আসলে আমার মস্তিষ্কে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জ্বীনের দ্বারা কোন মানব নারী গর্ভবতী হয় কিনা। শায়খুল ইবনে এতে একমত যে জ্বীন এবং মানব বাচ্চা জন্মদান করতে পারে।অন্যান্য এতে একমত হয়নি।তবে আমি জানতে চাচ্ছি এটা কি সম্ভব যে জ্বীনের দ্বারা মানব নারী গর্ভবতী হতে পারে?বাস্তবে এটা কতটুকু সত্য?আমি কয়েকটি গল্প শুনেছি এমন বিভিন্ন লোকের দ্বারা কিন্তু আমার বিশ্বাস হচ্ছে না।     


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Waruf

Call

বিজ্ঞানে এর কোন ভিক্তি নাই। এটি কুসংস্কার।  

ধর্মীয় দিক থেকে শুনেছি যে, সহবাসের সময় বিভিন্ন দোয়া পাঠ করতে হয়, তা না হলে শয়তানও সেখানে প্রবেশ করার সুযোগ পায়। 

কিন্তু আমার মতে, এটি ঠিক নয়।

আল্লাহুতায়ালা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ট করে সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ অন্য সকল সৃষ্টির চেয়ে মানুষ উত্তম, তাহলে উত্তম মানুষের মধ্যে অপেক্ষাকৃত নিচু জিন কিভাবে আসার ক্ষমতা পেতে পারে? এছাড়া জিন আগুনের তৈরি আর মানুষ মাটির তৈরি,  কাজেই জিনের সিমেন্স মানব দেহে কোন ভ্রুন তৈরি করতে পারেইনা। আবার জিনরা কোন আকৃতির তাও মানুষ জানেনা। কাজেই কল্পনা থেকে কেউ জিনদের মানুষের মত ভাবলে তা ভুল। কাজেই এটি সম্ভব নয়।

আবার যে শয়তানের কথা বলা হয়েছে যার মানুষের ক্ষতি করার ক্ষমতা রয়েছে। সেখানেও আমার অভিমত যে এটি সম্ভব নয়। 

মুসলিমদের ভেতর অনেক অমান্যকারী আছেন। তবে ধরে নিলাম সমস্ত মুসলিম আল্লাহুর হেফাজতে থাকায় জিন এর প্রভাব মুক্ত, তাহলে আজকের ৭৫% অমুসলিমরা তাহলে কি জিনের বির্য বহন করছে? কারন সেখানে জিন প্রবেশ করা সহজ, তারা আল্লাহুর বিধান মানেনা। আর এটি হলে পৃথিবী জিনে পূর্ণ, বাস্তবে তা মোটেও নয়। আল্লাহ যদি চান তাহলে হয়ত সম্ভব। কিন্তু আল্লাহু হলেন মহান। যা খুশি করেননা। এটা বুঝতে হবে। 

পরিশেষে বলতে চাই যে, আল্লাহ মানুষকে পরিক্ষা নেওয়ার জন্য অনেক কিছু করতে পারেন কিন্তু এমন কিছু করেননা যাতে তাহার সৃষ্টির উদ্দেশ্য, সৃষ্টির অধিকার বঞ্চিত হয়। তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন তাহার ইবাদাতের জন্য, জিনের সহবাসের জন্য নয়। কাজেই জিনের দ্বারা মানব গর্ভধারন করতে পারেনা। এসব কুসংস্কার ও কুরুচিপুর্ণ মুভি দেখে মাথায় তার প্রতিক্রিয়া ঘোরার ফল হিসাবে চিন্তার উদয় হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আসসালামু আলাইকুম, 

আসলে এটা পুরোটা একটা গুজব। এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা বা কুসংস্কার। আগে কিছু ভন্ড পীর বা মাজারপূজারি, কবিরাজ তাদের ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য এমন কিছু প্রচলিত করতো। আর যদি এমন কিছু সত্যি হতো তবে কুরআন/হাদিসে তা উল্লেখ থাকত। আর জ্বীনদের ভেতর নারী জ্বীন, পুরুষ জ্বীন আছে। তবে জ্বীন আপনার প্রেমে পড়তে পারে বা আপনিও তার প্রেমে পড়তে পারেন। কিন্তু এরা মানুষের সাথে শারিরীক সম্পর্কএর ধারে কাছে যাবে না। 

তবে জ্বীনের আছর লাগে এটা সত্য। হাদিস থেকে দেখুনঃ 

মানুষের ওপর জ্বীন ভর করাকে সাহর বলা হয়। এটি এমন একটি অবস্থা যখন মানুষের নিজের ওপর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না। মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় এবং সাময়িক স্মৃতি বিভ্রম ঘটে। একে আসর করাও বলে। কুরআনে বলা হয়েছে, “যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়।” (সূরা বাক্বারা, ২৭৫)। হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে- রাসুল(সঃ) বলেছেন, “শয়তান আদম সন্তানের শরীরে প্রবাহিত হয়, যেমন রক্ত শরীরে প্রবাহিত।” (বুখারী, ৩৩/২৫১। মুসলিম, ২১৭৫)। ইমাম আহমদের ছেলে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, “আমি আমার বাবা (ইমাম আহমাদ) কে বললাম- কিছু মানুষ মানুষের শরীরে জ্বীনের ভর করাকে বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন- ও আমার সন্তান, তারা মিথ্যা বলছে। আসর করা অবস্থায় অসুস্থ লোকের মুখ দিয়ে জ্বীন কথাও বলতে পারে।” (মাজমু ফতোয়া- ইবনে তাইমিয়াহ ১৯/১২) অন্য হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, রাসুল(সঃ) একবার একটি অসুস্থ বালকের সাক্ষাত পেয়েছিলেন যার ওপর জ্বীনের ভর ছিল। রাসুল ছেলেটির দিকে ফিরে জোরে বলেন- “ও আল্লাহর শত্রু, বের হয়ে আসো। ও আল্লাহর শত্রু, বের হয়ে আসো। ছেলেটি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।” (ইবনে মাজাহ, ৩৫৪৮। আহমদ ৪/১৭১, ১৭২)।                                 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ভাই এটা শুধু কাল্পনিক চিন্তাভাবনা ৷ বাস্তবে এমন কোন দিন হবেনা ৷ এটা শুধু রূপকথার গল্পেই সম্ভব বাস্তবে নয় ৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
MdSagorRaj

Call

জ্বিন বা পরী দ্বারা মানব নারী কখনও গর্ভবতী হতে পারে না। এটা পুরোটাই গুজব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Bakul3014

Call

জি সম্ভব।  হাদীসে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে যে সোলাইমান(আ) এর রাণী বিলকিস এর পিতা-মাতার মধ্যে একজন ছিলেন জ্বীন। তার মানে হলো বিলকিস ছিলেন জ্বীন ও মানুষের দৈহিক মিলনের সন্তান। এছাড়াও যৌন মিলনের আগে বিসমিল্লাহ না বললে সেখানেও শয়তান অংশগ্রহণ করে সচারাচর।  তবে আধুনিক বিজ্ঞান দ্বারা এসবের কোনো প্রমাণ নেই।  আধুনিক বিজ্ঞান যখন অন্ধকারে ছিলো তার আগে থেকেই কুরআন এ অনেক আশ্চর্যজনক কথা রয়েছে,যা এখন বিজ্ঞান দ্বারাও প্রমাণিত হচ্ছে।
একটা সময় অবশ্যই বিজ্ঞানও জ্বীনের উপস্থিতি প্রমাণ করতে পারবেন।

এখানে জ্বীন মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারে কি না এই প্রশ্ন আর অন্য প্রানীর সাথে মানুষের শারীরিক সম্পর্কের প্রশ্ন একই রকম হয়ে যায়।

অতএব খামোখা ভয় বা আতংকিত হয়ে কোন লাভ নেই। জ্বীনদের কাছে মানুষ ভয়ানক এক সৃষ্টি। আমরা জ্বীন দেখে যেমন ভয় পাই তারাও আমাদের দেখে ভয় পেয়ে এমন আচরণ করে যে উলটো আমরাই ভয় পেয়ে যায়।

অনেকটা মেয়েরা যেমন তেলাপোকা দেখে ভয় পেয়ে উদ্ভট আচরণ করে তেলাপোকাকে ভয় পাইয়ে দেয় ।

আশা করি প্রশ্নটার উত্তর কিছুটা হলেও জানাতে পেরেছি।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

খুব সহজ হিসাব । মানুষ মাটির তৈরি আর জীন আগুনের তৈরি, কাজেই মাটির দেহের ব্রুন কখোনই আগুনের মধ্যে বাচ্চা তৈরি করতে পারে না ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আসলে এসব আপনাদের অন্ধ বিশ্বাস


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ