আমার প্রশ্ন হলো, মানুষ চাইলেও সে তার নিজের  মন কনট্রোল করতে পারেনা, এইটা স্বাভাবিক।   আমার বেশ কয়েক দিন যাবত মন এর  মধ্য শয়তান অনেক আজেবাজে চিন্তা বারবার ডুকিয়ে দেয়, এবং কি অনেক কুফরি চিন্তাও বারবার ডুকিয়ে দেয়, কিন্তু আমি এইসব চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য চেষটা করি  অনেক ইস্তেগফার পাঠ করি, তাও শয়তান অনেক খারাপ চিন্তা যা কল্পনাও করা যায় না তা ডুকিয়ে দেয়, এক কথায় বলতে গেলে আমি চেষ্টায় আছি, এখন প্রশ্ন হলো যে আমার কি কোনো গুনা হবে? আর এই অবস্থা থেকে মুক্তি কিভাবে পেতে পারি? আর এইরকম অবস্থা কি কারও সাথে হওয়া স্বাভাবিক কিনা? উত্তর এ-র আশায় আছি।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

আসলে যুবক বয়সে মাথায় নানান কিছু চিন্তাভাবনা আশতে পারে যা যৌনতা নিয়ে বেশিই।তবে খারাপ চিন্তাভাবনা বলতে শুধু এটাই বেশিই মানুষ ভূগে থাকেন। তাছাড়াও অন্যকে কথায় কথায় মিথ্যা বলা,ঠকানো,যেকোন কাজে কর্মে ধোকা দেওয়া। যাইহোক আপনি ৫ ওয়াক্ত নামায আদায় করুন।দেখবেন সব কিছু নিয়ন্ত্রনে আসবে।

আপনার খারাপ চিন্তাভাবনা গুলো দুর করতে নামাযের কোন তুলনা নেই।পাশাপাশি সবার সাথে মিশে থাকবেন। হাসিখুসি থাকবেন সব সময়। অন্যদের সাথে খেলাধুলা করুন, ভালো ছেলেদের সাথে আড্ডা দিন। দেখেবেন অনেক ভালো লাগবে আপনাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এক্ষেত্রে আপনার কোনো গুনাহ হবে না। আর এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বেশি বেশি ইস্তেগফার করুন। আর এইরকম অবস্থা কারও সাথে হওয়া স্বাভাবিক।

১ নাম্বার রেফারেন্সঃ অন্তর ও নাফসের কুচিন্তাসমূহের গুনাহ ক্ষমা করা হবে যদি তা অন্তর ও নাফসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কথা বা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের জন্য তাদের মনে কল্পনাগুলোকে মাফ করে দিয়েছেন।

(সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী), হাদিস নম্বরঃ ২৩০ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ  ২৩১, ইসলামিক সেন্টারঃ ২৩৯)।

২ নাম্বার রেফারেন্সঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা (ফেরেশতাদেরকে) বলেছেনঃ আমার বান্দা কোন পাপ কর্মের কথা ভাবলেই তা লিখবে না; বরং সে যদি তা কার্যে পরিণত করে তবে একটি পাপ লিখবে। আর যদি সে কোন নেক কাজের নিয়ত করে কিন্তু তা সে কার্যে পরিণত না করে, তাহলেও এর জন্য প্রতিদানে তার জন্য একটি সাওয়াব লিখবে আর তা সম্পাদন করলে লিখবে দশটি সাওয়াব!

(সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান, হাদিস নম্বরঃ ২৩৪)।

৩ নাম্বার রেফারেন্সঃ আবূ সায়িদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: ইবলিস তার রবকে বলেছে: আপনার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম, আমি বনি আদমকে ভ্রষ্ট করতেই থাকব যতক্ষণ তাদের মধ্যে রূহ থাকে। আল্লাহ বলেন: আমার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম, আমি তাদের ক্ষমা করতে থাকব যতক্ষণ তারা আমার নিকট ইস্তেগফার করে।

(সহিহ হাদিসে কুদসি, অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ, হাদিস নম্বরঃ ৩২)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ