সে তওবা না করেই মৃত্যুবরণ করে তাহলে হাশরের ময়দানে আল্লাহ তাকে জান্নাত ও দিতে পারে আবার জাহান্নাম ও দিতে পারে।
কে জান্নাতি আর কে জাহান্নামি তা আমি আপনি বলতে পারব না।
তিনি যাকে চান, তাকে স্বীয় অনুগ্রহ দান করেন। যাকে তিনি কিছু দিতে চান, তা কেউ রোধ করতে পারে না। আর যা তিনি রোধ করে নেন, তা কেউ দিতে পারে না। যাবতীয় কল্যাণ তারই হাতে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আখলিস দ্বিনাকা ইয়াকফিকাল আমালুল কালিল। অর্থাৎ তোমার ঈমানকে খাঁটি কর, অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হইবে।
আবার মানুষ শুধু আমলের ওপর ভর করে জান্নাতে যেতে পারবে না।
রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কোনো ব্যক্তিকে তার নেক আমল জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারবে না। লোকজন প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল! আপনাকেও নয়? তিনি বলেন, আমাকেও নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে তার করুণা ও দয়া দিয়ে আবৃত না করেন। কাজেই মধ্যমপন্থা গ্রহণ করো এবং নৈকট্য লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাও। (বুখারি, হাদিস : ৫৬৭৩)।
উপরোক্ত হাদিস দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায় যে মানুষ নিজের যোগ্যতা ও আমল নয়, বরং আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহেই নাজাত পেতে পারে।
তাই কোন ব্যক্তি যদি তওবা না করেই মৃত্যুবরণ করে তাহলে হাশরের ময়দানে আল্লাহ তাকে জান্নাত দিবেন যদি আল্লাহ তাআলা অনুগ্রহ করেন। কারণ মহান আল্লাহ কাকে কোন অসিলায় নাজাত দেবেন তা তিনি নিজেই জানেন।