আমার বয়স ১৭ বছর।  আমার ওজন ৭১ কেজি আমি এখন ওজন কমাতে চাই কি ঔষধ খাইলে ওজন কমাতে পারি। আমি ১৫ কেজি কমাতে চাই। 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ওজন কমানোর জন্য ঔষধ সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিচে কিছু ঘড়োয়া ঔষধ দেয়া হলো এই ঔষধগুলো সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং আমাদের নিত্য দিনের ব্যবহৃত খাদ্য তালিকার অন্তর্ভুক্ত। তাই এসবে কোন পার্শ প্রতিক্রিয়া নেই এবং যে কেউ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এগুলো খেতে পারবেন। চলুন ওজন কমানোর প্রাকৃতিক ঔষধগুলো দেখে নেই।

১। মধুর সাথে আদার রসঃ মধুর উপকারিতা সবার জানা। আরো জেনে আশ্চার্য হবেন যে, মধু  আদার রসের মিশ্রণে তৈরি ঔষধ ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকরী। দিনে দুইবার করে এই মিশ্রণ গ্রহণ আপনাকে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করবে। মধুতে থাকা ফলশর্করা (Fructose) যা যকৃতের চালিকা শক্তি দ্রাক্ষা-শর্করা বা গ্লুকোজ তৈরি করে এবং দেহে ওজন কমানোর হরমোনগুলোকে ছড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে আদা পরিপাক যন্ত্রের জার্মগুলো কে মেরে ফেলে, বার বার ক্ষুদা লাগা দূর করে এবং এটা মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ৩ টেবিল চামচ মধুর সাথে ২ টেবিল চামচ আদা হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার পান করুন।

২। মধু এবং দারুচিনীঃ মধু এবং দারুচিনীর কার্যক্ষমতা বলে শেষ করা যাবে না। মধু খেতেই শুধু সুস্বাদু নয়, এটা দেহের হজমক্রিয়ার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। দারচিনী রক্তচাপকে স্থির রাখে। দেহে ওজন কমানোর হরমোনের রস বৃদ্ধি করে এবং মস্তিষ্ককে ওজন কমানোর বার্তা পাঠায়। দারচিনী দেহকে সক্রিয় করে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এক গ্লাস পানিতে ১ চলা দারচিনী নিয়ে চুলায় দিন। ১৫ মিনিট ফুটন্ত পানিতে রাখুন। এরপর নামিয়ে পানি ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হওয়ার পর ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।

৩। লেবু, মধু এবং গোল মরিচের মিশ্রনঃ ওজন কমাতে লেবুর গুনাগুণ খুব প্রসিদ্ধ। লেবু, মধু এবং গোল মরিচের মিশ্রণ ভারতীয় উপমহাদেশের একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক চিকিৎসা। কেননা এসব উপাদানই রান্নাঘরে সবসময় পাওয়া যায়। লেবুতে এক ধরনের যৌগ-পদার্থ আছে সেটা বার বার ক্ষুদা লাগা দূর করে। গোল মরিচ দেহে নতুন চর্বি কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে এবং রক্তকণিকায় থাকা চর্বি কমিয়ে ফেলে। ১ গ্লাস কুসুম পানির সাথে ১ টেবিল চামচ পানি, ১ টেবিল চামচ গোল মরিচের গুঁড়া, ৪ টেবিল চামচ লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে পান করুন।

৪। গ্রীন টিঃ ওজন কমাতে গ্রীন চা অনেক জনপ্রিয় এবং পরিচিত। গ্রীন চা  চায়ে অনেক শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা শরীরে জমে থাকা শক্ত চর্বি গলিয়ে ফেলে। চিনি ছাড়া পান করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। ওজন কমানোর জন্য দিনে ৩-৪ কাপ চা পান করবেন।

৫। গরম পানিঃ গরম পানি খাওয়ার নানা উপকারিতা আছে। পানি রক্ত থেকে চর্বিগুলো বের করে ফেলে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এবং পরে নিয়মিত গরম পানি পান করুন। খাওয়া শেষ হওয়ার সাথে সাথে পানি পান করবেন না। এখন থেকে ঠান্ডা পানি বাদ দিয়ে গরম পানি খাওয়া শুরু করুন। 

৬। ভিনেগারঃ ভিনেগার বা সিরকা ওজন কমাতে দারুণ কার্যকরী। লেবুর মত ভিনেগারও রক্তকণিকায় থাকা চর্বি দূর করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটা দেহের চর্বি কোষগুলোকে মেরে ফেলে এবং মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ভিনেগারের সাথে লেবুর রস যোগ করলে সেটার কার্যকারিতা বাড়ার পাশাপাশি স্বাদও বাড়িয়ে দেয়। এক গ্লাস পানির সাথে ১ টেবিল চামচ ভিনেগার এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন।

৭। কপি জাতীয় সবজিঃ ওজন কমানোর খাদ্য তালিকায় ফলমূল এবং শাকসবজির স্থান সবার উপরে। সবজির মধ্যে কপি জাতীয় সবজি সব চেয়ে বেশি কার্যকরী। দৈনন্দিন খাদ্যে নিয়মিত ফুলকপি ও বাঁধাকপি রাখুন। সালাদের মধ্যেও ফুলকপি কুচি করে দিতে পারেন। এ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং খুব সামান্য ক্যালরি আছে। এতে থাকা টারটারিক এসিড চিনি এবং কার্বহাইড্রেডকে চর্ব

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য।

আসলে ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই জিম/ব্যয়াম করা আবশ্যিক। অর্থাৎ। শরীরে অতিরিক্ত চর্বি থাকার কারনে ওজন বেশি হয়, আর এই চর্বি গলাতে চাইলে অবশ্যই জিম করতে হবে।

আপন ওজন কমাতে, সকালে হাটাহাটি করবেন যাতে গায়ের ঘাম আশে, ভারি কাজ করবেন, শ্রম দিবেন, ডায়েটকন্ট্রোল করবেন, সকালে ও রাতে রুটি খাবেন, দুপুরে ভাত, প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ১ গ্লাস গরম পানিতে লেবুর রস দিবেন ও পরিমান মত লবন দিয়ে পান করবেন এভাবে টানা ৩/৪ মাস চলতে থাকবে।দেখবেন দ্রুত আপনার ওজন কমে গেছে।

আশা করি বুঝতে পারছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ