শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Mahadi

Call

বিলুপ্ত প্রাণী: স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে ডোরাকাটা হায়েনা রাজশাহী অঞ্চলে, ধূসর নেকড়ে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে, নীলগাই দিনাজপুর-পঞ্চগড় এলাকায়, বান্টিং বা বনগরু চট্টগ্রাম ও সিলেটে এবং বনমহিষ দেশের সব বনাঞ্চলেই দেখা যেত। এ ছাড়া তিন ধরনের গন্ডার ছিল বাংলাদেশে: সুমাত্রা গন্ডার, জাভা গন্ডার ও ভারতীয় গন্ডার। বাদা বা জলার হরিণকে স্থানীয়ভাবে বলা হতো বারো শিঙা হরিণ। এটি সিলেট ও হাওর এলাকায় দেখা যেত। কৃষ্ণষাঁড় নামে একটি প্রাণী ছিল রাজশাহী ও দিনাজপুর এলাকায়। আর মন্থর হরিণ পাওয়া যেত পার্বত্য চট্টগ্রামে। এই ১৩ প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে বেশির ভাগই গত শতাব্দীতেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এর মধ্যে একমাত্র মন্থর ভালুক নামে ভালুকের একটি প্রজাতি গত ৪০ বছরে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছে।

পাখির মধ্যে লালমুখ দাগিডানা একসময় সিলেটে দেখা যেত। সেখানকার পাহাড়ি বাঁশঝাড়ে এরা বাসা বাঁধত। ওই বিশেষ জাতের পাহাড়ি বাঁশঝাড় প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় এই পাখিরাও এ দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার একেকটি সারস বাংলার নদীর ধারে ঘুরে বেড়াত। জলাভূমির শামুক ও ঝিনুক ছিল এদের খাবার। মূলত শিকারিদের কবলে পড়ে এই বিশাল পাখিটি এ দেশ থেকে হারিয়ে গেছে।

এ ছাড়া ধূসর মেটে তিতির ও বাদা তিতির পাখিও হারিয়ে গেছে। বাংলার বিখ্যাত বাদি হাঁস, গোলাপি হাঁস, বড় হাড়গিলা বা মদনটাক, ধলাপেট বগ, সাদাফোঁটা গগন রেড, রাজ শকুন, দাগি বুক টিয়াঠুঁটি, লালমাথা টিয়াঠুঁটি, গাছ আঁচড়া, সবুজ ময়ূর চিরতরে এ দেশ থেকে হারিয়ে গেছে। সরীসৃপজাতীয় প্রাণীর মধ্যে মিঠাপানির কুমির বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছে।

বিপন্নের তালিকায় এসেছে চিত্রিত ব্যাঙ, বেলুন ব্যাঙ, চ্যাপ্টা মাথা ব্যাঙ, ঝরনা সুন্দরী ব্যাঙ, বড় গেছো ব্যাঙ।মহাবিপন্ন প্রাণীদের তালিকায় রয়েছে বেঙ্গল টাইগার, হাতি, ভোঁদড়, লামচিতা, চিতা, বনরুই, উল্লুক, চশমা পরা হনুমান, বনগরু, সাম্বার হরিণ, প্যারাইল্লা বানর, হিমালয়ান ডোরা কাঠবিড়ালি ও কালো ভালুক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ