শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jobedali

Call

বিয়ের পর মনোমালিন্য কিংবা বনিবনা না হওয়ায় অনেক দম্পতি আলাদা বসবাস করেন। এ অবস্থায় অনেকে আবার তালাকও দিয়ে দেন। কিন্তু সেই তালাক কার্যকর হওয়ার আগে পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে দাম্পত্য সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়। সে ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীকে পারিবারিক আদালতে দাম্পত্য অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় মামলা করতে হবে।

বাংলাদেশে প্রচলিত পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ ১৯৮৫-এর বলে দাম্পত্য অধিকার পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের বিষয়টি পারিবারিক আদালতকে দেওয়া হয়েছে এবং এ অনুযায়ী আদেশ বা ডিক্রি করতে পারেন আদালতে।

দাম্পত্য অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি আদালতের বিবেচনামূলক ক্ষমতার ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে যে পক্ষ মামলাটি করে তাঁকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি স্বচ্ছ মনোভাব নিয়েই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং প্রমাণ করতে হবে যে, তাঁর জীবনসঙ্গী কোনো কারণ ছাড়াই ঘরে ফিরতে চান না। তবে স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে তালাকপ্রক্রিয়া সম্পন্নকালে তালাকের নোটিশ প্রত্যাহার করা না হলে মামলা চলে না।

এ মামলায় আদালত বিবেচনা করবেন যে, স্বামী বা স্ত্রী পরস্পরের প্রতি আরোপিত দায়িত্ব পালন করছেন কি না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, স্ত্রীর পক্ষে স্বামীর নিষ্ঠুরতার কারণে ঘরে ফেরা সম্ভব নয়। এ রকম হলে তালাক নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদ আইন অনুযায়ী যেসব অধিকার দেওয়া হয়েছে তা প্রমাণ করতে পারলে স্বামী অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।

আবার স্বামী যদি স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ সত্য প্রমাণ করতে পারেন, তাহলে দাম্পত্য অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আদালত আদেশ বা ডিক্রি জারি করতে পারেন।

তবে স্বামী যদি সমাজচ্যুত কোনো কুখ্যাত সন্ত্রাসী বা মাস্তান হয়, সে ক্ষেত্রে স্ত্রীর বিরুদ্ধে দাম্পত্য অধিকার মামলা চলে না এবং স্ত্রী স্বামীর ঘরে ফিরতে বাধ্য নয়। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক দেনমোহর পরিশোধ করা না হলে স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য মিলনে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন স্ত্রী। এ ক্ষেত্রে স্বামী যদি দাম্পত্য অধিকার ফিরে পেতে মামলা করেন, তাহলে আনীত মামলাটি নাকচ করা হবে।

আর স্বামী-স্ত্রীর ঘরসংসার করার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যদি শ্বশুরবাড়ির লোকজন এতে বাধা দেয়, তাহলে ফৌজদারি আদালতের আশ্রয় নেওয়া যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ