এসব চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিন। আমি জানি না কার মাথায় এই ভূত ঢুকসে। তাকে এই ভূতকে গোড়ায় মেরে ফেলতে বলবো। কারন তারা নিজেও জানে না যে তাদের কারনে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কতোটা খারাপ হচ্ছে। আর এর ফল ভোগ করছে সারাটা দেশ। আমি একটা বাংলাদেশি ছাত্রের কথা শুনেছিলাম সে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের একটা ভার্সিটিতে আবেদন করেছিলো। তার একাডেমিক রেসাল্ট ভালো থাকায় সে চান্স পেয়ে যায়। তারপর ভিসা নিয়ে লন্ডন চলে যায়। কিন্তু সেখানে ভার্সিটিতে না গিয়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে চলে যায়। সেখান থেকে ভার্সিটিকে এই মর্মে ইমেইল পাঠায় যে তার এই বছর ব্যক্তিগত কারনে লন্ডনে আসতে পারছে না। আগামী বছর সে আবার আবেদন করবে। তাকে যেনো টাকাগুলো ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ চতুর বাঙ্গলীর এই মার প্যাচ বুঝতে পারে নি। তারা টাকা ফেরত দিয়ে দেয়। কিন্তু বেশ কিছুদিন পরে তারা খবর পায় যে সেই ছেলেটি দিব্যি ম্যানচেস্টার এ ঘুরে বেড়াচ্ছে। ব্যাস! তারা তাদের ভার্সিটিতে বাংলাদেশীদের নেওয়া বন্ধ করে দিলো। একবার ভাবুন তো, এক ছেলে ছোটবেলা থেকে ঐ ভার্সিটিতে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়েছে সে যদি শুনতে পায় অন্য আরেক বাংলাদেশীর কারনে সে আর এপ্লাই করতে পারবে না তাহলে তার কতটুকু খারাপ লাগবে??

বাইরের দেশগুলোতে যেখানে এক দেশ থেকে ভিসা নিয়ে অন্যদেশে সহজেই যাওয়া যায় সেখানে বাংলাদেশীদের ভিসা দেওয়া নিয়ে কড়াকড়ি। মালেয়শিয়া বিমানবন্দরে বাংলাদেশীদের নেড়ি কুত্তারও দাম দেয় না৷ কেন? এর কারন বাংলাদেশীরা নিজেই৷

উন্নত দেশে যাওয়ার সব রাস্তা ধংস করে বর্তমানে নতুন আরেক ট্রেন্ড বাংলাদেশীদের মাথায় ঢুকসে। মধ্যপ্রাচ্য হয়ে সমুদ্র পথে ইউরোপ যাত্রা। হয়তো একদিন এটিও উপরমহল এর নজরে আসবে ও তারা বাংলাদেশিদের মধ্যপ্রাচ্যেও যেতে দিবে না। বাংলাদেশীদের ভেতর শুধু একটাই ধারনা। "আমি কোনো রকমে গেলেই হলো। অন্যদের কথা আমার ভাবার দরকার নেই।"

মাঝে মাঝে কাদঁতে ইচ্ছে হয় এই দেশে জন্মানোর ফলে। দেশের বাইরে যেতে হলে এতো এতো ফরমালিটিস পালন করতে হয়, মনে হয় আমি জেল ফেরত কয়েদী। বাংলাদেশিদের এই নজরেই দেখা হয়।

আর এর মূল কারন হচ্ছে এই অবৈধভাবে ইউরোপ আমেরিকায় যাওয়া বানচোত, মাদারচোত, কুত্তার বাচ্ছা, শুয়রের বাচ্ছা, খানকিরপোলা গুলো৷ দেশে থাকতে "রিজেকের মালিক আল্লাহ" বলে বাচ্ছা পয়দা করবে ৫-৭ টা। আর পরে এদের ভরন পোষনের জন্য ইউরোপে অবৈধভাবে পাড়ি জমাবে।

একবার ভেবে দেখুন তো, বাংলাদেশের থেকে কতো বড় দেশ কানাডায় জনসংখ্যা মাত্র ৩৭ মিলিয়ন। তারা কতো সুন্দরভাবে দিন কাটাচ্ছে৷ আর এদেশের কিছু মানুষ নিজের দেশের বিন্দুমাত্র উন্নতি না করে উল্টে বারোটা বাজিয়ে দিয়ে এখন স্পেনে পাড়ি জমাতে চায়।

আমার নিজের খুব ইচ্ছা দেশে একটা অডিট ফার্ম খুলার। সেজন্য বাইরের দেশে পড়তে যেতে চাই। কিন্তু এখন আবেদন করতে এসে দেখি এতো এতো ফরমালিটি লাগে যে গোড়াতেই মন ভেঙে যায়৷ বাধ্য হয়ে এখন আগে ভারতে পড়াশোনা করে পিঠে "ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট= সত্যিই পড়াশোনার উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলো" ছাপ্পা মেরে তারপর অন্য দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷

কখনো একা বসে একবার কল্পনা করবেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা মাত্র ৩-৪ কোটি। সবাই সুশিক্ষা পাচ্ছে, সু চিকিৎসা পাচ্ছে। অন্যদেশ থেকে আমাদের দেশে আসার জন্য মানুষ কোরায় প্রশ্ন করছে। ভাবুন তো কিরকম লাগবে?

আর নিজের দেশের উন্নতির জন্য বিন্দুমাত্র অবদানও (হতে পারে সেই অবদান বাচ্চা না নিয়ে) যদি না করতে পারেন তাহলে অন্যদেশে গিয়ে সেই দেশের বারোটা বাজাবেন না। বরং দেশেই কোনো ফার্ম টার্ম খুলে আর ৫ জন মানুষকে চাকরি দিন। সেই ক্ষমতা না থাকলে গলায় দড়ি দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে যান। অন্তত যারা দেশের জন্য কিছু করতে চায় তারা পদে পদে হেনস্তা হবে না।

প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন হতে অনেকটাই সরে গেছি। এবার প্রশ্নে ফেরত আসি। উত্তর হচ্ছে,

তেমন কোনো সমস্যা দেখি না। দক্ষ নাবিক থাকলে এইটুকু পথ অনায়াসে পাড়ি দেওয়া যায়৷ স্পেনের নেভির চোখ এড়িয়ে। আর যদি ধরা পড়েন তাহলে কপালে কি আছে তা ঐ দেশের নেভিরই জানা।

আমার কথাগুলো ব্যাক্তিগত ভাবে নিবেন না। আমি ক্ষমা চাই আমার খারাপ কথাগুলোর জন্য। কিন্তু নিজে অবশ্যই আমাদের দিকটা বিবেচনা করে দেখবেন। আর এও বিবেচনা করবেন আমার কথাগুলো ঠিক না বেঠিক।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ