BestBoyImran

BestBoyImran

0 Views
Rated 5 / 5 based on 0 reviews

BestBoyImran

  • Male | |

Chamber

Services

Work Experience

Skills

Language

Training

Education

প্রশ্ন-উত্তর সমূহ 712 বার দেখা হয়েছে | এই মাসে 712 বার
0 টি প্রশ্ন দেখা হয়েছে 712 বার
0 টি উত্তর দেখা হয়েছে 0 বার
4 টি ব্লগ | 0 টি মন্তব্য | 0 টি প্রিয়

Recent Q&A

প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সা. এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

যাঁর জন্ম না হলে পৃথিবীর জন্ম হতো না, সৃষ্টিকুলের জন্মের অনেক পূর্বে যাঁর জন্ম, মহান রাব্বুল আলামিনের বন্ধু, যাঁর সুপারিশ ব্যতীত কোন উম্মতের পরকালের নাজাতের সম্ভাবনা নেই, যিনি সকল নবীদের নবী, যাঁর সম্মানে আনুগত্য প্রকাশ করে সমস্ত সৃষ্টিকুল, যিনি সর্বাধিক আল্লাহর প্রশংসাকারী, বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত, আখেরী নবী, মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে শ্রদ্ধাভাজন, অনুকরণীয়, অনুস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব, আকায়ে নামদার তাজেদারে মদীনা হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা আহমদ মোস্তফা সা. এর জীবনী বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন তথা জীবনের প্রতিটি স্তরে তাঁকে অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলমানের অবশ্য করণীয় কর্তব্য। সে জন্যই কর্পোরেট সংবাদের পাঠকদের জন্য সেই সুমহান ব্যক্তির জীবনী সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো।

  • নবীজির নাম: নবীজির প্রধান নাম ছিলেন ৫টি। (১) ‘মোহাম্মদ’ অর্থ: সর্বাধিক প্রশংসিত। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আখেরী নবীর প্রশংসা করতেন, (২) ‘আহমদ’ অর্থ: সর্বাধিক প্রশংসাকারী, আখেরী নবী সবচেয়ে বেশি আল্লাহর প্রশংসা করতেন, (৩) ‘আক্কেব’ অর্থ: কুফুরীকে ধ্বংসের জন্য যাঁর আবির্ভাব, (৪) ‘মাহী’ অর্থ: সর্বশেষ আগমনকারী, উঁনার পর আর কোন নবী পৃথিবীতে আসবেন না। এবং (৫) ‘হাশের’ অর্থ: হাশরের মাঠে অগ্রবর্তী ব্যক্তি। নবীজি কিয়ামতের দিন হাশরের মাঠে এই নাম ধারণ করে উম্মতের জন্য সুপারিশ করবেন। এছাড়া উপনাম আছে অনেক, যেমন-আল আমিন, আবুল কাসেম।
  • জন্ম: ১২ই রবিউল আওয়াল ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ, রোজ: সোমবার, সুবেহ সাদেকের সময়।
  • জন্মস্থান: বর্তমান সৌদি আরবের মক্কা নগরী।
  • বংশ: তৎকালীন প্রখ্যাত কোরাইশ বংশে।
  • পিতা নাম: আবদুল্লাহ।
  • মাতার নাম: আমেনা।
  • দাদার নাম: আব্দুল মুত্তালেব, আসল নাম-আমের। এছাড়া তিনি অনেকের কাছে শায়বা নামেও পরিচিত ছিলেন।
  • দাদীর নাম: ফাতেমা বিনতে আমর ইবনুল আয়েয।
  • নানার নাম: ওহাব।
  • নানীর নাম: বাররা।
  • ধাত্রীমাতার নাম: ফাতেমা বিনতে আবদুল্লাহ। উনি ছিলেন ওসমান ইবনে আবু আ’সের মাতা।
  • দুধমাতার নাম: হালিমা।
  • জবান মোবারকের প্রথম বাক্য: হযরত হালীমা রা. বর্ণনা করেন যে, আমি যখন মহানবী সা. এর দুধ ছাড়ালাম, তখন তাঁর জবান মোবারকে এই কয়টি বাক্য উচ্চারিত হয়েছিল। “আল্লাহু আকবার কাবীরা ওয়ালহামদুলিল্লাহি হামদান কাছিরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতাও ওয়াঅসিলা”।
  • নবীজির বংশধারা: নবীজি ছিলেন ইসমাঈল আ. এর বংশধর। ইমাম তাবারী তাঁর লিখিত ইতিহাস গ্রন্থে যে তালিকা দিয়েছেন, তা হলো-
  • ১। মোহাম্মদ সা., ২। আবদুল্লাহ, ৩। আবদুল মুত্তালেব, ৪। হাশেম, ৫। আবদে মুনাফ, ৬। কুসাই, ৭। কেলাব, ৮। মুররাহ, ৯। কাব, ১০। লুয়াই, ১১। গালব, ১২। ফেহর (কোরায়েশ), ১৩। মালেক, ১৪। নজর, ১৫। কেনানা, ১৬। খুযাইমাহ, ১৭। মুদরেকা, ১৮। ইলয়াস, ১৯। সুযের, ২০। নাযার, ২১। মা’আদ, ২২। আদনান, ২৩। আরু, ২৪। হুমাইসা, ২৫। সালামান, ২৬। আওস, ২৭। বুয, ২৮। ক্বামওয়াল, ২৯। উব্বী, ৩০। আওয়াম, ৩১। নাশেদ, ৩২। হায্যা, ৩৩। বালদাস, ৩৪। ইয়াদলাফ, ৩৫। ত্বাবেখ, ৩৬। জাহেম, ৩৭। নাহেশ, ৩৮। মাখী, ৩৯। আইফী, ৪০। আবক্বার, ৪১। উবায়দ, ৪২। আদদা’আ, ৪৩। হামদান, ৪৪। সানবার, ৪৫। ইয়াস্রবী, ৪৬। ইয়াহ্যান, ৪৭। ইয়ালহান, ৪৮। আরউইয়া, ৪৯। আইয়া, ৫০। দীশান, ৫১। আইসার, ৫২। আক্বনাদ, ৫৩। আইহাম, ৫৪। মাক্বসার, ৫৫। নাহেছ, ৫৬। যারেহ্, ৫৭। শোম্মা, ৫৮। মায্যা, ৫৯। এওয, ৬০। আরাম, ৬১। কাইদার, ৬২। ইসমাঈল আ.।
  • পিতার মৃত্যু: নবীজির জন্মের পূর্বে পিতা আবদুল্লাহ মাত্র ২৫ পঁচিশ বছর বয়সে এবং বিয়ের মাত্র এক বছর পর মৃত্যুবরণ করেন। সিরিয়া থেকে বাণিজ্য থেকে ফেরার পথে বনী আদী ইবনে নাজ্জারের আবাসস্থলের কাছাকাছি একটি স্থানে কবর দেয়া হয়। (বর্তমান মসজিদে নববীর পাশে চিহ্নিত করা আছে)।
  • মাতার মৃত্যু: পিতৃহারা নবীর বয়স যখন মাত্র ছয় বছর তখন পিতার কবর দেখতে গিয়েছিলেন মায়ের সাথে। কবর দেখে ফেরার পথে আবওয়া নামক স্থানে মা আমেনা মৃত্যুবরণ করেন এবং সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়।
  • বাল্যজীবন: মহানবীর প্রথম দুধ-মা হন সুয়াইবাহ নামক এক মহিলা। পরে হালীমাহ আস সাদীয়াহ শিশু মোহাম্মদ সা. কে নিয়ে আসেন চির স্বাধীন মরু বেদুইনদের মাঝে। ছয় বছর বয়সে ফিরে আসেন মায়ের কাছে। মা তাঁকে নিয়ে ইয়াসরব যান। স্বামীর কবর দেখা ও আত্মীয় বাড়ীতে প্রায় মাস খানেক থাকার পর আমিনা পুত্রকে নিয়ে মক্কার দিকে রওয়ানা হন। আবওয়া নামক স্থানে মা আমিনা মৃত্যুবরণ করেন।
  • দাসী উম্মু আইমান মোহাম্মদ সা. কে মক্কায় নিয়ে আসেন। দাদা আবদুল মুত্তালিবের স্নেহ ছায়ায় মোহাম্মদ সা. পালিত হতে থাকেন। নবীজির বয়স যখন আট বছর তখন দাদা আবদুল মুত্তালিবও মারা যান। এবার চাচা আবু তালিব মোহাম্মদ সা. লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই সময় আযইয়াদ উপত্যাকায় মুক্ত আকাশের নীচে মোহাম্মদ সা. মেষ চরাতেন। বারো বছর বয়সে মোহাম্মদ সা. চাচা আবু তালিবের সংগে সিরিয়া সফর করেন।
  • ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সা.:
  • মোহাম্মদ সা. এর চাচা আবু তালিব একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। কিশোর মোহাম্মদ সা. মাত্র ১২ বৎসর বয়সে চাচার সাথে ব্যবসা উপলক্ষে সিরিয়া সফর করেন
  • ছিনাচাক: হুজুর পাক সা. এর মোট চারবার ছিনাচাক করা হয়। ১ম বার চার বছর বয়সে, ২য় বার দশ বছর বয়সে, ৩য় বার ওহী নাজিলের পূর্বে এবং ৪র্থ বার মেরাজ গমণের পূর্ব মুহুর্তে।
  • বৈবাহিক বিবরণ:
  • নবীজির বয়স যখন ২৫ তখন প্রথম বিয়ে করেন ৪০ বছর বয়স্কা বিবি খাদিজা রা. কে। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি আল্লাহর নির্দেশে আরো ১২টি বিবাহ করেন। তবে ১ম স্ত্রীর জীবদ্দশায় অন্য স্ত্রী গ্রহণ করেন নাই। ৬৫ বৎসর বয়সে খাদিজা রা. ইন্তেকাল করেন। ‘জান্নাতুল মাওয়ায়’ তাঁকে দাফন করা হয়।
  • ২য় স্ত্রী: সাওদা রা. কে নবুওতের দশম বর্ষে বিয়ে করেন। এসময় উভয়েরই বয়স ছিল ৫০ বছর। দাম্পত্যজীবন ছিল ১৪ বছর। হিজরী ১৯ সালে সাওদা রা. মদীনায় ইন্তেকাল করেন।
  • ৩য় স্ত্রী: আয়েশা রা. কে নবুওতের একাদশ বর্ষে নবীজি ৩য় বিয়ে করেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল ৫৪ বছর আর স্ত্রী আয়েশা (রা.) এর বয়স ছিল নয় বছর। ৫৮ হিজরীর ১৭ রমজান আয়েশা (রা.) ইন্তেকাল করেন।
  • ৪র্থ স্ত্রী: হাফসা রা. ওমর রা. এর বিধবা কন্যা ২২ বছর বয়সী হাফসা রা. কে বিয়ে করেন হিজরী তিন সালের শাবান মাসে। এসময় নবীজির বয়স ছিল ৫৫ বছর। হাফসা রা. হিজরী ৪১ সালের জমাদিউল আওয়াল মাসে মদীনায় ইন্তেকাল করেন।
  • ৫ম স্ত্রী: ৩০ বছর বয়সী যয়নব রা. কে বিয়ে করেন হিজরী তিন সালে। মাত্র তিন মাস দাম্পত্যজীবন যাপনের পর যয়নব রা. ইন্তেকাল করেন।
  • ৬ষ্ঠ স্ত্রী: উম্মে সালমা রা. এর বয়স ২৬ বছর, নবীর বয়স ৫৬ বছর। হিজরী ৪ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হিজরী ৬০ সালে উম্মে সালমা রা. ইন্তেকাল করেন।
  • ৭ম স্ত্রী: যয়নব বিনতে জাহ্্শ রা.। হিজরী ৫ সালে ৩৭ বছর বয়স্কা যয়নব রা. বিয়ের করেন ৫৭ বছর বয়স্ক আমার প্রিয় নবী। যয়নব রা. ২০ হিজরীতে মদীনায় ইন্তেকাল করেন।
  • ৮ম স্ত্রী: জুয়াইবিরয়্যা রা.। বয়স ২০ বছর, নবীর বয়স ৫৭ বছর। হিজরী ৫ সালের শাবান মাসে। স্ত্রী মারা যান হিজরী ২০ সালে মদীনায়।
  • ৯ম স্ত্রী: উম্মে হাবীবা রা.। ৩৬ বছর বয়সী উম্মে হাবীবা রা. ৫৮ বছর বয়সে বিয়ে করেন হিজরী ৬ সালে। হিজরী ৪৪ সালে উম্মে হাবীবা রা. মদীনায় ইন্তেকাল করেন।
  • ১০ম স্ত্রী: সাফিয়্যা রা.। ১৭ বছর বয়সী সাফিয়্যা রা. কে ৫৯ বছরে ৭ হিজরীতে বিবাহ করেন। ইনি হিজরী ৫০ সালের রমজান মাসে ইন্তেকাল করেন।
  • ১১তম স্ত্রী: মায়মুনা রা. কে বিয়ে করেন ৭ হিজরীতে। বিয়ের সময় মায়মুনা রা. এর বয়স ছিল ৩২ বছর। হিজরী ৫১ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
  • ১২তম স্ত্রী: রায়হানা বিনতে শামউন রা. কে বিয়ে করেন হিজরী ৭ সালে। বয়স ছিল আনুমানিক ২৮ বছর। মুত্যুর সঠিক তারিখ জানা যায় নাই। রায়হানা ছিলেন ইহুদী কন্যা। হাকাম নামক ব্যক্তির সাথে ১ম বিয়ে হয়। মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে হাকাম নিহত হয় এবং রায়হানা বন্দী হন। তাঁকে ইসলাম কবুলের দাওয়াত দিলে কবুল করেন এবং নবীকে বিয়ে করেন।
  • ১৩তম স্ত্রী: মিসরের কিবতী নারী। ধর্মে খৃষ্টান। ইসকান্দারিয়ার রোমান শাসক মেকিউরিয়াসের নিকট হযরত নবী করিম সা. হিজরী সনের ১ম ভাগে ইসলামের দাওয়াত সম্বলিত একখানা পত্র লিখেছিলেন। পত্রের বাহক ছিলেন বিচক্ষণ সাহাবী হযরত হাতেব ইবনে আবী বালতাআ রা.। মেকিউরিয়াস প্রিয় নবীজীর সা. পত্র এবং পত্রবাহকের প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি সেদেশের রাজকীয় রীতি অনুযায়ী পত্রের জবাব ও শুভেচ্ছার নিদর্শন স্বরূপ মারিয়া ও শিরীন নামীয় সম্ভ্রান্ত মেয়েকে নবীর খেদমতে প্রেরণ করেন। দু’জনই পথিমধ্যে হযরত হাতেম রা. এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করেন। নবী করিম সা. শিরীন রা. কে প্রখ্যাত কবি হাসসানের সাথে বিয়ে দেন আর ২৩ বছর বয়সী মারিয়া কিবতিয়াকে হিজরী ৮ সালে নবী নিজে বিয়ে করেন। মুত্যুবরণ করেন হিজরী ১৬ সালে।
  • সন্তানাদির পরিচয় ও পরলোকগমণ:
  • হযরত নবী করিম সা. এর মোট আওলাদের সংখ্যা ছিল সাত জন। তিন পুত্র ও চার কন্যা। এঁদের মধ্যে প্রথম ছয়জনই ছিলেন হযরত খাদিজার রা. গর্ভজাত।
  • পুত্র:
  • ১ম পুত্র: হযরত আবুল কাসেম। তাঁর নামানুসারে নবীজিকে আবুল কাসেম অর্থাৎ কাসেমের পিতা নামে ডাকা হতো। হযরত কাসেম যখন সবেমাত্র হাঁটতে শিখেছেন তখনই তাঁর ইন্তেকাল হয়।
  • ২য় পুত্র: আব্দুল্লাহ। তাঁকে তায়্যেব এবং তাহের নামেও ডাকা হতো। নবুওত প্রাপ্তির পর তাঁর জন্ম হয়। কথাবার্তা বলতে শুরু করেছেন এ বয়সেই তিনি ইন্তেকাল করেন। দুজনের মাতা ছিলেন খাদিজা রা.।
  • ৩য় পুত্র: ইবরাহীম। মাতার নাম হযরত মারিয়া কিবতিয়া রা.। হিজরী ৯ সালের জামাদিউল আওয়াল মাসে মদীনায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮ মাস বয়সে হিজরী ১০ সালের ২৯ শাওয়াল তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
  • কন্যা:
  • প্রথম কন্যা: হযরত সাইয়্যেদা যয়নব রা.। নবীজির বয়স যখন ত্রিশ বছর অর্থাৎ বিবাহের পাঁচ বছর পর ১ম কন্যার জন্ম হয়। মক্কার জীবনেই খালাতো ভাই (খাদিজা রা. এর বোনের ছেলে) আবুল আসের সাথে বিয়ে হয়। সাইয়্যেদা যয়নবের গর্ভে এক পুত্র আলী এবং কন্যা উমামা জন্ম গ্রহণ করেন। ছেলে হযরত আলী রা. কিশোর বয়সেই ইন্তেকাল করেন। হযরত ফাতেমা রা. ইন্তেকালের পূর্বে এই মর্মে ওসিয়ত করেন যে, হযরত আলী রা. যেন উমামাকে বিয়ে করেন। পরবর্তিতে হযরত আলী রা. শাহাদাত বরণের পর মুগীরা ইবনে নওফেলের রা. সাথে হযরত উমামার বিয়ে হয়। এঘরে ইয়াহইয়া নামে তাঁর একজন পুত্র সন্তান ছিলেন। হযরত যয়নব হিজরী ৮ সনে ইন্তেকাল করেন।
  • দ্বিতীয় কন্যা: হযরত রুকাইয়্যা রা.। নবীজির বয়স যখন ৩৩ বছর তখন দ্বিতীয় কন্যার জন্ম হয়। বিবাহ হয় প্রথমে আবু লাহাবের পুত্রের সাথে। কোরআন অবতীর্ণ এবং সুরা লাহাব নাজিল হওয়ার পর আবু লাহাবের ছেলে রুকাইয়্যা রা. কে তালাক দেন। পরবর্তিতে হযরত ওসমান রা. এর সাথে বিবাহ হয়। আবদুল্লাহ নামে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু মাত্র ছয় মাস বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। হিজরী ২য় সনে বদর যুদ্ধের সময় ২১ বছর বয়সে হযরত রুকাইয়্যা রা. ইন্তেকাল করেন।
  • তৃতীয় কন্যা: তৃতীয় কন্যার নাম ছিল উম্মে কুলসুম রা.। দ্বিতীয় কন্যার ন্যায় তৃতীয় কন্যারও আবু লাহাবের পুত্রের সাথে বিবাহ হয় এবং একই কারণে তালাকপ্রাপ্তা হন। পরবর্তিতে দ্বিতীয় কন্যা রুকাইয়্যা রা. ইন্তেকাল করলে হিজরী দ্বিতীয় সনে হযরত কুলসুম রা. হযরত ওসমান রা. সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যে কারণে হযরত ওসমান রা. কে বলা হয় ওসমান জিনূরাইন অর্থাৎ দুই নূরের অধিকারী। এঘরে কোন সন্তানাদি ছিল না। হিজরী সনে হযরত কুলসুম রা. ইন্তেকাল করেন।
  • চতুর্থ কন্যা: হযরত ফাতেমা রা.। অধিকাংশ জীবনীকারের মতে হযরত ফাতেমা রা. নবীজীর নবুওত প্রাপ্তির বছর জন্মগ্রহণ করেন। হিজরতে পর হযরত আলী রা. এর সাথে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর গর্ভে দুই পুত্র (মতান্তরে তিন পুত্র, তৃতীয় জনের নাম মুহসেন, শিশু কালেই তাঁর মৃত্যু হয়) হযরত হাসান রা., হযরত হোসাইন রা. এবং দুই কন্যা হযরত যয়নব ও হযরত উম্মে কুলসুম জন্মগ্রহণ করেন। হিজরী একাদশ সনে নবীজির ওফাতের ছয় মাস পর হযরত ফাতেমা রা. ইন্তেকাল করেন।
  • ওহী নাজিলের তারিখ ও স্থান:
  • নবী করীম সা. এর প্রতি হেরাগুহায় হযরত জিবরাঈল আ. এর আগমন হয় সর্বপ্রথম ১২ মতান্তরে ৯ রবিউল আওয়াল তারিখে। ঈসায়ী সন তারিখের হিসেবে দিনটি ছিল ৬১০ খৃষ্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি, সোমবার। হিজরী বিগত শতাব্দীর একজন শীর্ষস্থানীয় হাদীস তত্ত্ববিদ হযরত আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী র: এর মত অনুযায়ী চব্বিশ হাজার বার প্রিয় নবীর সা. এর নিকট ওহী নিয়ে হযরত জিবরাঈল আ. এর আগমন ঘটেছিল। (মলফুযাতে মোহাদ্দেস কাশ্মীরী)।
  • নামাজ ও রোজা শুরু:
  • হযরত উসানা ইবনে যায়েদ রা. তাঁর পিতা হজরত যায়েদ রা. থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, “আমার প্রতি ওহী নাযিল হওয়ার প্রাথমিক অবস্থাতেই হযরত জিবরাঈল আ. আমাকে ওজুর নিয়ম শিক্ষা দেন এবং আমাকে দিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ান। পরবর্তিতে সুরা গাফেরের ৫৫নং আয়াত নাযিল হওয়ার পর সূর্যোদয়ের আগেই দুই রাকাত এবং সূর্যাস্তের পূর্বক্ষণে দুই রাকাত মোট দুই ওয়াক্তে চার রাকাত নামাজ ফরজ হয়। এর সাথে হুকুম নাযিল হয় তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার। পরবর্তিতে হিজরতের আগে মে’রাজের সময় দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়। রোজা ফরজ হয় হিজরী ২য় সনের শাবান মাসের শেষ ভাগে।
  • হিজরত:
  • হযরত মোহাম্মদ সা. মোট দুইবার হিজরত করেছিলেন। প্রথমবার হিজরী ৫ম সনে হাবশায় এবং দ্বিতীয়বার হিজরী ১৩ সনে মদীনায়। যে কারণে নবীজিকে বলা হয় “ছাহেবুল হিজরাতাইন”। প্রথম হিজরতে তিনি নিজে দেশ ত্যাগ না করলেও এর বাস্তবায়ন ও পরিকল্পনায় নেতৃত্ব ছিল তাঁরই।
  • নবীর জীবনে জেহাদ:
  • নবী করীম সা. এর জীবদ্দশায় মোট ২৭টি যুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিল। এছাড়া ছোট বড় অন্যান্য অভিযান মিলিয়ে সশস্ত্র অভিযানের সংখ্যা ছিল ৮২টি। তার মধ্যে নবী সা. স্বয়ং ৮টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ৮২টি সশস্ত্র অভিযানে সর্বমোট লোক নিহত হয়েছিলেন ১০১৮ জন। তন্মধ্যে মুসলিম শহীদের সংখ্যা ছিল ২৫১ জন। প্রতিপক্ষের নিহতের পরিমাণ ৭৫৯ জন। কোন যুদ্ধেই হযরত রাসুলে করীম সা. প্রতিপক্ষের উপর অস্ত্র প্রয়োগ করেননি। ফলে তাঁর দ্বারা কেউ নিহত বা আহত হয়নি। ৮ম হিজরীতে হুনাইন যুদ্ধের সময় শত্রুপক্ষের এক ব্যক্তি হঠাৎ নবীজির উপর আক্রমণ করলে হুযুর সা. একটা গাছের ডাল দিয়ে তার গায়ে আঘাত করেছিলেন।
  • প্রথম ঈদের নামাজ:
  • হিজরী দ্বিতীয় সালে রোজা ফরজ হয়। এ বছরই রোজার পর মসজিদে নববীর অদূরে, বাসগৃহ থেকে হাজার গজ পশ্চিমে খোলা জায়গায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ সা. জামাতের ইমামতি করেন। পরবর্তীতে সেখানে ‘মাসজিদুল গামামা’ নামে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে।
  • প্রথম জুমার নামাজ:
  • হিজরতের পূর্বে জুমার নামাজের আদেশ নাজিল হলেও মক্কাবাসীর বৈরী আচরণের কারণে জুমার নামাজ আদায় করা সম্ভব হয়নি। ১ম হিজরীর ১২ই রবিউল আওয়াল, (হিজরতের চৌদ্দদিন পর) ৬২২ খৃষ্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখ শুক্রবার বনী সালেমের পল্লীতে নবী করীম সা. জুমার নামাজ আদায় করেন। এটাই নবী করীম সা. এর ইমামতিতে প্রথম জুমার নামাজ ও নিয়মিত পড়ার সূচনা। প্রথম জুমার জামাতে একশ জন সাহাবী শরীক হয়েছিলেন। যে স্থানটিতে প্রথম জুমার নামাজ আদায় করা হয়েছিল সেখানে পরবর্তিতে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে, যা “মাজিদুল জুমুয়া” নামে খ্যাত।
  • নবীজির মসজিদের শেষ নামাজ:
  • নবীজি ওফাতের দুইদিন পূর্বে অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ রবিউল আওয়াল শনিবার জোহরের নামাজ মসজিদে আদায় করেন। অসুস্থতার জন্য তিনি দুই জনের কাঁধে ভর দিয়ে মসজিদে তাশরীফ আনেন। এ সময় হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. ইমামতি করেন। নবীজির বিদায়ের চারদিন পূর্বে বৃহস্পতিবার এশার নামাজ থেকে মোট সতের ওয়াক্ত নামাজের ইমামতি করেন হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা.।
  • ওফাত:
  • হিজরী ১১ সনের ১২ই রবিউল আওয়াল, ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জুন সোমবার আনুমানিক বেলা ১১ ঘটিকার সময় হযরত মোহাম্মদ সা. সমস্ত মুসলিম উম্মাহকে কাঁদিয়ে তাঁর পার্থিব জীবন শেষ করেন।
  • জানাযা:
  • নবী পাকের কোন আনুষ্ঠানিক জানাযা হয়নি। ওফাতের আগে প্রদত্ত নির্দেশ অনুযায়ী পবিত্র দেহ মোবারক গোসল ও কাফন পরানোর পর হুজরার মধ্যে রাখা হয়েছিল। লোকেরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে হুজরায় ভেতর প্রবেশ এবং প্রত্যেকেই নিজে নিজে ছালাত ও সালাম পেশ করেন। এভাবে মদীনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রায় ত্রিশ হাজার লোক জানাযা পাঠ করেন।
  • কবর খনন:
  • কবর খনন করেছিলেন হযরত আবু তালহা আনসারী রা.।
  • দেহ মোবারক করবে অবতরণ:
  • ১৪ই রবিউল আওয়াল বুধবার মাগরিবের পূর্বে, ওফাতের আনুমানিক ৭২ ঘন্টা পর নবীজির পরিত্র দেহ মোবারক কবরে অবতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন হযরত আলী রা., হযরত আব্বাস রা. এবং তাঁর ছেলে ফজল ও কাসাম রা.।


1 likes | 1835 views

স্মার্ট ফোনের গতি কমেগেলে যা করবেন

স্মার্টফোনের বয়স যতই বাড়ে, ততই গতি কমে যায়। শুধু এর জন্যেই ফোন বদলানোর প্রয়োজন নেই। কিছু কোশল অবলম্বন করলেই স্মার্টফোনে পাওয়া যাবে নতুনের মতো গতি। আসুন জেনে নিই সেগুলো


  •  অপারেটিং সিস্টেম আপডেট: অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ আসার সঙ্গে সঙ্গেই সবার উচিত ওএস আপডেট করে নেয়া। এতে ফোন থাকবে গতিময়। কেননা ফোনের ওএসে বিভিন্ন সময় নানা রকমের বাগ ধরা পড়ে। তখন ফোনে ত্রুটি দেখা যায়। পুরনো ওএস বাগমুক্ত করতে নতুন সংস্করণ আনা হয়। নিঃসন্দেহে এটি ফোনের গতি বাড়াবে।
  • ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ: মোবাইলের ওএসে কিছু অ্যাপ সবসময় নিজ থেকেই ব্ল্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে, যা কিছুক্ষণ পরপরই অটোরিফ্রেশ ও আপডেট হয়। এর মধ্যে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাপগুলো উল্লেখযোগ্য। এমন ক্ষেত্রে ফোনের সেটিংস থেকে রানিং অ্যাপ্লিকেশন অপশনে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ডের কাজ বন্ধ করে দিতে হবে।
  •  অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ: অনেকের মোবাইল প্রচুর পরিমাণে অ্যাপ ইনস্টল করে রাখেন। এমনকি অনেক অ্যাপ থাকে যেগুলো একবারের পর আর প্রয়োজন পড়ে না। এমন অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ইনস্টলের ফলে ফোনের ইন্টার্নাল মেমোরি কমে যায় ও র‌্যামের ওপর চাপ পড়ে।
  •  লাইভ ওয়ালপেপার: স্মার্টফোনে লাইভ ওয়ালপেপার ফোনের সৌন্দর্য বাড়ায় ঠিকই তবে গতি কমিয়ে দেয় অনেকাংশেই। চেষ্টা করুন যথাসম্ভব লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহার না করতে। এতে ব্যাটারিও সাশ্রয় হবে।
  •  ইন্টারনাল স্টোরেজ: ফোনের ইন্টার্নাল স্টোরেজ খালি রাখলে দারুণ গতি পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ডাউনলোড ফাইল, ব্রাউজারের হিস্ট্রি, অনেকদিন আগের ছবি ইত্যাদি সরিয়ে মেমোরি খালি রাখা উচিত।
  • লাইট ভার্সন অ্যাপ ব্যবহার: ফেসবুক, টুইটার, মেসেঞ্জার এবং কিছু ব্রাউজার আছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এ অ্যাপগুলোর পাশাপাশি বহুসংখ্যক অ্যাপের লাইট ভার্সন বর্তমানে গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যায়। অ্যাপের লাইট ভার্সন সাধারণত ফোনের গতির দিকে লক্ষ্য রেখেই ডিজাইন করা হয়। এতে ফোনের গড়িও বাড়বে, ডাটা কম খরচ হবে।
  • হোম স্ক্রিন ক্লিন: অনেকের মোবাইলে প্রচুর পরিমাণে ওয়াইগেট ব্যবহার করতে দেখা যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে অতিরিক্ত ওয়াইগেট আপনার ডিভাইসের গতি কমিয়ে দিতে পারে। অনেক বেশি ওয়াইগেট হোমে থাকলে তা র‌্যামের ওপর চাপ ফেলে। এতে ফোনের গতি কিছুটা হলেও কমে যায়।


0 likes | 1719 views

মোবাইল ফোন পানিতে পড়ল যা করবেন

  • ফোনে বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেলে প্রথমে পরিষ্কার করে মুছে ফেলুন। যত বেশি তরল পদার্থ থাকবে ফোনটি তত তাড়াতাড়ি ফোনের বিভিন্ন পার্টস খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। বেশিক্ষণ থাকলে শর্ট সার্কিট হয়ে যেতে পারে। এতে ফোনে থাকা সমস্ত ডেটা মুছে যায়। 
  • ফোন স্টার্ট করার আগে ভালো করে মুছে নিন। ফোনের ভেতরের সব কিছু, অর্থাৎ ব্যাটারি, সিম কার্ড, মেমরি কার্ড খুলে ফেলুন শিগগিরই। ফোনের খোলা অংশগুলি একটি শুকনো কাপড়ে মুছে কাপড়টি মুড়ে রেখে দিন। দেখবেন ফোনের কোনও ক্ষতি হবে না। ফোনের ভেতরের অংশ পাতলা কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে ফেলুন।
  • সিম কার্ডও বাইরে বের করে রাখুন। এরপর ফোনের ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। তারপর সিম কার্ড ইনসার্ট করুন।
  • ফোনে স্ক্রিন গার্ড লাগানো থাকলে সেটাও খুলে রাখুন।


0 likes | 1785 views