স্মার্টফোনের বয়স যতই বাড়ে, ততই গতি কমে যায়। শুধু এর জন্যেই ফোন বদলানোর প্রয়োজন নেই। কিছু কোশল অবলম্বন করলেই স্মার্টফোনে পাওয়া যাবে নতুনের মতো গতি। আসুন জেনে নিই সেগুলো


  •  অপারেটিং সিস্টেম আপডেট: অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ আসার সঙ্গে সঙ্গেই সবার উচিত ওএস আপডেট করে নেয়া। এতে ফোন থাকবে গতিময়। কেননা ফোনের ওএসে বিভিন্ন সময় নানা রকমের বাগ ধরা পড়ে। তখন ফোনে ত্রুটি দেখা যায়। পুরনো ওএস বাগমুক্ত করতে নতুন সংস্করণ আনা হয়। নিঃসন্দেহে এটি ফোনের গতি বাড়াবে।
  • ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ: মোবাইলের ওএসে কিছু অ্যাপ সবসময় নিজ থেকেই ব্ল্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে, যা কিছুক্ষণ পরপরই অটোরিফ্রেশ ও আপডেট হয়। এর মধ্যে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাপগুলো উল্লেখযোগ্য। এমন ক্ষেত্রে ফোনের সেটিংস থেকে রানিং অ্যাপ্লিকেশন অপশনে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ডের কাজ বন্ধ করে দিতে হবে।
  •  অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ: অনেকের মোবাইল প্রচুর পরিমাণে অ্যাপ ইনস্টল করে রাখেন। এমনকি অনেক অ্যাপ থাকে যেগুলো একবারের পর আর প্রয়োজন পড়ে না। এমন অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ইনস্টলের ফলে ফোনের ইন্টার্নাল মেমোরি কমে যায় ও র‌্যামের ওপর চাপ পড়ে।
  •  লাইভ ওয়ালপেপার: স্মার্টফোনে লাইভ ওয়ালপেপার ফোনের সৌন্দর্য বাড়ায় ঠিকই তবে গতি কমিয়ে দেয় অনেকাংশেই। চেষ্টা করুন যথাসম্ভব লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার না করতে। এতে ব্যাটারিও সাশ্রয় হবে।
  •  ইন্টারনাল স্টোরেজ: ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ খালি রাখলে দারুণ গতি পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ডাউনলোড ফাইল, ব্রাউজারের হিস্ট্রি, অনেকদিন আগের ছবি ইত্যাদি সরিয়ে মেমোরি খালি রাখা উচিত।
  • লাইট ভার্সন অ্যাপ ব্যবহার: ফেসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জার এবং কিছু ব্রাউজার আছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এ অ্যাপগুলোর পাশাপাশি বহুসংখ্যক অ্যাপের লাইট ভার্সন বর্তমানে গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায়। অ্যাপের লাইট ভার্সন সাধারণত ফোনের গতির দিকে লক্ষ্য রেখেই ডিজাইন করা হয়। এতে ফোনের গড়িও বাড়বে, ডাটা কম খরচ হবে।
  • হোম স্ক্রিন ক্লিন: অনেকের মোবাইলে প্রচুর পরিমাণে ওয়াইগেট ব্যবহার করতে দেখা যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে অতিরিক্ত ওয়াইগেট আপনার ডিভাইসের গতি কমিয়ে দিতে পারে। অনেক বেশি ওয়াইগেট হোমে থাকলে তা র‌্যামের ওপর চাপ ফেলে। এতে ফোনের গতি কিছুটা হলেও কমে যায়।



শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে