আমি একজন ছেলে। আমার বয়স ২১ বছর। আমার ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক এবং খসখসে।  শীত কালে শরীর ফেটে যায়। আর সারা বছর শুষ্ক ও খসখসেই থাকে। এজন্য আমি সবসময় গ্লিসারিন ব্যাবহার করি। গ্রিসারিন যতহ্মন ব্যাবহার করি ততহ্মন মুটামুটি ভালো থাকে কিন্তু যখন ধুয়ে ফেলি তখন আবার আগের মতই শুষ্ক হয়ে যাই। এই সমস্যা আমার ছোট বেলা থেকেই। এজন্য আমি কি করতে পারি।?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

রুগ্ন ত্বকের কিছু অংশে ফাটা ফাটা ভাব থাকে। এমন ত্বককে খসখসে ত্বক বলে। ত্বক খসখসে এবং ফাটা ফাটা হলে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কাজু বাদাম বাটা মিশিয়ে মুখে লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। এই মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে মশ্চারাইজার ক্রিম লাগাতে হবে। যাদের মুখ খসখসে তারা মুখে সাবান দিবেন না। কেনো না সাবান এসিডিক ক্রিয়া করে ত্বক থেকে তৈলাক্ত ভাব কমিয়ে ফেলে এবং ত্বক আরও খসখসে করে ফেলে। মুখ পরিষ্কার করার জন্য ময়দার সঙ্গে টাটকা দুধ মিশিয়ে পেস্টের মতো করে ত্বকে লাগানো যেতে পারে। গোসলের আধা ঘণ্টা পূর্বে হালকা গরম তেল দিয়ে শরীর মালিশ করা ভালো। অলিভ অয়েল, নারকেল বা সরষের যে কোন তেল ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের পরে ঘষে ঘষে মুখ-গা মুছবেন না। ত্বক খসখসে হলে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোল্ড ক্রিম মুখে লাগালে ত্বকের উন্নতি হবে। এ ধরনের ত্বক যাদের, তাদের পোষমি ও উলের কাপড় না পরায় ভালো। কারণ এতে করে ত্বকে চুলকানি ও চামড়া উঠে যেতে পারে। তবে ইচ্ছে করলে উলের কাপড়ের নিচে পাতলা সুতি কাপড় পরে নিতে পারেন। চামড়া উঠে যাচ্ছে এমনটা হলে লবণ পানিতে গোসল করতে হবে। মাঝারি বালতিতে ২০ গ্রাম বা ৪ চা চামচ খাদ্য লবণ পানিতে মেশাতে হবে। এই পানিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় ধরে গোসল করতে হবে। এভাবে দিনে অন্তত দু’বার গোসল করা প্রয়োজন। গোসলের পরে বাদাম তেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে শরীর মালিশ করতে হবে। এভাবে গোসল করা খুব সাধারণ মনে হলেও সুক্ন চামড়া খসখসে ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এবং ভালো ফলদায়কও বটে। এ সকল নিয়ম মেনে চললে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে এবং স্বাস্থ্য ভালো ও উজ্জ্বল হবে।সূত্রঃ দ্যা টাইমস

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ