আবদুল্লাহ্ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ মহিলাদের ঘরে নামায আদায় করা বৈঠকখানায় নামায আদায় করার চাইতে উত্তম এবং মহিলাদের সাধারণ থাকার ঘরে নামায আদায় করার চেয়ে গোপন প্রকোষ্ঠে নামায আদায় করা অধিক উত্তম। [সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ৫৭০] এক সময়মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতের সহিত নামায পড়া ইমামতির বিধান ছিল। কিন্তু বর্তমানে ফেতনার আশংকাজনক অবস্হার কারনে আলিমগ তা মাকরুহে তাহরিমী বলেছেন। মহিলাদের ইমামতি করা সম্পর্কে আল-হাসান ইবনু হাম্মাদ আল-হাদরামী উম্মে ওয়ারাকা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনও কখনও তাকে দেখার জন্য তার বাড়ীতে যেতেন। তিনি তার জন্য একজন মুয়াজ্জিনও নিযুক্ত করেন। সে তাঁর বাড়িতে আযান দিত এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে স্বগৃহে মহিলাদের নামাযে ইমামতি করার নির্দেশ দেন। রাবী আব্দুর রহমান বলেন, আমি তার জন্য বয়ঃবৃদ্ধ মুয়াজ্জিনকে দেখেছি। [সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ৫৯২] মহিলাদের নামাযে মহিলা ইমামতি করতে পারবে কি? সামান্য মতপার্থক্যসহ চার মাযহাবের ইমামগণ এ বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেনঃ ইমাম শাফেঈ মাযহাব মতে মহিলাদের নামাযে মহিলার ইমামতি শুধু বৈধই নয়, বরং তা মুস্তাহাবও বটে। হাম্বলী মাযহাব মতে মহিলাদের নামাযে মহিলার ইমামতি বৈধ, তবে তা মুস্তাহাব নয়। হানাফী ইমামগণ মহিলাদের নামাযে মহিলার ইমামতিকে মকরূহ বলে গণ্য করেছেন। মালিকী মাযহাব মতে মহিলাদের স্বতন্ত্র জামাআত ও তাতে মহিলার ইমামতি বৈধ নয়। কারণ তাঁদের দৃষ্টিতে ইমাম হওয়ার জন্য সাধারণ শর্ত হল ''পুরুষ হওয়া'' মুক্তাদী যেই হোক না কেন। তাছাড়া মহিলাদের আযান বৈধ নয়। অতএব আযানের মাধ্যমে যেদিকে আহবান করা হয় তাও তাদের জন্য বৈধ নয়।