বিজ্ঞানে এর কোন ভিক্তি নাই। এটি কুসংস্কার।
ধর্মীয় দিক থেকে শুনেছি যে, সহবাসের সময় বিভিন্ন দোয়া পাঠ করতে হয়, তা না হলে শয়তানও সেখানে প্রবেশ করার সুযোগ পায়।
কিন্তু আমার মতে, এটি ঠিক নয়।
আল্লাহুতায়ালা মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ট করে সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ অন্য সকল সৃষ্টির চেয়ে মানুষ উত্তম, তাহলে উত্তম মানুষের মধ্যে অপেক্ষাকৃত নিচু জিন কিভাবে আসার ক্ষমতা পেতে পারে? এছাড়া জিন আগুনের তৈরি আর মানুষ মাটির তৈরি, কাজেই জিনের সিমেন্স মানব দেহে কোন ভ্রুন তৈরি করতে পারেইনা। আবার জিনরা কোন আকৃতির তাও মানুষ জানেনা। কাজেই কল্পনা থেকে কেউ জিনদের মানুষের মত ভাবলে তা ভুল। কাজেই এটি সম্ভব নয়।
আবার যে শয়তানের কথা বলা হয়েছে যার মানুষের ক্ষতি করার ক্ষমতা রয়েছে। সেখানেও আমার অভিমত যে এটি সম্ভব নয়।
মুসলিমদের ভেতর অনেক অমান্যকারী আছেন। তবে ধরে নিলাম সমস্ত মুসলিম আল্লাহুর হেফাজতে থাকায় জিন এর প্রভাব মুক্ত, তাহলে আজকের ৭৫% অমুসলিমরা তাহলে কি জিনের বির্য বহন করছে? কারন সেখানে জিন প্রবেশ করা সহজ, তারা আল্লাহুর বিধান মানেনা। আর এটি হলে পৃথিবী জিনে পূর্ণ, বাস্তবে তা মোটেও নয়। আল্লাহ যদি চান তাহলে হয়ত সম্ভব। কিন্তু আল্লাহু হলেন মহান। যা খুশি করেননা। এটা বুঝতে হবে।
পরিশেষে বলতে চাই যে, আল্লাহ মানুষকে পরিক্ষা নেওয়ার জন্য অনেক কিছু করতে পারেন কিন্তু এমন কিছু করেননা যাতে তাহার সৃষ্টির উদ্দেশ্য, সৃষ্টির অধিকার বঞ্চিত হয়। তিনি মানব সৃষ্টি করেছেন তাহার ইবাদাতের জন্য, জিনের সহবাসের জন্য নয়। কাজেই জিনের দ্বারা মানব গর্ভধারন করতে পারেনা। এসব কুসংস্কার ও কুরুচিপুর্ণ মুভি দেখে মাথায় তার প্রতিক্রিয়া ঘোরার ফল হিসাবে চিন্তার উদয় হয়।