ভাই ব্রয়লার মুরগী কতটা ক্ষতিকর? এটা মাঝে মাঝে খেলে কি স্বাস্থ্যের ক্ষতি বা ভবিষ্যতে কোনো রোগ হতে পারে?? অনেক ডাক্তারই বলে ব্রয়লার মুরগী না খেতে? এখন মুরগীর মাংসও তো শরীরের প্রোটিনের জন্য প্রয়োজন? এখন দেশি মুরগী খাওয়া যায় কিন্তু ভাই তা তো ব্যয়বহু,,, নিম্নশ্রেণী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা তা খাওয়া অনেকটাই আয়ের সীমার বাইরে।। এমতাবস্থায় সোনালী মুরগী বা পাকিস্তানি মুরগী কি খাওয়া যাবে? ঐ টাও তো ব্রয়লার ব্যবসায়ীরাই বিক্রি করে থাকে, তারা কি সোনালী ও পাকিস্তানি মুরগীগুলোতে কি ব্রয়লার মত ক্ষতিকর কোনো কিছু কি ব্যবহার করে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?? পরামর্শ দিন?? 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

আসলে ফার্মের মুরগীকে যে খাবার দেয় হয় তা হচ্ছে চামড়া শিল্পের বর্জ্য। এসব বর্জ্যে আছে বিষাক্ত ক্রমিয়াম। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মুরগি রান্না করলেও এই ক্রমিয়াম নষ্ট হয় না। কারণ এর তাপ সহনীয় ক্ষমতা হলো ২৯০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট। আর আমরা রান্না করি ১০০ -১৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটে।

ফলে এই বিষাক্ত ক্রমিয়াম মুরগির মাংস থেকে আমাদের দেহে প্রবেশ করে কিডনি, লিভার অকেজো করে দিতে পারে। এছাড়া এই বিষাক্ত ক্রমিয়াম দেহের কোষ নষ্ট করে দেয় যা পরবর্তীতে ক্যানসার সৃষ্টি করে ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবুল হোসেন তার গবেষণায় দেখতে পান প্রতি ১০০০ গ্রাম মুরগীর মাংসে ক্রমিয়াম আছে ৩৫০মাইক্রোগ্রাম।

হাড়ে ক্রমিয়াম আছে ২০০০ মাইক্রো গ্রাম। কলিজায় ক্রমিয়াম আছে ৬১২ মাইক্রো গ্রাম। মগজে আছে ৪,৫২০ মাইক্রো গ্রাম। রক্তে আছে ৭৯০ মাইক্রো গ্রাম ক্রমিয়াম।

World Health Organization (WHO)-এর মতে, একজন মানুষের ৩৫ মাইক্রোগ্রাম ক্রমিয়াম গ্রহণ করতে পারে। এর বেশি হলে তা দেহের জন্যে ক্ষতিকর।আমরা যদি ২৫০গ্রাম ওজনের এক টুকরা মাংস খাই তবে আমদের দেহে প্রবেশ করছে ৮৭.৫ মাইক্রোগ্রাম ক্রমিয়াম যা অনেক বেশি ।

আবার আমরা যদি ৬০ গ্রাম ওজনের একটা মাংসের টুকরো খাই তবে তা থেকে আমরা পাচ্ছি ২১.৮৮ মাইক্রো গ্রাম ক্রমিয়াম।

যা সহনীয় পর্যায়ে কিন্তু এই ক্ষতিকর এই ক্রমিয়াম ছাড়াও মুরগিকে দেয়া হয় নানা ধরনের এন্টিবায়োটিক।

কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মতে, মুরগির মাংসে এবং ডিমে এসব এন্টিবায়োটিক বর্তমান থাকে। আর এসমস্ত এন্টিবায়োটিক মুরগির মাংস ও ডিমের সঙ্গে আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়।

সর্বশেষে বলতে হয় আমাদের এই বিষাক্ত ফর্মের মুরগী খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

তবে লেয়ার বা যাকে সোনালি মুরগি বলে এই মুরগী ডিম উৎপাদন ক্ষেত্রে । আর ডিম উৎপাদন ক্ষেত্রে এই মুরগিকে কোন বিষাক্ত ক্রমিয়াম দেওয়া হয় না।এসব মুরগী কে বিভিন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। এদের মাংস ব্রয়লার মুরগি মত না।

আর পাকিস্তানি মুরগী বা দেশি মুরগি একই তবে সব থেকে দেশি মুরগি স্বাত ভালো ও পুষ্টিগুণ ভালো।এসব মাংস খেতে পারেন।তবে মাংস ভালো করে রান্না করাই উত্তম।

ধন্যবাদ। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ