আমরা জানি রমজান ব্যতিত একজন প্রাপ্ত মানুষের দৈনিক ১০/১২ গ্লাস খাওয়া উচিত এবং তা আমি নিয়মিত পান করি। কিন্তু রমজাম মাসে তো তা সম্ভব নয়। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধরা বলছে রমজান মাসে বেশি করে পানি পান করতে। তাহলে ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত তো ১০/১২ গ্লাস পানি পান করা তো কঠিন ব্যাপার? আমি তো ৫/৬ গ্লাসের বেশি পানি পান করতে পারি না৷ তাহলে প্রয়োজন অনুযায়ী আমার কি পানি দেহে ঠিকভাবে সরবরাহ হচ্ছে? বা কত গ্লাস পানি পান করা উচিত? 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

আপনার প্রথমত মনে রাখা উচিৎ যে রমজান মাস হলো সিয়াম সাধনার মাস,অর্থাৎ এ মাসে রোজা আমল খুবেই গুরুত্বপূর্ণ, এছাড়াও নামায কোরআন করা এসব তো থাকছেই। 

আপনি বললেন রমজান মাসে আপনার দেহে পানির অভাব পূরন হচ্ছে কিনা।বা দিনে ১০/১২ গ্লাস পানি প্রতিটা মানুষের সুস্থ্য থাকার জন্য প্রয়োজন। 

আচ্ছা আপনি কি কখনো শুনেছেন যে রমজান মাসে পানির পিপাসায় অনেক মানুষ অসুস্থ্য হয়ে পড়ছেন।বা সুস্থ্য মানুষ গুলো রোজা রাখায় পানির পিপাসায় অসুস্থতা হয়ে পরছেন বা তাদের দেহের পর্যাপ্ত পানি না থাকায় তাদের দেহে পানি সরবারহ হচ্ছে না।না সুনেন নি।

তবে হ্যা যারা রোজা থেকে রোদে যায় কাজ করে, তাদের পিপাসা লাগে কারন ঘাম ঝরে ও দেহে থাকা অবশিষ্ট পানি গুলো ঘামে বের হয় ফলে তাদের কষ্ট লাগে।

কিন্তু একজন সুস্থ্য মানুষ যখন সে সেহরি খেলো এবং সেহরিতে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পান করলো এবং সে সারাদিন পানাহার  করলো না যার কারনে পানির প্রয়োজন হলো না। এভাবেই সে সর্বশেষ খাবার ও পানি খেয়ে নিয়েছে সেহরিতে। এবং ইফতারের সময় সে তার পিপাসা অনুযায়ী পানি পান করলো।

কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল করে দেখুন যতক্ষন না আপনি ইফতার খাবেন ততক্ষন না আপনার পিপাসা বাড়বে না।অর্থাৎ যদি আপনি ইফতার না করেই শুধু পানি পান করেন তখন। মনে করুন ২ গ্লাস খেলেন এবং এই ২ গ্লাসেই পিপাসা মিটে গেলো কিন্তু যখন আপনি ইফতার খাবেন তখন দেখবেন খাওয়া মাজে বা খাওয়ার পর আবার পানির পিপাসা লাগবে।

আসলে আমি বলতে চাচ্ছি যে, দিনের বেলায় মানুষ অনাহারে থাকে যার ফলে পানির প্রয়োজন হয় না তবে যাদের রোদে যাওয়ার কারনে পরিশ্রম করার কারনে পিপাসা পায় তাদের বেপার টা আলাদা।

যেহেতু আপনি রমজান মাসে তেমন কাজ করেন না,তেমন শ্রম বা পরিশ্রমী করেন না ফলে দেহের কার্যক্রম বা পেশির তেজ ও বিপি নরমালি থাকে ফলে দেহ তার স্বাভাবিক পর্যায়ে অবস্থান করে থাকে।

আর যখন আপনি রোজা থেকেই কাজ করবেন দেখবেন খুদা ও পানির পিপাসা কাকে বলে বুঝতে পারবেন।

সুতারং রমজান মাসে আপনি সেহরি ও ইফতার এ আপনার চাহিদা অনুযায়ী বা পিপাসা অনুযায়ী পানি পান করুন দেখবেন সুস্থ্য মানুষের চেয়ে আমি আর‍্যো ভালো সুস্থ্য থাকবেন।

মনে রাখবেন পাকস্থলীর বা লিভার সংক্রান্ত সমস্যা অর্থাৎ রুচি নাই মুখে , খেতে ইচ্ছা করে না। এরকম হলে আপনি প্রতি সমবার শুক্রবার রবিবার এভাবে ২/১ দিন পর পর রোজা দিন দেখবেন ইনশাল্লাহ আপনার সমস্যা সমাধান হবে।

আশা করি বুঝতে পারছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ