এক্ষেত্রে আপনার কোনো গুনাহ হবে না। আর এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বেশি বেশি ইস্তেগফার করুন। আর এইরকম অবস্থা কারও সাথে হওয়া স্বাভাবিক।
১ নাম্বার রেফারেন্সঃ অন্তর ও নাফসের কুচিন্তাসমূহের গুনাহ ক্ষমা করা হবে যদি তা অন্তর ও নাফসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে।
আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কথা বা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের জন্য তাদের মনে কল্পনাগুলোকে মাফ করে দিয়েছেন।
(সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী), হাদিস নম্বরঃ ২৩০ ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩১, ইসলামিক সেন্টারঃ ২৩৯)।
২ নাম্বার রেফারেন্সঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা (ফেরেশতাদেরকে) বলেছেনঃ আমার বান্দা কোন পাপ কর্মের কথা ভাবলেই তা লিখবে না; বরং সে যদি তা কার্যে পরিণত করে তবে একটি পাপ লিখবে। আর যদি সে কোন নেক কাজের নিয়ত করে কিন্তু তা সে কার্যে পরিণত না করে, তাহলেও এর জন্য প্রতিদানে তার জন্য একটি সাওয়াব লিখবে আর তা সম্পাদন করলে লিখবে দশটি সাওয়াব!
(সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ১/ কিতাবুল ঈমান, হাদিস নম্বরঃ ২৩৪)।
৩ নাম্বার রেফারেন্সঃ আবূ সায়িদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি: ইবলিস তার রবকে বলেছে: আপনার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম, আমি বনি আদমকে ভ্রষ্ট করতেই থাকব যতক্ষণ তাদের মধ্যে রূহ থাকে। আল্লাহ বলেন: আমার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম, আমি তাদের ক্ষমা করতে থাকব যতক্ষণ তারা আমার নিকট ইস্তেগফার করে।
(সহিহ হাদিসে কুদসি, অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ, হাদিস নম্বরঃ ৩২)।