আমার নাম:মো:মোস্তাফিজার রহমান।বয়স:২২বছর।আমার ওজন ৪৮ কেজি যা বয়সের তুলনায় অনেক কম তাই কি করলে স্থায়ীভাবে মোটা হওয়া যাবে আশাকরি এ বিষয়ে ভালো পরামর্শ দিবেন। 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohat

Call

১. স্ট্রেস থেকে মুক্তি
রোগা হওয়ার বা দেহের ওজন দ্রুত কমে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ কিন্তু স্ট্রেস, যা এখন আমাদের নিত্য সঙ্গী। তাই ওজন বাড়াতে চাইলে কিন্তু প্রথমেই স্ট্রেস বা অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে। কীভাবে করবেন, খুব সহজ প্রতিদিন মাত্র ১৫ মিনিট সময় বের করে মেডিটেশন করুন। এতে আপনার মস্তিস্ক রিল্যাক্সড হবে। এছাড়া দুপুরে আরাম করে ২ ঘন্টা ঘুমিয়ে নিন। এতেই খুব জলদি ফল পেয়ে যাবেন আপনি।
 

২. পি-নাট বাটার

পি-নাট বাটার হাই ক্যালোরি যুক্ত একটি খাবার। তাই প্রতিদিন একবার করে ব্রেড বা রুটি বা বিস্কুটের সাথে বেশ খানিকটা পি-নাট বাটার খেয়ে ফেলুন। তবে পেট বাঁচিয়ে। এতে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই তাড়াতাড়ি ওজন বাড়াতে চাইলে কিন্তু আজকেই কিনে ফেলুন পি-নাট বাটার। দোকানে তো পেয়েই যাবেন তবে বাড়িতে বসেই পেতে চাইলে আপনার পরম বন্ধু অ্যামাজন তো আছেই।

সানড্রপ পি-নাট বাটার ক্রাঞ্চি, ৪৬২ গ্রাম

দাম ২৪০/-
 

৩. ড্রাই ফ্রুটস

ড্রাই ফ্রুটস কিন্তু আদর্শ খাবার মত হওয়ার জন্য বা ওজন বাড়ানোর জন্য। এগুলিতে ক্যালোরির মাত্র অনেক বেশী থাকে। তাই কাজু, কিশমিশ, খেজুর এবং আমন্ড খেলে কিন্তু আপনার মোটা হওয়ার ইচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণ হবে। নিয়মিত সকালে ব্রেকফাস্টের সাথে ১০-১২ টি আমন্ড বা কাজু, কিশমিশ বা খেজুর খাওয়া শুরু করুন। তবে এগুলি খাওয়ার আগে রাতে ১/২ কাপ জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া ভালো দিনে অন্তত ৩ বার খেলে ফল খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে। এই সমস্ত রকম ড্রাই ফ্রুট আপনি পাবেন অনলাইনে অ্যামাজনে।

হ্যাপিলো প্রিমিয়াম ইন্টারন্যাশানাল হেলদি নাট মিক্স, ২০০ গ্রাম।

দাম ৩৬৫/-

৪. ক্ল্যারিফায়েড বাটার

এই উপাদান কিন্তু শুধু আপনার ওজনই বাড়ে না তার সাথে আপনার শরীরকে বেশী পরিমাণে ভিটামিন গ্রহণে সক্ষম করে তোলে। তাই ক্ল্যারিফায়েড বাটার কিন্তু খুব কার্যকরী আপনার দেহের ওজন বাড়িয়ে তোলার জন্য।

উপকরণঃ

ক্ল্যারিফায়েড বাটার ১ চামচ, চিনি ১ চামচ।

পদ্ধতিঃ

ক্ল্যারিফায়েড বাটার ও চিনি মিশিয়ে দিনে ও রাতে খাবার ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে। ১ মাস এই রুটিন ফলো করলেই কিন্তু আপনার দেহের ওজন বৃদ্ধি পাবে| ক্ল্যারিফায়েড বাটার আপনি সহজেই অ্যামাজনে পেয়ে যাবেন।

আমূল পিওর ঘি, ১ লিটার

দাম ৫০৫/-

৫. আলু

আলু কার্বোহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগারে পরিপূর্ণ একটি উপাদান। তাই এই উপাদান আপনাকে খুব ভালো ভাবে হেল্প করবে ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। এর জন্য প্রতিদিন দু’বার করে খাবার পাতে সেদ্ধ আলু খান। এছাড়া আলু চিপস অলিভ অয়েলে ভেজে প্রিজার্ভ করে রেখেও খেতে পারেন। ২ মাস নিয়মিত খেলেই কিন্তু পার্থক্য আপনার চোখে ধরা দেবে।

৬. ডিম

ডিম ওজন বৃদ্ধি করার জন্য অত্যন্ত ভরসা যোগ্য একটি উপাদান। এতে বর্তমান ফ্যাট, প্রোটিন ও গুড ক্যালোরি আমাদের দেহের জন্য অত্যন্ত ভালো। ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে তাই নিয়মিত ডিম খাওয়া শুরু করুন। ৩-৪ টি ডিমের সাদা অংশ খান প্রতিদিন। কোনোভাবেই কাঁচা ডিম খাবেন না। সেদ্ধ করার ডিমের সাদা অংশই খাওয়া উচিত। ১-২ মাসের মধ্যেই কিন্তু ফল আপনি পেয়ে যাবেন।

ওজন বৃদ্ধি করা কিন্তু ওজন কমানোর চেয়ে অনেক সহজ। তবে এর জন্য সবথেকে বেশী প্রয়োজন সঠিক ডায়েট। তবে অনেকেরই মেটাবলিজম খুব বেশী ভালো হয়। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই রোগা হওয়ার পেছনে বা দেহের ওজন কমে যাওয়ার পেছনে নানা ধরনের শারীরিক দুর্বলতা থাকে, সে ক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মত খাওয়া দাওয়া করা প্রয়োজন। যেকোনো রকমের প্রোটিন শেক বা হেলথ ড্রিংক যা ওজন বৃদ্ধি করে বলে দাবি করে থাকে সেগুলি খাওয়ার আগেও কিন্তু অতি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বাড়বে ওজন।

 

সকাল ৮টায়ঃ

(১) হাফ লিটার পানি

(২) একটি সিদ্ধ ডিম

(৩) দুই স্লাইস পাউরুটি

(৪) একটি গাজর/কলা

(৫) এসময়ে চা বা কফি পান না করাই ভালো।

 

 

 

সকাল ১০টায়ঃ

ভাত বা রুটি সবজি যা আপনি নিয়মিত খেয়ে থাকেন।

 

দুপুর ১২টায়ঃ

(১) একটি কলা

(২) এক গ্লাস ফলের জুস বা গ্লুকোজ পানি।

(৩) একমুঠো বাদাম

 

দুপুর ২টায়ঃ

আপনি নিয়মিত যা দুপুরে খান। তবে খেয়াল রাখবেন সবজি এবং মাছ/মাংস যাতে থাকে। দুপুরে খাবারের পর যেকোনো একটি ফল খাবেন।

 

বিকাল/সন্ধ্যার নাস্তাঃ

(১) এক চামচ ঘি

(২) এক বাটি সিদ্ধ নুডুলস (নুডুলডে ওজন খুব বাড়ে)

(৩) চারটি আমলকী

 

 

 

রাত ৯টায়ঃ

সাধারণত যা খেয়ে থাকেন আপনি তাই খাবেন। খাবারের পর একটি কলা, একমুঠো বাদাম ও ২৫০গ্রাম দুধ খাবেন।

 

কিছু প্রয়োজনীয় কথাঃ

১. দিনে কমপক্ষে দুই লিটার পানি খেতে হবে।

২. সকাল অথবা বিকেলে আধা ঘন্টা হাঁটতে হবে।

৩. রাতে ৮ঘন্টা ঘুমাতে হবে।

৪. শাকসবজি, ফলমূল, ডিম ফরমালিন মুক্ত খেতে হবে।

 

একেকজনের শরীরের গড়ন একেকরকম। কারো জলদি ওজন বাড়বে, কারো আস্তে আস্তে বাড়বে। তবে এই চার্ট অনুসরণ করলে গড়ে মাসে দুই থেকে তিন কেজি বাড়বে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Jamiar

Call

আপনি বেশি বেশি করে ক্যালোরিযুক্ত খাবার খান। ভাতের বদলে ডাল এবং সবজিসহ রান্না করা খিচুড়ি খান । ভাত খেতে হলে বসা ভাত রান্না করুন কিংবা রাইস কুকারে রান্না করা ভাত খান । ফ্যান বা মাড় ঝরানো ভাত খাবেন না । রুটি খাবেন না । পাউরুটি খেলে জেলি/জ্যাম অথবা মাখন সহ খান । প্রতিদিন ১০০ গ্রাম বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম দুধ খান । দিনে ২ টি ডিম খান । অতিরিক্ত চা কফি খাবেন না । কখনই খাবার বাদ দেবেন না । দ্রুত কোথাও যেতে হলে বা কাজ থাকলে পথে খাবারটা খেয়ে নিন । খাবার বাদ দিলে শরীরের ক্ষতি হয় । তিনবেলা খাওয়ার সাথে সাথে বিকালে নাস্তা করুন । এবার আসুন এক্সারসাইজে, জিমে গিয়ে কখনই ব্যায়াম করবেন না।হাল্কা ব্যায়াম করুন ।দৌড়ান , সাইকেল চালান, সাতার কাটুন । অতিরিক্ত ব্যায়াম করবেন না। এগুলি করলে আপনি মোটা হতে পারবেন।

ধন্যবাদ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ