানে বুঝাই যাচ্ছে নারী ও পুরুষ সমান দায়ী হবে। অবশ্য কেউ যদি তওবা করে এসব কাজ বন্ধ করে তাদের ক্ষমা করা শ্রেয়।


ধর্ষণের কারণসমূহ:

  1. শর্ট ড্রেস (এটাই একমাত্র কারণ না)
  2. পুরুষদের লোলুপ দৃষ্টি
  3. অনিয়ন্ত্রিত বিপরীতকামী মনোভাব
  4. দুর্বল আইন-প্রয়োগ
  5. বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক
  6. আইটেম-সং, আধুনিক নামের যতসব ট্রাশবিন-ফিল্ম

এরকম আরো কতগুলো কারণ উল্লেখ করা যাবে। তাহলে কী বলব? শুধু পুরুষ একাই দায়ী? ফেমিনিজ়ম তো অনেক হয়েছে। আর কত পাপী-নারীদের (সব নারী পাপী নয়) দোষ ঢাকবেন? ধর্ষণের জন্য নারী ও পুরুষ সমান দায়ী ইসলামী আইন-ব্যবস্থা দ্বারা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে এ ধরনের নোংরা কাজ অনেকাংশে কমবে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ