আমার মনে হয় আমি সবার থেকে ব্যাতিক্রম।সেটা আমার প্রতিটি কাজে যেমন ধরুন: ১. হেজাব ব্যাবহার : বর্তমানে মেয়ে রা হেজাব ব্যাবহার করে ফুল কপির মত করে পেছিয়ে পেছিয়ে। কিন্ত আমি হেজাব ব্যাবহার করতে পারি না। আগের যে স্কার্ফ ছিলো সে গুলা সিম্পিল ভাবে ব্যাবহার করি। মূলত হেজাব মাথাতে পেচিয়ে পেচিয়ে ব্যাবহার করা পছন্দ করি না। ২. প্লাজু: প্লাজু তো এখনকার মেয়েদের এক মাত্র ড্রেস এ পরিণত হয়েছে। কিন্ত আমার কোন প্লাজু নাই,,,আমি প্লাজু পরা পছন্দ করি না। ৩.ঠানকুর উপর সেলোয়ার/ পাজামা পরা: এটাও আমার কাছে ভালো লাগে না কিন্ত অনেক মেয়েকে দেখি তারা এই রকম ভাবে পাজামা পরিধান করে. ৪.ছেলে-মেয়ে ফ্রি মিক্সিং : কেন জানি এটা তে গা জ্বলে। কোন ছেলের সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে না। কলেজে ক্লাসে দেখি অন্যমেয়েরা কি সুন্দর ছেলে বন্ধুর সাথে গল্প করছে।আড্ডা দিচ্ছে,ঘুরতে যাচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্ত আমার এ গুলা ভালো লাগে না। প্রয়োজন ব্যাতিত কোন ছেলের সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে না & বলি ও না। ৫.ফেসবুক: বর্তমানে একটি মেয়ের আইডিতে ৯০% ছেলেদের পাওয়া যাবে।কিন্ত আমার ক্ষেত্রে সেটা উল্টো মাত্র কয়েক জন ছেলে ফ্রেন্ডস আছে। কিন্ত কারো সাথে মেসেজিং হয় না। আমি হুদাই হুদাই ফেসবুক ব্যাবহার করি। শুধু মাত্র নিউজ ফিড নিয়ে পড়ে থাকি। মেইন মেইন পয়েন্ট গুলা তুলে ধরলাম। এছাড়া প্রতিটা বিষয় এ অন্য মেয়ে দের থেকে আমি আলাদা। আমি বুঝি না আমি এই রকম কেন.? এটা কি আমার কোন সমস্যা.?? যেখানে প্রতিটা মেয়ে এক রকম ভাবে চলে বা চলছে সেখানে আমি কেন ভিন্ন রকম ভাবে চলি.??
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

না এটা আপনার সমস্যা না।এটা আপনার কোন মানুসিক রোগ না।এটা আপনার নিজের ইচ্ছাকৃত নিজের লাইফস্টাইল না।এসব আপনার অহংকার না। 

উত্তরটি পড়ুন ও আপনার মতামত জানান।

আমার ব্যক্তিগত মতামত:- আসলে আপনার মাঝে রয়েছে গ্রামের মেয়েদের মত এক সাধারন মেয়ে যার মাঝে নেই অহংকার, নেই রুপ বা সৌন্দর্যের অহংকার,রুপের বাহার ও গায়ের পোশাক দেখিয়ে ছেলেদেরকে আকৃষ্ট করার মত মানুসিকতা আপনার মাঝে হয়তো নেই বা কম।

আপনার সিরিয়াল অনুযায়ী প্রশ্নগুলোর থেকে আমার ব্যক্তিগত মতামত দেখুন বলছি।

  1. বর্তমানে মেয়েরা হেজাব ব্যাবহার করে ফুল কপির মত করে পেছিয়ে পেছিয়ে। কিন্ত আপনি হেজাপপ/নিকাপ ব্যাবহার করতে পারেন না। আগের গ্রামের ঐতিহ্যের মেয়েদের মত স্কার্ফ পরেন আর এটাই আপনার অভ্যস।আর এই অভ্যস গুলো আমাদের মাঝে অনেকেরি আছে যা পরিবর্তন করতে পারিনা।যা বর্তমান প্রেক্ষাপট কে উপেক্ষা করে।যদি আপনি ধার্মিক হোক তাহলে প্লিজ বোরকা পড়ুন হিজাব ইসলামের ফরজ পর্দার মধ্যে পরে না। আপনি হয়তো জানেন যে বোরকা পড়া মেয়েরা সব থেকে বেশি সম্মান ও মর্যাদা পান যা আল্লাহ কাছে এ সমাজের মানুষের কাছেছে কাজেই কি করবেন ভেবে দেখুন।
  2. সরি প্লাজু পরিধন কোন মুসলিম মেয়েদের পোশাক হতে পারে না কাজেই এ থেকে দুরে থাকাই ভালো।
  3. আপনি টাকনুর নিচ থেকে পড়ুন অন্যরা মর্ডান হলে আপনার কি আসে যায় কারন আপনার পাপের বোঝা তারা নিবে না বা আপনি অন্যের গুলো নিবেন না সো অন্যের কথা বাদ দিন।
  4. দেখুন প্রয়োজন ব্যতীত কোন মেয়ে বা ছেলে একে অপরে কথা বলা নিশেধ বা যাবে না।যদি আপনার কোন দরকার থাকে যে রাকিব এর কাছে অংকের আনসার নিবেন তাহলে কথা বলুন ও নিয়ে নিন ও তাকে ফিরত দিন ও আপনি আপনার মত থাকুন বাট এতোটাই নিচু থাকা ঠিক না যে অন্যের কথার জাবাব দিচ্ছেন না।সো বুঝতেই পরছেন।
  5. ফেসবুক এর ব্যাপার টা আপনার ব্যক্তিগত চাইললে যা কিছুই সেখানে করতে পারেন।ছেলেদের সাথে আড্ডা মাস্তি বা খবর পরা বা বিভিন্য ফান পোস্ট দেখা এসব করুন সমস্যা নেই তবে মনে রাখবেন চোখের জেনা হোক এমন দৃশ্যগুলো এড়িয়ে থাকবেন।

আপনার আর একটা কথা হলো →যেখানে প্রতিটা মেয়ে এক রকম ভাবে চলে বা চলছে সেখানে আমি কেন ভিন্ন রকম ভাবে চলি.??

অন্যদের দেখুন, লক্ষ করুন, বুঝুন ও ভেবে দেখুন যে তারা ঠিক কি পজিশন এ আছে তারা কি ধার্মিক দিক থেকে ঠিকাছে নাকি আপনি ঠিকাছেন।

দেখুন তারা কি ইসলাম মানছেন নাকি ছেলেদের আকৃষ্ট করছে।আপনি শুধু তাদের ফলো করুন যারা ধার্মিক জীবন যাপন করছে তাহলে ইনশাল্লাহ আপনি আল্লাহ'র পছন্দের বান্দা হবেন

মনে রাখবেন →আপনি কিন্তু অবুঝ শিশু নন। আর এও মনে রাখবেন একজন ছেলের চোখের যেনা করার একজন পর্দাহিন নারিই যথেষ্ট কাজেই আগে হিসাব হবে মেয়েটার যে কেন সে পর্দা করলো না। সুতারং বুঝতেই পারছেন কি বললাম আমি। কাজেই সর্বদাই বলবো আপনি হিজাব করুন সম্পূর্ন শুধু চোখ ব্যতীত।

আশা করি বুঝতে পারছেন।

 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ