F.Rahman

Call

এটা নির্ভর করছে আপনি কীভাবে সংজ্ঞায়িত করছেন তার উপর।

ভারতীয় আর্যভট্ট তাঁর গাণিতিক রচনায় শূন্যের ধারণাটি কাজে লাগিয়েছিলেন, তবে তিনি এর জন্য কোনও প্রতীক হিসাবে উল্লেখ করেননি।

এর ৪৫০ বছর পরে প্রকৃত প্রতীক "0" এর প্রাচীনতম ডকুমেন্টেশন এবং শূন্য শব্দের উৎসটি এসেছে পার্সিয়ান আল খোয়ারিজমি থেকে এসেছে।

আমরা যদি ধারণার জন্য সত্যই কৃতিত্ব দিতে চাই, আমাদের আর্যভট্টের একশো ১০০ বছর আগে মায়া সভ্যতার কাছে বা ৭০০ বছর পূর্বে ব্যাবিলনীয়াদের কাছে যেতে হবে। যদিও, এটা ঠিক যে শূন্যের ধারণা আর্যভট্ট থেকেই এসেছে।

এবং সবশেষে শূন্যকে সংখ্যার মর্যাদা দিয়েছে ব্রহ্মগুপ্ত তার ব্রহ্মস্ফুটসিদ্ধান্ত নামক বইয়ে।

শূন্যের আবিষ্কারের পূর্বের ঘটনাঃ

শূন্য আবিষ্কারের পূর্বে মানুষ শূন্য বুঝাতে ফাকা ঘর ব্যবহার করতো। কেননা পূর্বে সংখ্যার কোন লিখিত রূপ ছিলোনা। এমনকি কোন চিহ্ন রুপও ছিলোনা একসময় তখন সংখ্যা চিত্র রূপে ব্যবহার হতো। এরপরে সংখ্যা চিহ্ন রূপে ব্যবহার হতো। এইসব সময়ে শূন্য বুঝাতে ঐ স্থানে ফাকা রাখা হতো। এই সমস্ত ঘটনা খ্রিষ্টপূর্ব দুই হাজার-তিন হাজার বছর পূর্বের ঘটনা।

এরপরে খ্রিস্টপূর্ব ৭০০ বছর আগে ব্যবিলনীয়রা ফাকা স্থানে দুই কোণাকৃতির চিহ্ন (‘’) ব্যবহার করা শুরু করলো। এরপরে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ বছর পূর্বে মায়া সভ্যতা শূন্য বুঝাতে ফাকা ঘর ব্যবহার শুরু করে। এরপরে মিশরীয়রা শূন্য ও জ্যামিতি অনেক গবেষণা করেন।

 

শূন্য আবিস্কারে ব্যবিলীয়ন ও মায়া সভ্যতার স্পষ্ট অবদান রয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ