করােনা ভাইরাস !!!
কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত - সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমের শিরোনামে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এশিয়ার বিভিন্ন অংশ এবং এর বাইরেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তারের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারেন।
কতটা ভয়ংকর এই ভাইরাস?
শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অসুস্থতার মতো এই ভাইরাসের ক্ষেত্রেও সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং জ্বরসহ হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে । কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। এর ফলে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই এই রোগ মারাত্মক হয়। এই ভাইরাস সংক্রমণের ফলে বয়স্ক ও আগে থেকে অসুস্থ ব্যক্তিদের মারাত্মকভাবে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
কিভাবে ছড়ায় ?
মূলত বাতাসে Air Droplet এর মাধ্যমে।
- হাঁচি ও কাশির ফলে।
- আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে
- ভাইরাস আছে এমন কোন কিছু স্পর্শ করে
- হাত না ধুয়ে মুখে, নাকে যা চোখে হাত লাগলে
- পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।
লক্ষণ :
- সর্দি
- মাথা ব্যথা
- কাশি
- গলা ব্যথা
- মারাত্মক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
শিশু, বৃদ্ধ ও কম রােগ-প্রতিরােধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিউমােনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস।
প্রতিরােধ :
এখনাে ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ায় বিস্তার রােধই এর প্রতিরােধের উপায়।
- মাঝে মাঝে সাবান-পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধােয়া
- হত না ধুয়ে মুখ, চোখ ও নাক স্পর্শ না করা।
- হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা।
- ঠান্ডা বা ফু আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে না মেশা
- মাংস ও ডিম খুব ভালোভাবে রান্না করা
- বন্য জীবজয় কিংবা গৃহপালিত পশুকে খালি হাতে স্পর্শ না করা।
- মুখে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে |
আমার কি মেডিক্যাল মাস্ক পরা উচিত?
=>করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগের বিস্তার সীমিত পর্যায়ে রাখতে মেডিক্যাল মাস্ক সাহায্য করে। তবে এটার ব্যবহারই এককভাবে সংক্রমণ হ্রাস করতে যথেষ্ঠ নয়। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সম্ভাব্য সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে মেলামেশা না করা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর সর্বোত্তম উপায়।
হাত কখন কখন ধুতে হবে :
- জীবানু লেগে থাকতে পারে এমন কিছু স্পর্শ করার পর
- হাঁচি কাশি দেওয়ার পর
- রােগীর শুশ্রুষা করার পর
- খাবার খাওয়া ও খাবার প্রস্তুত করার আগে ও পরে
- টয়লেট করার পর।
- যখনই হাত মালা হয়
- পশুপাখি কি পশুপাখির মল স্পর্শ করার পর।
লক্ষণ দেখা দিলে বাড়িতে বিশ্রাম নিয়ে প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং নিকটস্থ হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
“এই করোনাভাইরাসটি ভয়াবহ গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। শিশুদের উপর এই ভাইরাসের প্রভাব বা এতে কতজন আক্রান্ত হতে পারে- সে সম্পর্কে আমরা এখনও বেশি কিছু জানি না। কিন্তু নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রতিরোধ এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। সময় আমাদের সাথে নেই।”
-ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর
করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে আসুন,
সচেতন হই,
সুস্থ থাকি।